ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শিরোপার পথে আরেকটি জয় বসুন্ধরার

প্রকাশিত: ০৯:৩৯, ৮ জুলাই ২০১৯

 শিরোপার পথে আরেকটি জয় বসুন্ধরার

তাহমিন হক ববী, নীলফামারী ॥ অভিষেকেই রীতিমতো বিস্ময় জাগানিয়া পারফর্মেন্স প্রদর্শন করে চলেছে বসুন্ধরা কিংস। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) ফুটবলের এবারের আসরে শিরোপা দৌড়ে নবাগত এই দলটিই এগিয়ে আছে। এই যাত্রা পথে প্রথমপর্বে সব বড় দলগুলোকে হারালেও টিম বিজেএমসির সঙ্গে অপ্রত্যাশিতভাবে গোলশূন্য ড্র করেছিল বসুন্ধরা। তবে ফিরতি লেগে আর সেই বেদনায় পুড়তে হয়নি শিরোপা প্রত্যাশী দলটিকে। রবিবার নীলফামারীর শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সহজেই বিজেএমসিকে ২-০ গোলে হারিয়েছে অস্কার ব্রুজোনের শিষ্যরা। বসুন্ধরার জয়ে গোল দু’টি করেন নুরুল ফায়সাল ও ব্রাজিলের মার্কোস। দাপুটে এই জয়ে বসুন্ধরা কিংস শিরোপার পথে আরেকধাপ এগিয়ে গেছে। বর্তমানে শীর্ষে থাকা দলটির পয়েন্ট ১৮ ম্যাচে ৫২। বসুন্ধরার হোম ভেন্যুতে নীলফামারী এসে কোন দলই তাদের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। দেশী কিংবা বিদেশী সব দলই নীলফামারীতে এসে পরাজয় নিয়ে ফিরেছে। এই মাঠে যেমন কিংস অপরাজেয় তেমনি দেশের অন্য মাঠেও এই সাফল্য ধরে রেখেছে। ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে বসুন্ধরা। তবে গোলের মুখ দেখছিল না কিংসরা। একের পর এক আক্রমণ আর কয়েক দফায় কর্নার কিক তাদের গোলের সুযোগ নষ্ট করার দৃশ্য ছিল দেখার মতো। অবশেষে ২৮ মিনিটে কিংসরা গোলের মুখ দেখতে পায় নুরুল ফয়সালের অসাধারণ কিকে। বল ঠেকাতে পরাস্ত হয় বিজেএমসির গোলরক্ষক আবুল কাশেম মিলন। এগিয়ে যায় কিংস ১-০। এর পরপরই বিজেএমসি আক্রমণ চালালেও কাজে লাগাতে পারেনি। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে গোল পরিশোধের সুযোগ হাতছাড়া করেন বিজেএমসির আব্দুল হালিম টুটুল। ৪০ মিনিটে বিজেএমসির নাইজিরিয়ান ইলিতা কিংসস্লিপ গোলের সুযোগ পেলেও কিংসের গোলরক্ষক জিকো বল লাফিয়ে হাতে লুফে নেয়। বিরতির পর গোল পরিশোধের জন্য মরিয়া হলেও বিজেএমসি বারবার ব্যর্থ হতে থাকে। অপরদিকে গোল সংখ্যা বাড়াতে কিংস একের পর এক আক্রমণ চালালেও তারাও ব্যর্থ হয়। বিজিএমসির ডি বক্সে ৫০ মিনিটে কোস্টারিকার ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেসের কাছ থেকে বল পায় কিরগিজস্তানের বখতিয়ার। তিনি বল এগিয়ে দেন ব্রাজিলের মার্কোসকে। কিন্তু না বল চলে যায় মাঠের বাহিরে। এখানেও কিংস গোলের হাতছাড়া করে। ৫৪ মিনিটে আরেকটি গোলের সুযোগ হারায় কিংস। ডি বক্সের কাছাকাছি থেকে কিক নেয় কোস্টারিকার ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেস। কিন্তু বল চলে যায় সাইডপোস্টের বাইরে দিয়ে। ৫৬ মিনিটেও কিংসের আরেকটি আক্রমণ কর্নারের মাধ্যমে রক্ষা করে বিজেএমসি। এখানে দুই দুইবার কর্নারের সুযোগ পেলেও গোলের মুখ দেখতে পায়নি কিংস। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে বসুন্ধরার আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে বিজেএমসির ক্যামরুনের ডিফেন্ডার বেবেক ফমবেগনে চোখে আঘাত পেলেও ব্যান্ডেজ নিয়ে খেলা চালিয়ে যান। গোল মিসের মহড়ার পর অবশেষে ৮১ মিনিটে জয় নিশ্চিত করা গোল পায় বসুন্ধরা। লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিলিয়ান তারকা মার্কোস। ৮৫ মিনিটে বিজিএমসি আক্রমণ চালালেও গোল করতে ব্যর্থ হয়। ৮৭ মিনিটে কিংসের ইব্রাহিম মধ্য মাঠ থেকে বল নিয়ে একাই ঢুকে পড়েছিল বিজেএমসির ডি বক্সে। কিন্তু নিশ্চিত গোল করতে ব্যর্থ হন ইব্রাহিম। এর পরেই বিজেএমসি আরেকটি জোরালো আক্রমণ চালায়। মিন্টু দাস ডি বক্সের সামনে থেকে কিংসের গোলবারে কিক নিয়ে তা গোলবারে লেগে ফিরে আসে। ম্যাচ শেষে দলের পারফর্মেন্সে সন্তোষ প্রকাশ করেন বসুন্ধরা কোচ অস্কার ব্রুজোন। তবে গোল সংখ্যা আরও বেশি হতে পারতো বলে মনে করেন তিনি। স্প্যানিশ কোচের খুশির কারণ খেলোয়াড়দের পারফর্মেন্সের কোন হেরফের হয়নি। পুরো মনঃসংযোগ ধরে রেখে একই তালে পুরো ম্যাচে দাপট দেখিয়েছে।
×