ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বন্যায় বীজতলার সঙ্গে কৃষকের স্বপ্নও ভেসে যায় ;###;সরকারের বিশেষ প্রণোদনায় অনিশ্চয়তা দূূর

সবুজ বিপ্লব ॥ আমনে বেড়েছে জমি ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা

প্রকাশিত: ১১:০০, ১ অক্টোবর ২০১৯

সবুজ বিপ্লব ॥ আমনে বেড়েছে জমি ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা

ওয়াজেদ হীরা ॥ ফসলের জমির বুকে ঢেউ খেলে যায় সবুজের বিপ্লব। আমন ধানের চারাগুলো জমিতে শক্ত পোক্তভাবে উঠে দাঁড়িয়েছে। আমন ফসলের ফলন ভাল পেতে কোথাও কোথাও পরিচর্যায় ব্যস্ত থাকছেন কৃষক। দেশের ফসলের জমিতে দৃষ্টি দিলে চোখ জুড়িয়ে যায়। আর রঙ গাঢ়ো হওয়া আমনের কচি চারা মনে হয় যেন এক সবুজের মাঠ। এবারও আমনে বাড়ানো হয়েছে জমির লক্ষ্যমাত্রা, বেড়েছে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাও। যদিও কিছুদিন আগেই বন্যায় আমনের বীজতলা ভেসে গিয়ে তৈরি হয়েছিল নানা শঙ্কা। তবে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় নতুন স্বপ্ন বুনে কৃষক। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বন্যায় কৃষকদের আমনের বীজতলা নষ্ট করে দিলেও সরকারী প্রণোদনার কারণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সমস্যা হবে না বরং লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশিই উৎপাদন হতে পারে আমন ধান। মৌসুম শুরুতেই চলতি আমনের উদ্দেশে বীজতলা তৈরি করে স্বপ্ন বুনে কৃষক। হঠাৎ জুলাই-আগস্টের সময় সৃষ্টি হয় বন্যা। টানা বন্যায় দেশের প্রায় সকল বীজতলাই ভেসে যায়। দেখা দেয় আমন চাষ নিয়ে অনিশ্চয়তা। তবে কৃষকদের কপালে অশ্চিয়তার ভাঁজ মুছে দিতে সরকারের তরফ থেকে দেয়া হয় প্রণোদনার বার্তা। ভাসমান বীজতলা তৈরিসহ কৃষকদের আমন চাড়া সরবরাহ নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়। সরকারী বার্তা পেয়ে আবার স্বপ্ন বুনে কৃষক। আশি^নের মাঝামাঝি পর্যায়ে দেশের প্রায় শতভাগ বুনন শেষ হয়ে গেছে আমনের। সেই সঙ্গে রোপণে সরকারী লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হয়েছে বলে জানা গেছে। এবার ফলন ভাল হলেই অর্জিত হবে চালের লক্ষ্যমাত্রাও। লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে প্রত্যাশা করছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা। আর ফলন ভাল হবে সে স্বপ্নে বিভোর দেশের কৃষকরাও। মন্ত্রণালয়ও মনে করছে ফলন ভালই হবে। কৃষি সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান জনকণ্ঠকে বলেন, মন্ত্রণালয় মনে করে আউশ আর আমনের উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমরা সেটা বাড়াতে চাই। দুটি উপায় আছে একটি ভ্যারাইটি অন্যটি জমির পরিমাণ বাড়ানো। তবে জমির পরিমাণ বাড়ানো কঠিন এখন। এবারের আমন উৎপাদন নিয়ে কৃষি সচিব জনকণ্ঠকে বলেন, আমন ও আউশের জন্য কৃষকদের উৎসাহিত করি। আশা করছি। এবার লক্ষ্যমাত্রা যা আছে সামনের দিনগুলোতে কোন খরা, বড় কোন দুর্যোগ বা রোগ না হলে এর চেয়ে বেশিই উৎপাদন আসবে। কেন বেশি উৎপাদন আসতে পারে সে ব্যাখ্যায় সচিব বলেন, আমাদের এখন পর্যন্ত এই বছর আমনের জন্য আবহাওয়া সম্পূর্ণ উপযোগী। ক’দিন পরপরই বৃষ্টি হচ্ছে এটি আমনে খুব দরকার। তবে সামনের দিনগুলো যেন ভাল থাকে সেটিও প্রত্যাশা করেন তিনি। চলতি আমনের জমি ও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আশার কথা বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ (ডিএই) সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক চন্দ্রীদাস কুন্ডু। কৃষকদের প্রণোদনার বিষয়ে তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, কৃষকরা যখন দুশ্চিন্তায় ছিল তখন সরকারের পক্ষ থেকে আমরা বীজতলা তৈরি করে দিয়েছি। এরমধ্যে কমিউনিটি বেজড বীজতলা হচ্ছে ৫৩০ একর ও বিভিন্ন ইনস্টিটিউট কর্তৃক ৭৫ একর। এছাড়াও ২৫২০ জনের ভাসমান বীজতলা তৈরির লক্ষ্য থাকলেও ১৫২০ জন ভাসমান বীজতলা তৈরি করেন যাতে সহায়তা করে সরকার। এর বাইরেও গাইঞ্জা বীজ দেয়া হয়েছে ৬ টন। যেহেতু এটি দেশের সব জায়গায় হয় না যেখানে হয় অর্থাৎ বগুড়া, গাইবান্ধা ও জামালপুর জেলায়। আমনের উৎপাদনে কোন প্রভাব পড়বে না বলেও মনে করেন তিনি। দেশের কোথাও চারার সঙ্কটও হয়নি বলে জানান তিনি। কৃষি সম্প্রসারণের সরেজমিন উইং থেকে জানা গেছে, চলতি ২০১৯-২০২০ মৌসুমে বোনা ও রোপা আমান মিলিয়ে মোট ৫৮ লাখ ৭৯ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। এতে চালের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ কোটি ৫৩ লাখ ৫৭ হাজার মেট্রিক টন। গত অর্থবছরের চেয়ে চলতি অর্থবছরে জমির পরিমাণ বেড়েছে প্রায় দুই লাখ ৩৬ হাজার হেক্টর জমি। এছাড়াও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে প্রায় বারো লাখ ২৩ হাজার মে.টন। গত ২০১৮-২০১৯ মৌসুমে ৫৬ লাখ ৪২ হাজার ৯৯৯ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হলেও চাষ হয় ৫৬ লাখ প্রায় ২১ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমি। এতে চালের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ কোটি ৪১ লাখ ৩৪ হাজার মেট্রিক টন। তবে উৎপাদন হয়েছিল আরও ১৩ লাখ টন বেশি। গত ২০১৬-১৭ বছর ৫৬ লাখ ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে ১ কোটি ৪০ লাখ ৭৬ হাজার মে. টন আমন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। বছর বছরই জমির লক্ষ্যমাত্রার পাশাপাশি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাও বাড়ছে। আর অর্জিত হচ্ছে কাছাকাছিই। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সরেজমিন উইংয়ের উপ-পরিচালক (মনিটরিং) মোঃ মিজানুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, ২০১৯-২০২০ মৌসুমে ৫৮ লাখ ৭৯ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। এরমধ্যে বোনা আমন লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর জমি আর রোপা আমনের লক্ষ্য ৫৫ লাখ ৪৯ হাজার হেক্টর জমিতে। রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, চলতি মৌসুমে জমির যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এরমধ্যে উফশী জাত ৪৪ লাখ ৯২ হাজার হেক্টর জমি, হাইব্রিড ১ লাখ ৮৭ হাজার হেক্টর জমি এবং স্থানীয় জাতের ৮ লাখ ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হবে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে উপ-পরিচালক (মনিটরিং) মিজানুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, এবার সব মিলিয়ে ১ কোটি ৫৩ লাখ ৫৭ হাজার মেট্টিক টন চাল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে বোনা আমন থেকে আসবে ৪ লাখ ২৯ হাজার মেট্টিক টন আর রোপা আমন থেকে আসবে ১ কোটি ৪৯ লাখ ২৮ হাজার মেট্টিক টন। রোপা আমনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উৎপাদন লক্ষ্য রয়েছে উফশী জাতের। উফশী জাত থেকে ১ কোটি ২৭ লাখ ৭ হাজার মেট্টিক টন, স্থানীয় জাত থেকে আসবে ১৫ লাখ ৪৯ হাজার মে.টন এবং হাইব্রিড থেকে ৬ লাখ ৭২ হাজার মেট্টিক টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবারও ২০১৭ সালের মতো প্রকৃতির বৈরি আচরণ বন্যার কারণে দেশের ৩১ জেলায় আউশ, আমন, আমনের বীজতলা ও গ্রীষ্মকালীন সবজিসহ দুর্যোগে আক্রান্ত হয় এক লাখ ৭১ হাজার ২৮৯ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল। এতে ৬ লাখ ৫১ হাজার কৃষকের ১ হাজার ১৫২ কোটি ৬২ লাখ টাকার ফসলের ক্ষতি হয়। যদিও কৃষি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছিলেন এটি খুবই সামান্য ক্ষতি হয়েছে এবং ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকার কৃষকদের জন্য প্রণোদনা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়। বন্যার এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বন্যাকবলিত এলাকায় এই প্রণোদনা দেয়া হয়। আমনের বীজতলা ভেসে যাওয়ার কারণে সরকার থেকে তৈরি করে দেয়া হয় আমনের বীজতলাও। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, বন্যা আক্রান্ত এলাকায় আউশের ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫ হেক্টর জমির মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২১ হাজার ৩২ হেক্টর জমি, আংশিক ক্ষতি হয়েছে ২৯ হাজার ৭০ হেক্টর জমির ফসল। এতে দেশের শতকরা সাড়ে পাঁচ ভাগ আউশ ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে এ বছর ৯১ হাজার ৮১০ টন ধান কম উৎপাদনের শঙ্কা রয়েছে। ৯৭ হাজার ১২৪ জন কৃষককে আর্থিক ক্ষতি গুণতে হবে ২৫২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এছাড়া রোপা আমনে ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের পরিমাণ ১১.৪৬ শতাংশ। আর বোনা আমনের ক্ষতি হয়েছে ১৭.৮০ ভাগ। অধিদফতর আরও বলছে, আমনের বীজতলার ৯ হাজার ৬৫ হেক্টর জমি সম্পূর্ণ ও ৭ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বীজতলা ক্ষতির শতকরা হার ১১ ভাগেরও বেশি। দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে কৃষিমন্ত্রী ও কৃষি সচিব দু’জনই জনকণ্ঠকে জানিয়েছিলেন, আমন করতে পুরোপুরি সহায়তা করবে সরকার। কমিউনিটি বেজ বীজতলা তৈরি করে দেয়া হচ্ছে যাতে কৃষকদের পরিবহন খরচও না লাগে। একেবারেই ধান লাগানো যাবে না এমন জায়গায় রবি ফসল করার জন্য প্রণোদনার কথাও জানান। তবে যে পরিমাণ বীজতলা ক্ষতি হয়েছিল তার পুরোটাই কভার করা সম্ভব হবে বলেও জানিয়েছিলেন। আমন করতে কৃষকদের পর্যাপ্ত সাহায্য ও মন্ত্রণালয়ের সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ব্যাপক কার্যক্রম চালায়। আর তাতেই পুরোটাই কভার করা সম্ভব হয়েছে আমনে। বোনা আমন নিয়ে কৃষি সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান জনকণ্ঠ দিন দিন বোনা আমনের জমি ভরাট হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে মোঃ নাসিরুজ্জামান বলেন, আমাদের বোনা আমন আউশের সঙ্গেও কিছু ছিটানো হয়, পাটের জমিতেও ছিটানো হয়। এই জমিগুলো ভরাট হয়ে বোনা আমন কমে আসছে। তবে রোপা আমন ঠিক আছে। আমন ও আউশ কৃষকদের লাভবান করার ফসল। কেননা বোরোতে খরচ বেশি বলেন সচিব। কৃষকদের প্রণোদনা নিয়ে সচিব বলেন, চারার অভাবে কৃষক আমন করে নাই এমন খবর কোথাও পাই নাই। বরং চারা বেশি ছিল। আমরা কিছু জায়গায় ধান লাগাতে পারি না বিভিন্ন কারণে সেসব স্থানে মাষকলাই দিয়েছি। আশা করছি আমনে এবারও ভাল ফলন পাবে কৃষকরা। টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ বগুড়ার একাধিক কৃষকের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলে জানা গেছে আমন নিয়ে কৃষকদের নানা ব্যস্ততা। যেহেতু রোপণ হয়ে গেছে তাই পরিচর্যা নিয়েই ব্যস্ত কৃষকরা। বগুড়ার কৃষক সোলেমান বলেন, এখন আর চিন্তা করছি না। চারা গাছ শক্ত হয়ে গেছে ঠিকমতো যতœ করে ফলন ঘরে তুলতে চাই। কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় চারা পেয়েছিলেন বলে আমন নিয়ে নতুন আশা দেখেছেন বলেন তিনি। টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহের কতিপর কৃষক বলেন, যেহেতু প্রায় বৃষ্টি হচ্ছে। জমিতে পানি থাকছে এখন চারা গাছও দ্রুত বড় হয়ে উঠছে। ফলন নিয়েও আশাবাদী কৃষকরা। রমিজ উদ্দিন নেত্রকোনার কৃষক বলেন, বন্যায় যখন বীজতলা ভেসে গেল মনে হইলো সারাবছরের খোরাক চলে যাচ্ছে। তবে সরকার যখন সাহায্য করল চারা দিল নতুন কইরা আবার জমি তৈরি করলাম। এদিকে, প্রতিবছরই উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে দিন দিন যে হারে কৃষি জমি কমে আসছে তারমধ্যেই সাফল্য পেতে সরকার সুপরিকল্পিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা দেখলে সেটি স্পষ্ট হবে। জানা গেছে, সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান উন্নতজাত তৈরিসহ নানা ধরনের দিক নির্দেশনায় এই সাফল্য আসছে। জানা গেছে, শুধু বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আমন মৌসুম ও এর পরিবেশ উপযোগী ৪১টি ধানের জাত ও ধান উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নানা রকম কৃষিতাত্ত্বিক ব্যবস্থাপনা উদ্ভাবন করেছে। অনুকূল ও প্রতিকূল পরিবেশে চাষ করা যায় এসব জাতের ধান। এগিকে, গত ২০১৭-১৮ অর্থবছর আমন বোননের সময় উত্তরবঙ্গসহ হাওরের লাখও মানুষের স্বপ্ন ভাসছিল বানের জলে। অথচ তারই বিপরীত চিত্র পরের বছর ২০১৮-১৯ আমন মৌসুমে আকাশ পানে তাকিয়ে বৃষ্টির অপেক্ষা করেছে মানুষ। ২০১৭ আগাম বানে ভেসে যায় দেশের বিভিন্ন জেলার বোরোর আবাদ। আর বর্ষা শেষের বন্যায় নষ্ট হয় হাজার হাজার হেক্টর জমির আউশ ধান। সে সময় অনেক জেলায়ই বীজতলা ও সদ্য রোপণকৃত রোপা আমন ভেসে গিয়েছিল বানের জলে। তবুও কৃষকের ঘুরে দাঁড়ানো চেষ্টা ছিল। ২০১৮-১৯ আমন মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়াতে শুরুর দিকে চাষীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত এটি থাকেনি। বেশ ভালভাবেই আমনে মনোযোগ দেয় কৃষকরা। এরই ফল হিসেবে বাম্পার ফলনও ঘরে তুলে সবাই। ফলন যেমনই হোক কৃষকরা যেন ভাল দাম পায় সে বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট অনেকেই।
×