নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ২৫ সেপ্টেম্বর ॥ সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে চার মাস ধরে সাব-রেজিস্ট্রার নেই। পার্শ্ববর্তী উপজেলা থেকে সাব-রেজিস্ট্রার এসে সপ্তাহে কয়েকদিন অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। ফলে জমির ক্রেতা-বিক্রেতাদের নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিকে জেলা ও সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে জমির ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে চরম দূরব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। এই দুই অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাছে উৎকোচের দাবি মেটানোসহ নানাভাবে নিগৃহীত হতে হচ্ছে সাধারণ জনগণের।
জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয় সূত্র জানায়, সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অন্যত্র বদলি হয়ে যাওয়ার পর নতুন একজনকে পদায়ন করা হয়। কিন্তু পদায়নের পর চার মাস অতিবাহিত হলেও তিনি এখানে যোগাদান করেননি। জরুরী কাজ করার জন্য পার্শ্ববর্তী নাগরপুর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার বোরহান উদ্দিন সরকারকে নাগরপুর উপজেলার পাশাপাশি টাঙ্গাইল সদরে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি সপ্তাহে দু-তিন দিন টাঙ্গাইল সদরে এসে দলিল সম্পাদনাসহ অন্য কাজ করে থাকেন। প্রতি কার্যদিবসে এখানে ৭০ থেকে ৮০টি দলিল সম্পাদনের কাজ হয়। দলিলের দাতা, গ্রহিতারা প্রতিদিন সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে এলেও এখানে স্থায়ী সাব-রেজিস্ট্রার না থাকায় অনেক সময় ঘুরে যেতে হয়। সদর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, দলিলের দাতা, গ্রহিতারা অপেক্ষা করছেন। তাদের জানানো হয়েছিল সাব-রেজিস্ট্রার নাগরপুর উপজেলা থেকে টাঙ্গাইল অফিসে এসে দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু বেলা একটা পর্যন্ত তিনি না আসায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় দলিলের দাতা, গ্রহিতাদের। অফিসে কর্মরত অন্যদের জিজ্ঞাসা করলেও কেউ কিছুই বলতে পারেননি, সাব-রেজিস্ট্রার কবে আসবেন।
এসব বিষয়ে জেলা রেজিস্ট্রার আবদুস ছালাম আজাদ বলেন, চার মাস আগে সদর উপজেলায় সাব-রেজিস্ট্রার পদে যাকে পদায়ন করা হয়েছে তিনি অজ্ঞাত কারণে যোগদান করেননি। বিষয়টি ঢাকায় উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে ও টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে।