ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আগামীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে ॥ তাজুল ইসলাম

প্রকাশিত: ১০:০৫, ২৬ আগস্ট ২০১৯

অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আগামীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে ॥ তাজুল ইসলাম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বর্তমানের অভিজ্ঞতাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাজে লাগিয়ে সমন্বিত প্রচেষ্টায় আগামীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এমপি। রবিবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ১৭ জেলার জেলা পরিষদের ২০ নবনির্বাচিত সদস্যের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, আগামীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাস্টার প্ল্যান তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাজুল ইসলাম বলেন, সমন্বিত প্রচেষ্টা আর সচেতনতার কারণে ডেঙ্গু পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আক্রান্তের হার কমেছে। এ বছর এডিস মশার প্রাদুর্ভাব অনেক বেশি। তবে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলেও মৃত্যুর হার কম রয়েছে। সচেতনতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে উত্তরোত্তর উন্নতি হচ্ছে। সচেতনতা যত বেশি বাড়াতে পারব ও মানুষের অংশগ্রহণ যত বেশি বাড়বে এর প্রকোপ তত কমবে। এ জন্য আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছি ডেঙ্গু পরিস্থিতি মনিটরিংয়ের জন্য। তিনি বলেন, ঈদের সময় ধারণা ছিল ডেঙ্গু বড় ধরনের বিপর্যয় বয়ে আনবে। কিন্তু সে রকম কিছু হয়নি। তবে ঈদে বাড়তি প্রস্তুতি হিসেবে সকল কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করেছি। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। এ বছর পৃথিবীতে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বেশি। পৃথিবীর অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে কম আক্রান্ত হয়েছে। তবে তা ২০০০ সালের হিসাবের তুলনায় বেশি। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সারা বছরই ডেঙ্গু প্রতিরোধে অভিযান চলছে। আমরা যে পরিমাণ ডেঙ্গু মশার আক্রমণ দেখেছি। তা আগে কখনও দেখিনি। পৃথিবীজুড়েই এডিস মশা এবার বেশি। এডিস মশা বৃষ্টির মৌসুমে বেশি ডিম দেয়। ডিম থেকে সেখানে লার্ভা হয়। এই লার্ভা থেকে ডেঙ্গু হয়। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে ডিম দিলে সেই ডিম থেকে এডিস মশার জন্মানোর হার কম থাকে। এছাড়া শুষ্ক মৌসুমে ডেঙ্গুর তীব্রতা কম থাকে। তারপরও আমাদের কার্যক্রম সারা বছর অব্যাহত রাখা হবে।
×