ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রিফাত হত্যা মামলা

প্রধান আসামির স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের আবেদন

প্রকাশিত: ১০:৩৩, ১ নভেম্বর ২০১৯

প্রধান আসামির  স্বীকারোক্তি  প্রত্যাহারের  আবেদন

নিজস্ব সংবাদদাতা, বরগুনা, ৩১ অক্টোবর ॥ শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজীর আদালতে দোষ স্বীকার করে দেয়া জবানবন্দী প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া এ মামলা অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তদের বিচারের জন্য বরগুনার শিশু আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে মামলার ধার্য তারিখে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামি রিফাত ফরাজীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়। কিন্তু এ মামলার মূল নথি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে থাকায় স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের শুনানি হয়নি। এছাড়া এ মামলার পরবর্তী তারিখ ৬ নবেম্বর ধার্য করেছেন বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী। একই সঙ্গে শিশু অভিযুক্তদের মামলার পরবর্তী তারিখও নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ নবেম্বর। এ বিষয়ে শাহনেওয়াজ রিফাত হত্যা মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মজিবুল হক কিসলু বলেন, রিফাত হত্যা মামলার সকল অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি আদালতের হেফাজতে। তাই শিশু আসামিদের বিচারের জন্য মামলাটি শিশু আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক প্রধান আসামি রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজীর আদালতে দেয়া ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু মামলার মূল নথি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে থাকায় স্বীকারোক্তি প্রত্যাহারের শুনানি হয়নি। আইনজীবী মজিবুল হক কিসলু আরও বলেন, রিফাত হত্যা মামলার আসামি কামরুল হাসান সাইমুনের আগামী ১১ নবেম্বর একটি পরীক্ষা আছে। এ পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন সাইমুন। সাইমুনের পরীক্ষার প্রবেশপত্র আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালত সাইমুনকে পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ দেবেন। গত ২৬ জুন শাহনেওয়াজ রিফাত হত্যাকা- সংগঠিত হয়। পরে ২৭ জুন ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। এ মামলার তদন্ত শেষে গত ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক, দুই ভাগে বিভক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগপত্রভুক্ত ২৪ আসামির মধ্যে আটজন বরগুনা জেলা কারাগারে এবং ১৩ জন যশোর শিশু ও কিশোর সংশোধনাগারে রয়েছে। এছাড়া দুজন আসামি জামিনে রয়েছেন। আর এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মোঃ মুসা এখনও পলাতক রয়েছেন।
×