ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

চুরি যাওয়া নবজাতকের সন্ধান মেলেনি ॥ তদন্ত কমিটি

প্রকাশিত: ১০:১৭, ১৫ নভেম্বর ২০১৯

চুরি যাওয়া নবজাতকের সন্ধান মেলেনি ॥ তদন্ত কমিটি

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর সন্তানের মুখও দেখতে পাননি মা নাহিদা আকতার (১৮)। সন্তানের মুখ দেখার আগেই হাসপাতাল থেকে চুরি হয়ে যাওয়া নবজাতকের মা এখন প্রসূতি বিভাগের বিছানায় শোকে মুহ্যমান। বুধবার চুরি হওয়া নবজাতক তার প্রথম সন্তান। শুধু কান্না ও সন্তান হারানোর বেদনায় সিক্ত তার মুখম-ল। ঠিকমতো কথাও তিনি বলতে পারছেন না এখন। বগুড়া মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়ার একদিন পর বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত নবজাতকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনা তদন্তে বৃহস্পতিবার ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠনসহ থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। অপরদিকে নবজাতকের চাচা আব্দুস সামাদ বাদী হয়ে এ ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ নবজাতক চুরি হওয়ার ঘটনায় প্রসূতির সঙ্গে হাসপাতালে আসা আত্মীয় ওবেদা বেগমকে (৪৫) জিজ্ঞাসাবাদ করতে থানায় নিয়েছে। নবজাতক চুরির ঘটনায় হাসপাতাল জুড়ে তোলপাড় ও সর্বত্র বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। বগুড়ার কাহালু উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের নলঘরিয়া গ্রামের সৌরভ হোসেনের সঙ্গে পাশের নিমাইদিঘী গ্রামের নাহিদা আকতার নাদিয়ার বিয়ে হয়েছিল প্রায় দেড় বছর আগে। সৌরভ ঢাকায় একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের পণ্য সরবরাহ করার কাজ করেন। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বগুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে নাহিদা প্রসব বেদনা নিয়ে ভর্তি হন। সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে কিছুটা জটিলতা থাকায় তাকে বুধবার দুপুরে নেয়া হয় অপারেশন থিয়েটারে। তবে অপারেশন ছাড়াই তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। পরে নবজাতককে নার্স প্রসূতির সঙ্গে আসা আত্মীয় (দূরসম্পর্কের নানী শাশুড়ি) ওবেদা বেগমের হাতে তুলে দেন। এর কিছুপর অপারেশন থিয়েটারের করিডোরে বোরখাপরা এক মহিলা ওবেদা বেগমের হাত থেকে নবজাতককে নিয়ে বলে শিশু ওয়ার্ডে নিয়ে নবজাতককে ডাক্তার দেখাতে হবে। এ সময় ওই অজ্ঞাত পরিচয়ের মহিলা ওবেদা বেগমকে ওষুধ আনতে বলে। এরপরেই শিশুটিকে নিয়ে সে উধাও হয়।
×