ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

র‌্যাগিং সঙ্কটের করুণ অভিজ্ঞতায় আসছে ‘স্কুল বুলিং’ নীতিমালা

প্রকাশিত: ১০:০৩, ২৭ অক্টোবর ২০১৯

 র‌্যাগিং সঙ্কটের করুণ  অভিজ্ঞতায় আসছে  ‘স্কুল বুলিং’ নীতিমালা

বিভাষ বাড়ৈ ॥ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের র‌্যাগিং সঙ্কটের করুণ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে স্কুল শিক্ষার্থীদের ‘বুলিং’ থেকে রক্ষা করতে কঠোর নীতিমালা জারি করতে যাচ্ছে সরকার। শিক্ষার্থীদের শারীরিক আঘাত ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করা, অশালীন বা অসৌজন্যমূলক আচরণ অর্থাৎ ‘স্কুল বুলিং’ থেকে সুরক্ষা দিতেই এ নীতিমালা প্রণয়ন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সাধারণ শিক্ষার মতো ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের জন্যও কার্যকর হবে এ নীতিমালা। আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই ‘স্কুল বুলিং নীতিমালা-২০১৯’ জারি করা হবে। নীতিমালা অনুসারে স্কুলে অনাকক্সিক্ষত যে কোন আইসিটি ডিভাইস বহন, ছবি তোলা, ভিডিও করা নিষিদ্ধ হবে। কর্মকর্তারা বলছেন, র‌্যাগিং ও বুলিং দুটো পৃথক শব্দ হলেও ধরন একই। এটি স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বিপদ। শিশুদের এ বিপদ থেকে রক্ষা করতেই হচ্ছে নীতিমালা। শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধ শেখানোর লক্ষ্যকে সামনে রেখে হাইকোর্টের একটি আদেশের আলোকে নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের শিশুদের অনলাইনে হয়রানির শিকার হওয়া নিয়ে ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনও এখানে গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। জানা গেছে, বাংলাদেশের শিশুরা অনলাইনে উৎপীড়ন, হয়রানি এবং আরও নানা ধরনের বিপদের হুমকির মধ্যে আছে বলে চলতি বছরই জানিয়েছিল জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ। ইউনিসেফ বাংলাদেশের শিশুদের অনলাইনের ব্যবহার সম্পর্কে একটি চিত্রও তুলে ধরেছিল। ইউনিসেফ বিশ্বজুড়ে ১৬০ দেশে একটি জরিপ চালিয়েছিল শিশুদের অনলাইন ব্যবহার সম্পর্কে একটা ধারণা পেতে। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশেও শিশুদের ওপর জরিপ চালায়। ইউনিসেফ জানিয়েছে, ইন্টারনেট এখন শিশুদের জন্য এক দয়া-মায়াহীন জগতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১০ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৩২ শতাংশ শিশু অনলাইন সহিংসতা, অনলাইনে ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং ডিজিটাল উৎপীড়নের শিকার হওয়ার মতো বিপদের মুখে আছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ১০ শতাংশ শিশু ধর্মীয় উস্কানিমূলক বিষয়বস্তুর মুখোমুখি হওয়ার অভিযোগ করেছে। ২৫ শতাংশ শিশু ১১ বছর বয়সের আগেই ডিজিটাল জগতে প্রবেশ করতে শুরু করে। শিশুদের একটি বড় অংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাদের বেডরুমে। যার ফলে কোন নজরদারি ছাড়াই তারা ইন্টারনেটে বিচরণ করতে পারে। অনলাইনে শিশুরা বেশিরভাগ সময় কাটায় চ্যাটিং এবং ভিডিও দেখার কাজে। তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে ইউনিসেফ বলছে, বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার ব্যাপক বেড়েছে। ২০০০ সালের সঙ্গে তুলনা করছে প্রায় ৮শ’ গুণ। অন্যদিকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের গড় বয়স কমছে। ইউনিসেফ স্পষ্ট করে বলেছে, শিশু অনলাইন সহিংসতা, অনলাইনে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও ডিজিটাল উৎপীড়নের শিকার হওয়ার মতো বিপদের মুখে রয়েছে। একইসঙ্গে সংস্থাটি অনলাইনে শিশু ও তরুণ জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা মোকাবেলা ও প্রতিরোধে সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে। ঠিক এরই মধ্যে সম্প্রতি রাজধানীর অভিজাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকার (আইএসডি) এক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে নানাভাবে বুলিংয়ের শিকার হয়ে স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্কুলে এর প্রতিকার চেয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর সপ্তম শ্রেণীর ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকের পক্ষ থেকে আইনী নোটিস পাঠানো হয়েছে। সন্তানের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির জন্য আইএসডি কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে ৮৫ কোটি টাকা (১০ মিলিয়ন ইউএস ডলার) ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে এই নোটিসে। স্কুলের প্রিন্সিপাল ডিরেক্টর টি জে কোবার্নকে এই নোটিসটি পাঠিয়েছেন ব্যারিস্টার হাসান আজিম। নোটিসে বলা হয়েছে, স্কুলের হেড অব সেকেন্ডারি ইলডিকো মুরে ওই বুলিংয়ের শিকার শিশুটির সাহায্যে এগিয়ে না এসে বরং অপমানজনক আচরণ করেছেন। যার ফলে তার পক্ষে স্কুলটিতে টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়ে। সপ্তম শ্রেণীর ওই শিক্ষার্থীটি সহপাঠীদের বুলিংয়ের শিকার হয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বলেই অভিযোগে উল্লেখ করেন তার মা সালমা খানম। সন্তানের নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে বুলিং বন্ধ করার অনুরোধ জানান তিনি। তবে কর্তৃপক্ষ ওই ঘটনার প্রতিকার না করে বরং নির্যাতিত শিশুটিকেই দোষারোপ করতে থাকে। এতে এক পর্যায়ে স্কুল ছাড়তেই বাধ্য হয় শিশুটি। ক্ষতিপূরণ না পাওয়া গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলা হয়েছে লিগ্যাল নোটিসে। সালমা খানম বলেছেন, আমি বারবার স্কুল কর্তৃপক্ষের নজরে বিষয়টি এনেছি। কিন্তু তারা সেটিকে কোন গুরুত্বই দেয়নি। বরং তাদের আচরণে মনে হয়েছে এই ধরনের অপরাধকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। বিচার চেয়ে এবং সন্তানের শারীরিক ও মানসিক বিপর্যয়ের ক্ষতিপূরণ চেয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে উকিল নোটিস পাঠানো হয়েছে। কোন ধরনের ব্যবস্থা না নেয়া হলে আইনী প্রক্রিয়ায় মামলা করা হবে। ব্যারিস্টার হাসান আজিম বলেন, বুলিং বাচ্চাদের মনে বিরূপ প্রভাব ফেলে এবং মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হয়। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এন্টি বুলিং নীতি থাকতে হবে। তা না হলে ভবিষ্যতে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও র‌্যাগিংয়ের মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটবে। ইতোমধ্যেই এ অভিযোগ এসেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। নীতিমালা নিয়ে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। নতুন নীতিমালার প্রতিটি বিষয় অত্যন্ত ইতিবাচক বলে মনে করছেন নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক) জাবেদ আহমেদ। তিনি জনকণ্ঠকে বলেছেন, আসলে যা র‌্যাগিং তাই বুুুলিং। এর মধ্যে পার্থক্য নেই। দুটোই শিক্ষার্থীর জন্য বিপদের কারণ। দুটো একই বিষয়। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের জন্য কি হবে? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই নীতিমালা জারি করা সম্ভব হবে বলে আমি আশাবাদী। এ নীতিমালা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের জন্যও প্রয়োজ্য হবে। আমরা দ্রুত এ কাজটি করতে চাই শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার জন্য। জানা গেছে, নীতিমালায় স্কুল বুলিং বলতে বোঝানো হয়েছে, ‘স্কুল চলাকালীন সময় বা শুরুর আগে ও পরে, ক্লাস রুমে, স্কুলের ভেতরে, প্রাঙ্গণে বা স্কুলের বাইরে কোন শিক্ষার্থী দ্বারা অন্য শিক্ষার্থীকে শারীরিক আঘাত করা বা মানসিক বিপর্যস্ত করা, অশালীন বা অপমানজনক নামে ডাকা, অসৌজন্যমূলক আচরণ করা, কোন বিশেষ শব্দ বার বার বলে উত্ত্যক্ত বা বিরক্ত করা।’ সাধারণত স্কুলে মৌখিক, শারীরিক ও সামাজিক- এ তিন ধরনের বুলিং হয়ে থাকে। মৌখিক বুলিং হচ্ছে- কাউকে উদ্দেশ্য করে এমন কিছু বলা বা লেখা, যা খারাপ কোন কিছুর প্রতি ইঙ্গিত বহন করে। যেমন- উপহাস, খারাপ সম্বোধন বা ডাকা, অশালীন শব্দ ব্যবহার করা বা হুমকি দেয়া। শারীরিক বুলিং বলতে কাউকে আঘাত করা, হাত দিয়ে চড়-ধাপ্পড় বা পা দিয়ে লাথি মারা, ধাক্কা মারা, খোঁচা মারা, ঘুষি মারা, কারও জিনিসপত্র জোর করে নিয়ে যাওয়া বা ভেঙ্গে দেয়া, মুখ বা হাত দিয়ে অশালীন বা অসৌজন্যমূলক অঙ্গভঙ্গি করা। আর সামাজিক বুলিং বলতে বোঝানো হয়েছে- সামাজিক স্ট্যাটাস, এক বা দলগত বন্ধুত্ব বা পারস্পরিক সম্পর্ক, ধর্মীয় পরিচিতি বা বংশগত অহংকারবোধ থেকে কোন শিক্ষার্থীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা বা তা করতে প্ররোচিত করা বা কারও সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে বারণ করা, কারও সম্পর্কে গুজব ছড়ানো, প্রকাশ্যে কাউকে অপমান করা, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র জাত তুলে কোন কথা বলা ইত্যাদি। কিন্তু কি আছে নীতিমালায়? জানা গেছে, নীতিমালায় বুলিং প্রতিরোধের উপায় হিসেবে পারিবারিক শিক্ষা, অভিভাবক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের করণীয় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। নীতিমালায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের করণীয় নির্ধারণ করে বলা হয়েছে, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধ শেখানোর দিকে বেশি নজর দিতে হবে। আইসিটি ডিভাইস বহন, ছবি তোলা, ভিডিও করা নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। নীতিমালায় নিয়ম ভঙ্গকারীদের জন্য শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এমনকি নিয়ম ভঙ্গ করলে ‘টিসি’ দেয়া হবে এমন বার্তা সবার মধ্যে পৌঁছে দেয়ার কথা খসড়া নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। তবে কোন বিষয়ে কোন শিক্ষার্থীকে শারীরিকভাবে আঘাত করা যাবে না। প্রয়োজনে কাউন্সিলিং করতে হবে। অভিভাবকদের ডেকে বোঝাতে হবে। বুলিং রোধে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ, করিডোর, ক্লাসরুমে সিসি ক্যামেরা বসানোর পাশাপাশি মনিটরিং করতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষক, কর্মচারীদের মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে। এ আইন অমান্য বা একে বুলিং হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, এটি ক্রিমিনাল ক্রাইম না হলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য নিতে পারেন। শিক্ষকদের কোন চাপমুক্তভাবে নিয়মশৃঙ্খলা বজায় রাখার পর্যাপ্ত ক্ষমতা দিতে হবে। শিক্ষক যুক্তিসঙ্গত উপায়ে তা হ্যান্ডেল করবেন। বুলিংয়ের শিকার ও বুলিং করা উভয়ের কাছে লিখিত নেয়ার ব্যবস্থা করা উত্তম। এক্ষেত্রে কেউ সাক্ষী থাকলে তার থেকেও লিখিত রিপোর্ট নেয়া যাবে। বুলিংয়ের শিকার ও বুলিং করা উভয়কে আলাদাভাবে বা একসঙ্গে প্রতিরোধ কমিটি প্রয়োজনীয় কথা বলবে। বর্তমানে সাইবার বুলিং বলতে যেমন বাজে মেসেজ পাঠানো, কোন গোপন বিষয় মিডিয়ায় প্রকাশ করে দেয়া, অনলাইনে হুমকি দেয়াকে বোঝানো হয়। বিষয়টিকে মাথায় রেখে নীতমালায় সাইবার বুলিং ঠেকাতে শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিরুৎসাহী করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বুলিংয়ের শিকার ও বুলিং করা উভয়কে যতœসহকারে কাউন্সিলিং করে তাদের আচরণ পরিবর্তন করতে হবে। বুলিং করা শিক্ষার্থী ও ভিকটিম উভয়ের জন্য ফাইল মেইনটেন করতে হবে, যাতে তাদের রেকর্ডগুলো পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক হয়। স্কুলের যে কোন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে অভিভাবকদের সঙ্গে মিটিং করতে হবে এবং সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। স্কুলে কোন কর্মকা-ে ধর্ম-গোত্র ইত্যাদি যে কোন বিষয়ে যেন বৈষম্য তৈরি না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা যাতে শারীরিক ও মানসিকভাবে আঘাত না পায় সে বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। দলগত বুলিং শিক্ষার্থীদের পরস্পরকে আলাদা থেকে যতটা সম্ভব বিচ্ছিন্ন রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে সেকশন পরিবর্তন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অভিভাবকদের করণীয় বিষয়ে বলা হয়েছে, সন্তানকে স্কুলের নিয়ম-কানুন মেনে চলা, অন্যান্য শিক্ষার্থী বা বন্ধুদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য নিয়মিত উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সন্তানকে সর্বোচ্চ ভালবাসার মধ্য দিয়ে লালন-পালন করতে হবে। তাদের মধ্যে মূল্যবোধ শেখাতে হবে, যাতে তারা বুলিংকারী না হয়ে ওঠে। নিজ সন্তানকে বুলিংকারী বা বুলিংয়ের শিকার যাই হোক না কেন, পূর্বাপর কিছু না জেনে অভিভাবকরা ঝগড়া-বিবাদে জড়িয়ে পড়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সন্তানদের সামনে পিতা-মাতা কারও সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হবেন না। বুলিংকারী শিক্ষার্থীর বিষয়ে স্কুল কোন পদক্ষেপ নিলে অভিভাবকরা তার বিরোধিতা না করে স্কুলকে সহযোগিতা করার কথা নীতিমালায় বলা হয়েছে।
×