ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

এডিস মশা নির্মূলে সরকারের স্থায়ী পরিকল্পনা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট

প্রকাশিত: ১০:৫৫, ২১ আগস্ট ২০১৯

এডিস মশা নির্মূলে সরকারের স্থায়ী পরিকল্পনা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এডিস মশা নির্মূল ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের স্থায়ী পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। অন্যদিকে ১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা শেখ হাসিনার ট্রেনে গুলির মামলায় মৃত্যুদ-াদেশপ্রাপ্ত আটজনসহ মোট ৪৩ জনের আপীল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে আদালত। মঙ্গলবার হাইকোর্টের বেঞ্চগুলো এ আদেশ প্রদান করেছে। এডিস মশা নির্মূল ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের স্থায়ী পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। মশা নিধনের চলমান অভিযানে কোন ওয়ার্ডে কতজন কর্মী দায়িত্ব পালন করছেন, তারা কখন যাচ্ছেন এবং কী কাজ করছেন তা বিস্তারিত জানাতে বলেছে আদালত। এছাড়া হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর পরিসংখ্যানও জানাতে বলা হয়েছে। বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মোঃ সোহরাওয়ার্দীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব নির্দেশ দেয়। আদালতে শুনানিকালে ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান বলেন, মশা নিধনে বিভিন্ন সচেতনতামূলক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত জনবল নিয়োগে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নতুন ওষুধ এনে ব্যবহার করা হচ্ছে। অন্যদিকে, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, ১১ আগস্ট থেকে নতুন ওষুধ ছিটানো শুরু হয়েছে। আজ থেকে আরও একটি ওষুধ ম্যালাথিওন ছিটানো শুরু হবে। আদালত বলে, সারা দেশে তো ওষুধ দেয়া হচ্ছে না। কমছে, সেটা পরিবেশের জন্য। ওষুধে কাজ হচ্ছে কি না সেটা খোঁজ নিলেই বলা যাবে। আমরা দেখব, রোগী কমছে কি না। আপীল শুনানির জন্য গ্রহণ ॥ ১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধী দলের নেতা শেখ হাসিনার ট্রেনে গুলির মামলায় মৃত্যুদ-াদেশ প্রাপ্ত আটজনসহ মোট ৪৩ জনের আপীল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি মোঃ রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও সালমা সুলতানা সোমা। আপীলকারী ৪৩ জনের মধ্যে আটজন মৃত্যুদ-প্রাপ্ত , ২২ জন যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত এবং ১৩ জন ১০ বছর করে দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন।
×