ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পাবনায় দুধ সংগ্রহ কার্যক্রম চালু ॥ খামারিরা স্বস্তিতে

প্রকাশিত: ০৯:১৪, ২ আগস্ট ২০১৯

পাবনায় দুধ সংগ্রহ কার্যক্রম চালু ॥ খামারিরা স্বস্তিতে

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ১ আগস্ট ॥ তরল দুধ ক্রয় বন্ধের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় জেলার খামারিদের কাছ থেকে দুগ্ধ সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেছে দুধ ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান। বুধবার বিকেল থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় সবগুলো দুগ্ধ সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান দুধ সংগ্রহের কার্যক্রম শুরু করেছে। পাবনা অঞ্চলে প্রায় ১১টি দুগ্ধ সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠান দুধ সংগ্রহ করে থাকে। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার কারণে দুধ খামারিদের মধ্যে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুরোদমে দুধ সংগ্রহ শুরু হওয়ায় খামারিদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার দুগ্ধ খামারি হারুনার রশিদ জানান, মনে হচ্ছে জীবন ফিরে পেলাম। এই দুধের উপরে আমার এবং এই অঞ্চলের কয়েক হাজার পরিবার জড়িত রয়েছে। দুইদিনে প্রায় কয়েক লাখ টাকার দুধ নষ্ট হয়েছে। তবে হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়াতে আমরা অনেক খুশি। চাটমোহর বাইপাস কাঠবাদাম এলাকার দুগ্ধ খামারি আব্দুল বারেক বলেন, ব্যাংক লোন, সমিতির লোন নিয়ে খামার করেছি। এই খামারের উপার্জন দিয়ে সংসার চলে। দুই দিনে দুধ বিক্রি করেছি পানির চাইতে কম দামে। আজ দুধ বিক্রি করতে পেরে বেশ ভাল লাগছে। চাটমোহর এবং ভাঙ্গুড়া উপজেলার প্রাণ ডেইরি ফার্মের সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক শরিফ উদ্দিন তরফদার জানান, দুধ সংগ্রহের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাদের যেমন উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে পাশাপাশি খামারিরাও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। আমরা হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক দুধ সংগ্রহ কার্যক্রম বন্ধ রেখেছিলোম। তবে শুধু পাস্তুরিত দুধের জন্য আমরা দুধ সংগ্রহ করি না। আমাদের অনেক দুগ্ধজাত পণ্য তৈরিতে প্রচুর পরিমাণ দুধ ব্যবহার হয়। এই অঞ্চলের অনেক খামারি আমাদের দুধ সরবরাহ করে থাকে। হাইকোর্টের নির্দেশনা স্থগিত করায় খামারিসহ আমারাও স্বস্তি পেয়েছি। পাবনা অঞ্চলে খামারি রয়েছে প্রায় ১২ হাজার। আর পাবনার ৯টি উপজেলায় দুধ উৎপাদন হয় প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ লিটার। এই সমস্ত দুধ এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষের চাহিদা মিটিয়ে খামারিরা বিভিন্ন কোম্পানির কাছে দুধ বিক্রি করে থাকে। এই শিল্পের ওপর নির্ভর করে এই অঞ্চলে গড়ে ওঠেছে গরুর খামার। দুইদিনে দুধ সংগ্রহ বন্ধ থাকায় পানির চাইতে কম দামে দুধ বিক্রি করেছে খামারিরা। প্রতি লিটার দুধের দাম হয়েছিল ১০ থেকে ১৫ টাকা।
×