বিশেষ প্রতিনিধি ॥ তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি একের পর এক গুজবের আশ্রয় নিচ্ছে। আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে গুজব ছড়াচ্ছে দলটি।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ উন্নত হচ্ছে এটি বিএনপির ভাল লাগছে না। এজন্য দেশে তারা নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা দেশে গুজব ছড়াচ্ছে।
তারা প্রথমে পদ্মা সেতু নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে, ছেলেধরা নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে, তারপর হারপিক আর ব্লিচিং পাউডার নিয়ে গুজব ছড়িয়েছে। এর পর এখন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়ে, হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে গুজবের আশ্রয় নিয়েছে। তবে এসব গুজব হয়ত বুদবুদ তৈরি করতে পারে। বুদবুদ যেমন হাওয়ায় মিলিয়ে যায়, তারাও ঠিক হাওয়ায় মিলিয়ে যাচ্ছে। যারা দেশের উন্নয়ন চায় না, সমাজের অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে, যারা দেশবিরোধী কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, তাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য তার আইনজীবীদের আইনী লড়াই জোরদার করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে দেখলাম, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিলে নাকি ডেঙ্গু মশা চলে যাবে। অর্থাৎ তারা এটি প্রমাণ করছে যে, রাজনৈতিকভাবে তারা হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। তারা এও বলছে, আওয়ামী লীগ নাকি খালেদা জিয়ার মুক্তি চায় না। তিনি একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আদালতের মাধ্যমে তার মুক্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের তো কোন বাধা নেই। আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে তিনি যদি মুক্তি পান, সেক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকেও কোন বাধা নেই। আপনারা আইনজীবীদের মাধ্যমে আইনী লড়াই জোরদার করুন। আপনাদের আইনজীবীদের মধ্যে যে নানা ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে, সেটি কাটিয়ে তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করুন। তাহলে হয়ত আইনী লড়াইটা জোরদার হবে।
জিয়াউর রহমান জাতিসংঘে পাকিস্তানের পক্ষে ওকালতি করেছিলেন দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, দেশ যখন অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তখন যেই শক্তিটি দেশের অভ্যুদয় চায়নি, সেই শক্তির পরবর্তী প্রজšে§র আশ্রয়স্থল হচ্ছে জিয়াউর রহমান। যারা বাংলাদেশ চায়নি, তাদেরকে পুনর্বাসিত করেছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি পাকিস্তান প্রতিনিধি দলের ডেপুটি লিডার হিসেবে জাতিসংঘে গিয়ে পাকিস্তানের পক্ষে ওকালতি করেছিলেন যে- বাংলাদেশে কোন মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে না। এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদ। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দারসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।