ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নিহত বাঙালী শ্রমিক সাবিন্দ্র দাসের পরিবারকে ১৫ লাখ টাকার চেক প্রদান

প্রকাশিত: ১০:১৫, ৩০ জুন ২০১৯

নিহত বাঙালী শ্রমিক  সাবিন্দ্র দাসের  পরিবারকে  ১৫ লাখ টাকার  চেক প্রদান

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২৯ জুন ॥ পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুতকেন্দ্রের বয়লারে কর্মরত অবস্থায় সেফটি বেল্ট খুলে নিচে পড়ে নিহত শ্রমিক সাবিন্দ্র দাসের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৫ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার বিকেল চারটায় তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের অভ্যন্তরে নর্থ ইস্ট (নাম্বার-১) ইলেকট্রিক পাওয়ার কন্সট্রাকশন কর্পোরেশন লিমিটেড (এনইপিসি) অফিসে এ চেক আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে। চেকটি গ্রহণ করেন নিহত সাবিন্দ্র দাসের স্ত্রী শুক্লা দাস। এ সময় সাবিন্দ্রের বাবা নগেন্দ্র দাস উপস্থিত ছিলেন। এনইপিসি এ ক্ষতিপূরণ প্রদান করেন। কলাপাড়ার ইউএনও মোঃ মুনিবুর রহমান, বিসিপিসিএলের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজওয়ান ইকবাল, এনইপিসি’র ভাইস ম্যানেজার মিঃ উ ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তর করেন। গত ১৮ জুন বিকেল তিনটার দিকে পায়রা তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের বয়লার থেকে পড়ে নিহত হন শ্রমিক সাবিন্দ্র দাস। এ ঘটনায় লাশ গুমের সৃষ্ট গুজবকে কেন্দ্র করে বাঙালী শ্রমিকরা চীনা শ্রমিকদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় লিপ্ত হয়। রাতে একদল সন্ত্রাসী পাওয়ার প্লান্ট অভ্যন্তরে হামলা-ভাঙচুর চালায়। এর প্রেক্ষিতে বিদ্যুতকেন্দ্রে কর্মরত বাঙালী শ্রমিকদের ১৫ দিনের ছুটি দেয়া হয়। বর্তমানে চীনা শ্রমিকরা কর্মরত রয়েছে। এছাড়া ভবনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে দেড় শতাধিক বাঙালী শ্রমিকও কাজ করছে। তবে পাওয়ার প্লান্ট এলাকায় কয়েকদিনের মধ্যেই বাঙালী শ্রমিকরা কাজে যোগদান করবে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বর্তমানে কঠোর পুলিশী সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা রয়েছে বিদ্যুত প্লান্ট এলাকায়। পরিস্থিতি রয়েছে শান্ত। বাঙালী শ্রমিকরা ফের কাজে যোগদানের প্রস্ততি নিচ্ছে বলে শ্রমিক সরবরাহকারী একাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে জানা গেছে। বিসিপিসিএলের জুনিয়র এ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার শাহ মনি জিকো জানান, কয়েক দিনের মধ্যেই চীনা শ্রমিকদের সঙ্গে বাঙালী শ্রমিকরা যৌথভাবে পাওয়ার প্লান্টের কাজ শুরু করবে। বর্তমানে চীনা শ্রমিকরা নির্বিঘেœ কাজ করছে। আগামী ডিসেম্বরে পায়রা তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের উৎপাদন কাজ শুরু হচ্ছে বলেও এ কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
×