ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফতুল্লায় নৈশপ্রহরীকে জবাই

প্রকাশিত: ১০:৩১, ২২ আগস্ট ২০১৯

ফতুল্লায় নৈশপ্রহরীকে জবাই

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ সদর উপজেলার ফতুল্লার পূর্ব শাহী মহল্লা এলাকায় আবুল কালাম (৫০) নামে এক নৈশপ্রহরীরকে গলাকেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার ভোরে পুলিশ পূর্ব শাহী মহল্লার এমএ মতিনের বাড়ি থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। কালাম বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জের চাতপাশা গ্রামের মৃত আব্দুল গনি ঢালির ছেলে। সে স্ত্রী ও দুই ছেলে এক মেয়ে নিয়ে ফতুল্লার শাহীবাজার এলাকার আলাউদ্দিন ডাক্তারের বাড়িতে ভাড়া থাকত এবং ওই এলাকায় এমএ মতিনের বাড়িতে নৈশপ্রহরীর কাজ করত। পুলিশ ও নিহতের আত্মীয়-স্বজনরা জানায়, মতিনের মেয়ের জামাতা এনায়েত হোসেন তার শ্বশুর বাড়িতে সপরিবারে বসবাস করেন। ঈদের পর সপরিবারে গ্রামের বাড়ি বরিশালে বেড়াতে যান। বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় গ্রামের বাড়ি থেকে এসে দেখেন তাদের ঘরের আসবাবপত্র ছড়ানো ছিটানো। একটি কক্ষে নৈশপ্রহরী আবুল কালামের মুখে স্কচটেপ পেঁচানো গলাকাটা অবস্থায় রক্তাক্ত দেহ খাটের ওপর পড়ে আছে। কিশোরগঞ্জে শাশুড়িসহ তিনজন নিজস্ব সংবাদদাতা কিশোরগঞ্জ থেকে জানান, পারিবারিক কলহের জেরে মেয়ের জামাইয়ের হাতে শাশুড়ি হালিমা খাতুন (৫০) খুন হয়েছে। এ সময় শাশুড়ির কোলে থাকা ঘাতক জামাইয়ের তিন বছর বয়সী শিশু আনন্দ হোসেন বাবার ছোরার আঘাতে আহত হয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া পাকুন্দিয়া ও মিঠামইনে ভাইয়ের হাতে ভাই এবং প্রতিবেশীর হাতে প্রতিবেশী খুন হয়েছে। বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার দানাপাটুলী পশ্চিম পাড়ায় নৃশংস এই হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার পরপরই স্থানীয় জনতার সহায়তায় পুলিশ ঘাতক হাবিবুল ইসলামকে (২৫) আটক করেছে। সে দানাপাটুলী মনোহরপুর গ্রামের মৃত কালাম উদ্দিনের ছেলে। জানা গেছে, ৭-৮ বছর আগে দানাপাটুলী পশ্চিম পাড়ার সায়াম উদ্দিনের মেয়ে অরুনার সাথে হাবিবুল ইসলামের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। হাবিবুল মাদকসেবী হওয়ায় বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। সে নেশা করে এসে প্রায়ই স্ত্রী অরুনাকে মারধর করত। এর মধ্যেই বছর তিনেক আগে অরুনার কোলজুড়ে আসে ফুটফুটে এক ছেলে সন্তান। কিন্তু হাবিবুল ইসলামের কোন পরিবর্তন নেই। স্ত্রী অরুনাকে মারপিট আর নির্যাতনই যেন তার অভ্যাসে পরিণত হয়। এলাকাবাসী জানায়, স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অরুনা কিছুদিন আগে বাবার বাড়িতে চলে আসে। এরপর স্বামী হাবিবুল ইসলাম নেশা করে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে গালাগালি করত। বুধবার দুপুরে সে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে শাশুড়ি হালিমা খাতুনের ওপর চড়াও হয়। সাথে আনা ছোরা দিয়ে সে শাশুড়ি হালিমা খাতুনকে উপর্যুপরি আঘাত করে। এ সময় শাশুড়ির কোলে থাকা হাবিবুল ইসলামের তিন বছর বয়সী শিশু আনন্দ হোসেনও ছোরার আঘাতে রক্তাক্ত হয়। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা তাকে আটকানোর চেষ্টা করে। এ সময় হাবিবুল ইসলাম কয়েকজনকে আঘাত করলেও জনতার সম্মিলিত প্রতিরোধে সে আটক হয়। পরে রক্তাক্ত হালিমা খাতুন ও তার নাতি আনন্দকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হালিমা খাতুনকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে বুধবার সকালে পাকুন্দিয়ার উপজেলার জাঙ্গালিয়া চরটেকি ও হাওড় অধ্যুষিত মিঠামইনের ঘাগড়া ভরা নয়াহাটি গ্রামে পৃথক দু’টি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, জমির হিস্যার বিরোধ নিয়ে পাকুন্দিয়ার চরটেকি গ্রামের মৃত হারুন অর রশীদের ছেলে কেজি মতি মিয়া তার বড় ভাই আলী আজগর মোস্তফা মুকুলের (৬২) বুকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ ঘাতক শামসুল মুসলিমিন মতি ওরফে কেজি মতিকে (৫৫) আটক করাসহ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করেছে। অপরদিকে একই সময় মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া ভরা নয়াহাটি গ্রামে গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিবেশীর বল্লমের আঘাতে শাহজাহান মিয়া (৬০) নামে এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। নিহত শাহজাহান ওই এলাকার মৃত ধন মিয়ার ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, ঘাগড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ভরা চড়িয়াবাড়ির আইয়ুব আলীর সাথে ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ভরা নয়াহাটির হাবিব সরকারের দীর্ঘদিন যাবত গোষ্ঠীগত বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার বিকেলে গ্রামের পাশের পায়ে হাঁটার রাস্তা নিয়ে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে এ নিয়ে ভরা নতুন বাজারে দু’পক্ষ সমঝোতা বৈঠকেও বসে। কিন্তু আইয়ুব আলীর লোকজন সমঝোতা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। পরে বুধবার সকালে আইয়ুব আলীর শতাধিক লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভরা নয়াহাটি গ্রামে গিয়ে হাবিব সরকারের বাড়িতে অতর্কিতে হামলা চালায়। ফেনীতে স্কুলছাত্র নিজস্ব সংবাদদাতা ফেনী থেকে জানান, মোশাররফ হোসেন সজিব নামের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রে নিখোঁজের সাত দিন পর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মানিক নামে একজনকে আটক করা হয়। মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের ঘাগড়া গ্রামের একটি মুরগির খামার থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ঈদের পরদিন নিখোঁজ হয় শর্শদী ইউনিয়নের সুফিয়াবাদ গ্রামের দেলোয়ার মির্জার ছেলে মোশাররফ হোসেন সজিব। আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পেয়ে স্বজনরা পুলিশকে জানায়। পরে এ ঘটনায় মানিক নামের একজনকে আটক করে পিবিআই। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পার্শ্ববর্তী ঘাগড়া গ্রামের একটি মুরগির খামার থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সজিব শহরের হলিক্রিসেন্ট স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র। বগুড়ায় গৃহবধূ স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস থেকে জানান, সদরের বারপুর এলাকায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে মায়া খাতুন (১৮) নামে এক গৃহবধূ খুন হয়েছে। বুধবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। পুলিশ এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী রাকিবুল হাসানকে (২২) গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, বারপুর মধ্যপাড়ার আবু জাফরের ছেলে হাসানের সঙ্গে শিবগঞ্জ উপজেলার গৌরঘাট এলাকায় তোজাম্মেল হোসেনের মেয়ে মায়ার বিয়ে হয় প্রায় এক বছর আগে। বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। মঙ্গলবার রাত পৌনে বারোটার দিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ বাঁধে। এর এক পর্যায়ে মায়াকে তার স্বামী ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয়রা মায়াকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর গৃহবধূর স্বামীকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালায়। লক্ষ্মীপুরে ব্যবসায়ী নিজস্ব সংবাদদাতা লক্ষ্মীপুর থেকে জানান, সন্ত্রাসীরা অপহরণের পর আলমগীর হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা করেছে। বুধবার সকালে সদর উপজেলার কাজির দীঘির পাড় বাজার সংলগ্ন কাজির দীঘিরপাড় বাসুবাজার সড়কের একটি পাড় থেকে রক্তাক্ত লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। আলমগীর হোসেন রায়পুর উপজেলার বামনী ইউনিয়নের সাইছা গ্রামের মৃত বশির উল্যাহর ছেলে। সে রায়পুর পৌর শহরের শাহী হোটেল সংলগ্ন তানহা কম্পিউটার, তানহা পেপার হাউসসহ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক। নিহতের স্বজনরা জানান, সদর উপজেলার মান্দারী বাজারের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মঙ্গলবার বিকেলে পাওনা ৬ লাখ টাকা আনতে যায়। এরপর রাত ৯টার পূর্বে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা হলেও রাত ৯টার পর থেকেই আলমগীরের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপরে সারারাতেই খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান পাননি পরিবারের সদস্যরা। বুধবার সকালে সদর উপজেলার কাজির দীঘির পাড় বাজার সংলনগ্ন কাজির দীঘিরপাড় বাসুবাজার সড়কের একটি পাড়ে পানিতে তার লাশটি দেখে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। রাজশাহীতে ব্যবসায়ী স্টাফ রিপোর্টার রাজশাহী থেকে জানান, মহানগরের হড়গ্রাম এলাকা থেকে লালু মিয়া (৪০) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে হড়গ্রামের নির্মাণাধীন একটি বাড়ি থেকে লালুর লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি মহানগরের গুঁড়িপাড়া এলাকার মৃত আবদুস সামাদের ছেলে। কাশিয়াডাঙ্গা থানার ওসি মনসুর আলী বলেন, সন্ধ্যার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে হড়গ্রামের একটি নির্মাণাধীন বাড়ির মধ্যে এক ব্যক্তির মরদেহ পড়ে আছে বলে খবর পাওয়া যায়। পরে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। তার শরীরের কোথাও কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মাগুরায় দম্পতির লাশ উদ্ধার নিজস্ব সংবাদদাতা মাগরা থেকে জানান, সদর থানা পুলিশ মঙ্গলরার রাতে সদর উপজেলার রাঘবদাইড় গ্রাম থেকে নীরব বিশ্বাস (২১) ও শ্রাবণী বিশ্বাস (১৮) নামে এক দম্পতির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে। শাড়ি দিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। নীরব বিশ্বাস সদর উপজেলার রাঘবদাইড় গ্রামের রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসের ছেলে এবং শ্রাবণী বিশ্বাস শালিখা উপজেলার ধনেশ্বরগাতি গ্রামের রঞ্জিত বিশ্বাসের মেয়ে। জানা গেছে, তারা ২২ দিন পূর্বে নিজেরা বিয়ে করেছিল। এটি নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছিল।
×