ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আট গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে আবাহনীর জয়

প্রকাশিত: ১২:৪৯, ৯ জুলাই ২০১৯

আট গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে আবাহনীর জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগের মোকাবেলায় ৪-০ গোলে জয়ী হওয়ার সুবাদে ফিরতি মোকাবেলাতেও সহজ জয় কুড়িয়ে নেয়া যাবে, এমনটাই ধরে নিয়েছিলেন ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের ভক্ত-সমর্থকরা। কিন্তু তাদের ধারণা পুরোপুরি সত্যি হয়নি। সোমবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলে (বিপিএল) তাদের দলটি জিতেছে ঠিকই, কিন্তু এত সহজে নয়, অনেক ঘাম ঝরিয়ে। তাদের এত সহজে জিততে দেয়নি এক সময়ের ফুটবল-শক্তি ব্রাদার্স ইউনিয়ন লিমিটেড। ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ খেলায় গোপীবাগের দল ব্রাদার্সকে আবাহনী হারিয়েছে ৫-৩ গোলে। আট গোলের রোমাঞ্চকর এই ম্যাচের প্রথমার্ধে বিজয়ী দল এগিয়েছিল ৩-০ গোলে। বিরতির পর ব্রাদার্স দারুণভাবে খেলায় ফিরে আসার চেষ্টা করে একের পর এক গোল করে। ৭৬ মিনিট পর্যন্ত আবাহনী ধরে রেখেছিল প্রথমার্ধের স্কোরলাইন। এরপর ব্রাদাস সাত মিনিটের ব্যবধানে দুটো গোল করে সেটা ২-৩ এ নামিয়ে আনে। এর ২ মিনিট পরেই অবশ্য আরেকটি গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলে ১৭ বারের ও সর্বশেষ লীগ শিরোপাধারী আবাহনী (৪-২)। এর তিন মিনিট পরেই আবারও নাটকীয়তা, ব্রাদার্স গোল করে ব্যবধান আবারও কমিয়ে ৩-৪ করে ফেলে। আবাহনী তখন ড্র তো বটেই, রীতিমতো হারের শঙ্কায় কাঁপছে! অথচ বিস্ময়করভাবে ম্যাচের সংযুক্তি সময়ে কি না তারাই আবারও একটি গোল দিয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলে, ব্রাদার্সকে হতাশায় সাগরে ভাসিয়ে! আবাহনীর মিডফিল্ডার জুয়েল রানা (১৩ ও ২১ মিনিটে) এবং নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্র্ড সানডে চিজোবা (৮৫ ও ৯০+২ মিনিটে) জোড়া গোল করেন। অপর ফরোয়ার্ড নাবিব নেওয়াজ জীবন করেন একটি গোল (১ মিনিটে)। ব্রাদার্সের সুদানি ফরোয়ার্ড জেমস মগা (৭৭ মিনিটে), মিডফিল্ডার মান্নাফ রাব্বি (৮৩ মিনিটে) এবং ডিফেন্ডার মিনহাজুল আবেদীন বাল্লু (৮৮ মিনিটে) ১টি করে গোল করেন। ২টি গোল করে আবাহনীর সানডে চলতি লীগে নিজের গোলসংখ্যা ১৭-তে নিয়ে গেলেন। ধরে রেখেছেন সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনটি। তার সতীর্থ জীবনও খুব একটা পিছিয়ে নেই। ১২ গোল করে দ্বিতীয় স্থানে আছেন তিনি (শেখ রাসেলের রাফায়েল ওদোয়িন-ও করেছেন ১২ গোল)। তবে বাংলাদেশী ফুটবলারদের মধ্যে এই লীগে সবচেয়ে বেশি গোল জীবনেরই। নিজেদের উনবিংশ ম্যাচে আবাহনীর ষোড়শ জয়। ৪৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের আগের দ্বিতীয় স্থানটি ধরে রেখেছে তারা। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ও ৪ পয়েন্ট বেশি নিয়ে বসুন্ধরা কিংস আছে এক নম্বরে। পক্ষান্তরে নিজেদের অষ্টাদশ ম্যাচে এটা দু’বারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাদার্সের একাদশ হার। আগের ৩ জয় ও ৪ ড্রতে ১৩ পয়েন্ট তাদের। পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান দ্বাদশ (১৩ দলের মধ্যে)। রেলিগেশনে পড়ার শঙ্কা থেকে এখনও বেরুতে পারছে না ঐতিহ্যবাহী এই দলটি।
×