ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

অডি কাপ, বেনজেমার হ্যাটট্রিকে সান্ত¡নার তৃতীয় রিয়াল মাদ্রিদ

স্বাগতিক বেয়ার্নকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন টটেনহ্যাম

প্রকাশিত: ১১:৪১, ২ আগস্ট ২০১৯

স্বাগতিক বেয়ার্নকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন টটেনহ্যাম

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ স্বাগতিক ও ফেবারিট বেয়ার্ন মিউনিখকে সাডেন ডেথে হারিয়ে জার্মান অডি কাপের শিরোপা জিতে নিয়েছে ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার। বুধবার রাতে মৌসুমপূর্ব এ টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। জার্মানির মিউনিখের বিখ্যাত এ্যালিয়েঞ্জ এ্যারানায় নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ২-২ গোলে অমীসাংসিত ছিল। এরপর ম্যাচ গড়ায় ভাগ্য নির্ধারণী টাইব্রেকারে। সেখানে প্রথম পাঁচটি করে শট থেকে দু’দলই একটি শটে গোল করতে ব্যর্থ হয়। অর্থাৎ এখানেও খেলা ৪-৪ গোলে ড্র থাকে। এরপর শুরু হয় সাডেন ডেথ। সেখানে প্রথম দুই শটে দু’দলই গোল করে। কিন্তু সপ্তম শটে টটেনহ্যামের হয়ে জাপেট টাঙ্গানা গোল করলেও ব্যর্থ হন বেয়ার্নের জার্মান তারকা জেরোমে বোয়েটেং। যে কারণে রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল ৬-৫ গোলে জিতে অডি কাপে প্রথমবারের মতো শিরোপার স্বাদ পায় স্পার্সরা। প্রীতি ম্যাচ হলেও ট্রফি জিতে নতুন মৌসুম শুরুর আশায় শক্তিশালী দল নিয়ে মাঠে নামে স্বাগতিক বেয়ার্ন। কিন্তু দারুণ গোছালো টটেনহ্যামের সঙ্গে পেরে ওঠেনি বাভারিয়ানরা। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচের ১৯ মিনিটে আর্জেন্টাইন ফুটবলার এরিক লামেলার গোলে এগিয়ে যায় অতিথি টটেনহ্যাম। এই গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মাউসিরিও পোচেত্তিনোর দল। বিরতির পর ৫৯ মিনিটে ডেনিশ তারকা ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় স্পার্সরা। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়ায় বেয়ার্ন। ৬১ মিনিটে জার্মান ফুটবলার জান আর্পের গোলে ব্যবধান কমায় তারা। এরপর ম্যাচে ফিরতে মুহুর্মুহু আক্রমণ শানাতে থাকে স্বাগতিকরা। অবশেষে ম্যাচ শেষের নয় মিনিট আগে কানাডার ফুটবলার আলফানসো ডেভিসের গোলে সমতা ফেরায় বেয়ার্ন। বাকি সময়ে আর গোল না হলে ম্যাচ ২-২ গোলে শেষ হয়। এরপর শুরু হয় ভাগ্য নির্ধারণী টাইব্রেকার। সেখানে শেষ হাসি হাসে টটেনহ্যাম। ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বসিত টটেনহ্যাম কোচ পোচেত্তিনো বলেন, এই শিরোপাটা আমাদের জন্য স্পেশাল। জার্মানি থেকে বেয়ার্নের মতো দলকে হারিয়ে ট্রফি জয় সহজ কথা না। এই ট্রফি আমাদের নতুন মৌসুমে ভাল খেলতে উজ্জীবিত করবে। তিনি আরও বলেন, গত মৌসুমে আমরা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের ফাইনালে খেলেছি। এবারও ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই। এ লক্ষ্যে আমাদের প্রস্তুতিটা ভাল হলো। সেমিফাইনালে ফেনারব্যাচের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করা বেয়ার্ন তারকা থমাস মুলার ফাইনালে তেমন কিছু করতে পারেননি। হতাশ মুলার বলেন, আমরা ট্রফির জন্যই খেলেছি। কিন্তু টটেনহ্যাম ভাল খেলেই এটি জিতেছে। তাদের অভিনন্দন। এদিকে টটেনহ্যামের কাছে হেরে ফাইনালে খেলা হয়নি রিয়াল মাদ্রিদের। পরশু রাতে তারা তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হয় তুরস্কের ক্লাব ফেনারব্যাচের। সেমিতে না পারলেও এই ম্যাচে জ্বলে ওঠেন গ্যালাক্টিকো তারকারা। ফরাসী ফরোয়ার্ড করিম বেনজেমার হ্যাটট্রিকে ৫-৩ গোলে জয় পায় রিয়াল। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে প্রথম গোলটা অবশ্য করেছিল ফেনারব্যাচই। তবে গ্যারি রড্রিগুয়েজের গোলে পাওয়া লিডটি ছয় মিনিটের বেশি ধরে রাখতে পারেনি তারা। ১২ মিনিটে নিজের তিন গোলের প্রথমটি করেন বেনজেমা। ২৭ মিনিটে করেন দ্বিতীয় গোল। ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে দমে যায়নি ফেনারব্যাচ। ৩৪ মিনিটে নাবিল দিরারের গোলে সমতায় ফেরে তারা। স্কোরলাইন ২-২ রেখে বিরতিতে যায় দুই দল। বিরতি থেকে ফিরে ৫৩ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন বেনজেমা। এই গোলটি শোধ করতে মাত্র ছয় মিনিট সময় নেয় তুর্কি ক্লাব। তবে ওজান তুফানের গোলের পর সমতা ফেরালেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি ফেনারব্যাচ। ৬২ মিনিটে নাচো রিয়ালকে ৪-৩ গোলে এগিয়ে দেন। এরপর ৭৯ মিনিটে মারিয়ানো ডিয়াজের গোলে রিয়ালের জয় নিশ্চিত হয় (৫-৩)। এই টুর্নামেন্টে তৃতীয় হলেও তৃপ্তির ঢেঁকুর ফেলার সুযোগ নেই রিয়ালের। কারণ এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের কাছে ৩-৭, বেয়ার্ন মিউনিখের কাছে ১-৩ এবং টটেনহ্যামের কাছে ০-১ ব্যবধানের পরাজয়গুলো রিয়ালের দৈন্যদশারই সাক্ষী দিচ্ছে।
×