ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রিয়ার অভিযোগ দুদক কর্মকর্তা স্বামীর প্ররোচনায় কি না- প্রশ্ন হাছান মাহমুদের

প্রকাশিত: ১০:২৩, ২২ জুলাই ২০১৯

 প্রিয়ার অভিযোগ দুদক কর্মকর্তা স্বামীর প্ররোচনায় কি না- প্রশ্ন হাছান  মাহমুদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ এনজিওকর্মী প্রিয়া সাহা কিভাবে এবং কাদের প্রতিনিধি হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে গেলেন তা তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। একই সঙ্গে ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের যে অভিযোগ করেছেন তাতে তার দুদক কর্মকর্তা স্বামীর প্ররোচনা আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা উচিত বলে মত দিয়েছেন তিনি। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে রবিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী ‘ধর্মীয় স্বাধীনতায় অগ্রগতি’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিতে ওয়াশিংটনে যাওয়া প্রিয়া সাহা ১৭ জুলাই হোয়াইট হাউসে এক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ওই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা মৌলবাদীদের নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান নিখোঁজ হয়েছেন। তার ওই বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় দেশের বিভিন্ন মহলে। প্রিয়া সাহা রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ করেছেন মন্তব্য করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ ঘটনার সঙ্গে নোবেলজয়ী মুহম্মদ ইউনূসের যোগসাজশ দেখছেন কি না- সেই প্রশ্নে হাছান বলেন, এটিও অবশ্যই তদন্তের দাবি রাখে। কারণ এ ধরনের একটা বক্তব্য, বিধ্বংসী বক্তব্য, দেশবিরোধী বক্তব্য, দেশের শান্তি-স্থিতি যেটি বিরাজ করছে সেটার বিপক্ষে এটা জঘন্য মিথ্যাচার। তাকে কারা সেখানে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠাল, এর পেছনে কারা যুক্ত ছিল, এর উদ্দেশ্য কী- সমস্ত কিছুই তো তদন্তের দাবি রাখে। প্রিয়া সাহার স্বামী দুদকের সহকারী পরিচালক জানিয়ে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন তার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে কি না? জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আইন যেটি বলে- স্বামীর অপরাধে স্ত্রী অপরাধী নয় বা স্ত্রীর অপরাধে স্বামী অপরাধী নয়। কিন্তু এই বক্তব্যের সঙ্গে স্বামীর কোন প্ররোচনা আছে কিনা- সেটি অবশ্যই তদন্তের বিষয় হতে পারে।
×