সংসদ রিপোর্টার ॥ আরও এগারো বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচারের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ১৪ দেশে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) সম্প্রচার হচ্ছে এবং আইপিটিভির মাধ্যমে বিশ্বের সব দেশেই বিটিভি দেখার সুযোগ রয়েছে।
স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারী দলের সদস্য মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান সরকার এবং আহসানুল ইসলাম টিটোর পৃথক দুটি প্রশ্নের লিখিত জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তথ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের বাইরে ভারত, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নেপাল, মিয়ানমার, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তানে বাংলাদেশ টেলিভিশন সম্প্রচার হচ্ছে। এছাড়া আইপিটিভির মাধ্যমে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই বিটিভি দেখার সুযোগ রয়েছে।
আহসানুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ জানান, বর্তমানে ৪৫টি বেসরকারী চ্যানেলকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে পূর্ণ সম্প্রচারে আছে ৩০টি। এছাড়া ১১টি চ্যানেল সম্প্রচারের অপেক্ষায় আছে এবং ৩টি ফ্রিকোয়েন্সি পায়নি।
সংসদে দেয়া মন্ত্রীর তথ্য থেকে জানা গেছে, সম্প্রচারের অপক্ষায় থাকা টিভি চ্যানেলগুলো হলো- আবদুল্লাহ আল মামুন কৌশিকের চ্যানেল ২১, মামুনুর রশীদ কিরণের গ্লোব মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড, নুর মোহাম্মদের উৎসব, মোহাম্মদ সাইফুল আলমের রংধনু, ধানাদ ইসলাম দীপ্তর তিতাস, তানভির আবিরের খেলা টিভি, জিনাত চৌধুরীর আমার টিভি, মুহম্মদ শফিকুর রহমানের সিটিজেন টিভি, তানজিয়া সিরাজের প্রাইম টিভি, শীলা ইসলামের স্পাইস টিভি ও আবুল বাশার মোহাম্মদ রকিবুল বাসেতের টিভি টুডে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, সম্প্রচার আইন ২০১৮ (খসড়া) মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন করা হয়েছে। ভেটিংয়ের জন্য এটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এই আইনের আওতায় সম্প্রচার কমিশন গঠন হলে সোশ্যাল ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে সম্প্রচার নিবিড়ভাবে তদারকি করা সম্ভব হবে।
