নিজস্ব সংবাদদাতা, সান্তাহার, ৯ সেপ্টেম্বর ॥ রবিবার রাতে বগুড়ার সান্তাহার শহরের তিয়রপাড়া নামকস্থানে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এক নারীকে একদল বখাটে যুবক ভ্যান থেকে নেমে নিয়ে গণধর্ষণ করেছে। এক মেয়ে সন্তানের মা ধর্ষিতা ওই নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ একজনকে আটক করেছে। ধর্ষিতার চাচা সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ফেরদৌস আলী জানান, তার বড় ভাই শহিদুল ইসলাম তার পরিবার-পরিজন নিয়ে সান্তাহার রেলওয়ে ইয়ার্ড কলোনিতে বসবাস করেন। শহিদুলের স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে (২০) শহরের শখের পল্লী নামক বিনোদন কেন্দ্রে পান-সিগারেটসহ বিভিন্ন পণ্যের দোকান দিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেন। রবিবার সন্ধ্যায় সে দোকান বন্ধ করে চাচাতো ভাই সুজন আলীকে সঙ্গে নিয়ে শহর পাশের কাশিমালা গ্রামে তার অসুস্থ ফুফুকে দেখতে যাচ্ছিল। তাদের বহন করা ভ্যান সন্ধ্যা সাতটার দিকে শহরের তিয়রপাড়া খাড়ীর ব্রিজে পৌঁছা মাত্র সেখানে অবস্থান করা ১২ থেকে ১৪ জন বখাটে যুবক ভ্যান আটকিয়ে যাত্রী সুজন এবং ভ্যানচালক রকিকে ধরে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এরপর মারপিট শুরু করলে তারা পালিয়ে যায়। এরপর ওই বখাটেরা ভ্যানের অপর যাত্রী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নারীর কাছ থেকে কয়েক হাজার টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার পর ভ্যান থেকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে খাল পাড়ের নির্জন স্থানে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তির ফোনের মাধ্যমে খবর পেয়ে ওই নারীর স্বজনরা রাতের আঁধারে ওই স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে দমদমা গ্রামের নিকট খালের বাঁধ থেকে ওই নারীকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে এক পল্লী চিকিৎসকের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সান্তাহার শহর পাশের নওগাঁ আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। সে বর্তমানে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।