বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কাশ্মীর পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ সরকার। তবে বিষয়টি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। অন্য কোন দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আমাদের কোন প্রকার মন্তব্য এবং কোন প্রকার প্রশ্ন করার এখতিয়ার নেই। কাজেই আমি এ বিষয়ে কোন প্রশ্ন করতে চাই না। কারণ, বিষয়টি আমাদের এখতিয়ারে নয়। আমরা পরিস্থিতি, প্রতিবেশী হিসেবে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। বুধবার মিরপুর মাজার রোডে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত চলমান পরিচ্ছন্নতা অভিযান কার্যক্রমের শুরুতে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত সুদীর্ঘ ৭০ বছর পর তাদের সংবিধান থেকে কাশ্মীর নিয়ে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করেছে। তাদের পার্লামেন্টের উভয়কক্ষ রাজ্যসভা এবং লোকসভায় এই বিল পাস হয়েছে। নিজেদের পার্লামেন্টে ভারতের জনপ্রতিনিধিরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ ব্যাপারে আমরা কোন প্রশ্ন বা মন্তব্য করতে চাই না।
ডেঙ্গু মোকাবেলায় জনগণকে সচেতন করতে ‘পরিষ্কার রাখি চারপাশের পরিবেশ, শেখ হাসিনার নির্দেশ ডেঙ্গুমুক্ত বাংলাদেশ’ শিরোনামে কর্মসূচী পালন করছে আওয়ামী লীগ। অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বলেন, মশার কার্যকর ওষুধ আমদানির প্রক্রিয়া দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। দুই-চার দিনের মধ্যে মশা নিধনের কার্যকর ওষুধ আমরা পাব, ঢাকায় এসে পৌঁছবে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী যতদিন আমরা বাংলাদেশকে এই ডেঙ্গু জ্বরমুক্ত আর এডিস মশাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারব ততদিন পর্যন্ত আমাদের এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, নগরবাসীকে অনুরোধ করব যার যার ঘর, ঘরের আঙিনা, যার যার কর্মস্থল, আশপাশের এলাকা, স্কুল, কলেজ ক্যাম্পাস এবং বিপণিবিতান পরিচ্ছন্ন রাখবেন।
ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে সবাইকে মশারি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মশা থেকে বাঁচতে মশারি টাঙানোর বিকল্প নেই। আপনি যখন ঘুমোতে যাবেন, রাতেরবেলায় হোক আর দিনেরবেলায় হোক মশারি ব্যবহার করবেন। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আওয়ামী লীগ সফল হবে- এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, দেশের মানুষ আজ এই প্রাণঘাতী ডেঙ্গু থেকে মুক্তি চায়। মানুষ আজ এডিস মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে চায়। মানুষের চাইতে মশা শক্তিশালী নয়। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, সমন্বিত উদ্যোগে এই প্রাণঘাতী মশক নিধনে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা সফল হব।
ডেঙ্গু মোকাবেলায় মশা নিধনে লোক দেখানো কর্মসূচী পালন না করতে সিটি কর্পোরেশনগুলোর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি অনুরোধ করব, দায়সারা গোছের ওষুধ ছিটানোর প্রয়োজন নেই। যেই ওষুধে সত্যিকার অর্থে মশক নিধন হবে, মানুষ চায় সেই ওষুধটা। আমরা লোক দেখানো কর্মসূচী দিয়ে জনগণকে ভাঁওতা দিতে চাই না, প্রতারণা করতে চাই না।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এসএম কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ এমপি, সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান এমপি, সংসদ সদস্য আসলামুল হক আসলাম এবং দারুস সালাম থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ফরিদুল হক হ্যাপি বক্তব্য রাখেন।
