ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পিরোজপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: ১১:৪৭, ৭ নভেম্বর ২০১৯

পিরোজপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব সংবাদদাতা, পিরোজপুর, ৬ নবেম্বর ॥ জেলা ও দায়রা জজ আদালত স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ-ের আদেশ দিয়েছে। দ-প্রাপ্ত আসামি রেজাউল মোড়ল খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার মালতিয়া গ্রামের আবুল কালাম মোড়লের পুত্র। বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মান্নান আসামির উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন। উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা জেলার তালা থানার সুবাসিনী গ্রামের শাহজাহান মোড়লের মেয়ে আসমা বেগমের সঙ্গে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার মালতিয়া গ্রামের আবুল কালাম মোড়লের পুত্র রেজাউলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর পিরোজপুর শহরের মাছিমপুরের বলাকা ক্লাব সংলগ্ন গাজীবাড়ি রোডের রুবেল তালুকদারের বাসায় স্ত্রী আসমাকে নিয়ে খালকাটা শ্রমিক রেজাউল ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করত। ২০১৬ সালের ২২ অক্টোবর প্রতিদিনের ন্যায় রাত ১১টার দিকে খাওয়া-দাওয়া সেরে উভয়ই ঘুমিয়ে পড়ে। রেজাউল পারিবারিক কলহের জেরধরে ওই রাতেই ধারাল অস্ত্র দিয়ে স্ত্রী আসমাকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। যশোরে ধর্ষকের যাবজ্জীবন স্টাফ রিপোর্টার যশোর অফিস থেকে জানান, চাঞ্চল্যকর ছয় শিশু ছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামি আমিনুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুরে যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ বিচারক টিএম মুছা এ দ-াদেশ দেন। পিপি এম ইদ্রিস আলী বলেন, সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার গড়িমহল গ্রামে হানেফ আলীর ছেলে অভিযুক্ত তিনটি সন্তানের জনক আমিনুর রহমান যশোর শহরের খড়কি দক্ষিণপাড়া রেল লাইনের পাশে এহসানুল হক সেতুর বাগান বাড়ির তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে ছিলেন। এখানে একটি গোলপাতার ঘরে তত্ত্বাবধায়ক আমিনুর অবস্থান করতেন। স্থানীয় মাওলানা শাহ আব্দুল করিম (রহ) খড়কি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যাওয়া-আসার পথে ছোট্ট ছেলে ও মেয়েরা সেতুর বাগানবাড়িতে আম কুড়াতে যেতো। ওই সময় কেয়ারটেকার আমিনুর রহমান ছোট্ট ছোট্ট মেয়েদের আম, চকলেট, ক্যাটবেরি দেয়াসহ বিভিন্নভাবে লোভ দেখাত। এই লোভ দেখিয়ে প্রথমে আমিনুর তিনটি শিশু মেয়েকে ধর্ষণ করে। বিভিন্ন সময়ে একে একে ছয় ছাত্রীকে ওই গোলপাতার ঘরের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে সে। এ বিষয় নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ বিচার হয়। এক পর্যায়ে অভিভাবকরা গত ১ মে কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দেন। এতে তার বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলা হয়। পুলিশী আটকের ভয়ে আমিনুর বেনাপোলে পালিয়ে চলে যায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই হায়াত মাহমুদ খান সেখান থেকে ৪ মে আমিনুর রহমানকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন। এরপর আমিনুর বিভিন্ন সময় ৫/৬ শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দেয়।
×