ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

জলঢাকায় শোক দিবসে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা গ্রেফতার ১

প্রকাশিত: ১০:০১, ১৭ আগস্ট ২০১৯

জলঢাকায় শোক দিবসে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা গ্রেফতার ১

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের পাশাপাশি সমাবেশ করাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের পক্ষে একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। অপরদিকে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। শুক্রবার সকালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ মমতাজুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রশিদ মঞ্জু, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ওয়াদুদ রহমান জলঢাকা উপজেলা যান। তারা উভয় গ্রুপের সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেন। পাশাপশি সৃষ্ট ঘটনা নিয়ে উপজেলার আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। জানা যায়, জেলার নেতৃবৃন্দ প্রথমে জলঢাকা পৌর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনছার আলী মিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক সহীদ হোসেন রুবেলের গ্রুপের সঙ্গে বৈঠকে বসে। এরপর জলঢাকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে সাবেক সংসদ সদস্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান বিএ গ্রুপের সঙ্গে বৈঠক করে। এরপর জেলা নেতৃবৃন্দ দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঘটনা সম্পর্কে অবগত হন। জলঢাকা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী অভিযোগ করে জানায়, জাতীয় শোক দিবসে জলঢাকায় সৃষ্ট ঘটনার জন্য পুরো দায়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনছার আলী মিন্টু ও মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ। আনছার আলী মিন্টু অপর গ্রুপ সাবেক এমপি গোলাম মোস্তফার আলোচনা সভায় হামলা চালায়। সভা চলাকালীন সেখানে লাঠিসোডা নিয়ে চড়াও হয়ে বক্তব্যরত সাবেক উপজেলা সভাপতি আব্দুল মান্নানকে লাঞ্চিত করে। এরপর মঞ্চে থাকা সাবেক এমপি গোলাম মোস্তফাকে লাঞ্চিত করা হয়। এরপর আনছার আলীর পক্ষ নিয়ে সেখানে নিজে লাঠি হাতে নিয়ে উপস্থিত হন তুরিন আফরোজ। তার মহড়া আর হামলা চালানোর নির্দেশনা এলাকাবাসীকে হতবাক করে দিয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, তুরিন আফরোজ জলঢাকা উপজেলার চাওড়াডাঙ্গি গ্রামের মৃত তসলিম উদ্দিনের মেয়ে। এ সময় এলাকাবাসী তাদের মোবাইলে ধারণ করা ঘটনার চিত্র জেলা নেতৃবৃন্দের কাছে প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরে উল্লেখ করেন তাদের এহেন কান্ডে জলঢাকা শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। ফলে ৫ পুলিশ সদস্যসহ উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ২২ জন আহত হয়। পরে জেলা শহর হতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সার্কেল) রুহুল আমিনের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ১৩ রাউন্ট টিয়ালসেল ও ১৩ রাউন্ট রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ জানান, দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় গ্রুপের সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেছি। পাশাপাশি ঘটনাটি তদন্ত করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন শীঘ্রই কেন্দ্রে প্রেরণ করা হবে।
×