ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পরিবেশ রক্ষায় কর্মস্থল ও বাসস্থানে গাছ লাগান

প্রকাশিত: ১০:৪৩, ২১ জুন ২০১৯

পরিবেশ রক্ষায় কর্মস্থল ও বাসস্থানে গাছ লাগান

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ দেশের নাগরিকদের প্রত্যেককে পরিবেশ রক্ষায় কর্মস্থল ও বাসস্থানে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়ে সন্তানদেরও এই পরিবেশবাদী কাজ শেখানোর পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নগরায়নের সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশ সুরক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে নতুন প্রকল্প গ্রহণকালে প্রাকৃতিক জলাধার সৃষ্টি ও তা সংরক্ষণ এবং অধিকহারে বৃক্ষরোপণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের এটাও লক্ষ্য রাখতে হবে, যে কোন প্রকল্পের সঙ্গে বৃক্ষরোপণ করতেই হবে এবং জলাধার সৃষ্টি ও জলাধার সংরক্ষণ করতে হবে। আমরা পরিবেশ রক্ষায় যথেষ্ট সচেতন। আমাদের যত স্কুল, কলেজ, অফিস, আদালত আছে আমি সবাইকে অনুরোধ করব প্রত্যেকে যার যার কর্মস্থলে এবং বাসস্থানে কিছু গাছ লাগাবেন। আমাদের ছেলেমেয়েদেরও শেখাতে হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা-২০১৯ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নের বিরোধিতা করি না, সবাইকে অনুরোধ করব আমাদের বিভিন্ন প্রজেক্ট নেয়ার সময় আমি দেখেছি যেখানে জলাধার রয়েছে সেটা ভরাট করেই বিল্ডিং তুলতে হবে। এই করতে করতে ঢাকা শহরে যতগুলো খাল, পুকুর ছিল এখন আর তা নেই। একটি সংস্থার পরামর্শে পূর্বের সরকার তা শুরু করে দিল। তিনি বলেন, আমাদের বক্স কালভার্ট করার কোন প্রয়োজন নেই। আমাদের খালগুলো ওভাবে রেখেই আমরা কিন্তু খালের দুই পার দিয়ে রাস্তা করতে পারি অথবা আমরা সেখানে এলিভেটেড রাস্তাও করে দিতে পারি। তিনি বলেন, খাল খালের মতোই থাকবে। সেখানে নৌ চলাচলও করতে পারে, তাতে আমাদের পরিবেশও রক্ষা পাবে, বায়ুদূষণ কমবে এবং সেখানকার বাতাসটাও আরামদায়ক হবে। কিন্তু যেখানে কোন গাছ থাকে না সেখানে সেই পরিবেশটা থাকে না। সেই বিষয়ে আমাদের বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে। নদী রক্ষায়ও তার সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকার চারপাশে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদীকে ‘প্রতিবেশগত সঙ্কটাপন্ন এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করে তা ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা হচ্ছে। এসব নদীর তীর হতে অবৈধ স্থাপনা অপসারণের কাজ চলছে। তিনি বলেন, অবৈধ দখলকারী যত ক্ষমতাশালীই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আমরা এসব নদীকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে চাই। পাশাপাশি ঢাকা শহরের চারপাশে নদী তীরের পরিবেশ উন্নয়নের মাধ্যমে মানসম্পন্ন নির্মল বিনোদনের ব্যবস্থা করা হবে। একই সঙ্গে নৌপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জানি বৈশ্বিক উঞ্চায়ন বা জলবায়ু পরিবর্তনের একটি ধাক্কা আমাদের ওপর আসবেই। আমরা কারও মুখাপেক্ষী না হয়ে নিজেরাই কিছু ব্যবস্থা নিয়েছি। এই জলবায়ু পরিবর্তন এখনও আমাদের কোন ক্ষতি করতে পারছে না। কিন্তু আমরা যেহেতু দায়ী না, উন্নত দেশগুলো এজন্য দায়ী। অথচ ভুক্তভোগী হতে হচ্ছে আমাদের মতো দেশকে। সেজন্য আমরা আমাদের নিজস্ব পরিকল্পনা, নিজস্ব অর্থায়নে উদ্যোগ নিয়েছি। দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব ভবিষ্যতেও যাতে না পড়ে, সেই পরিকল্পনা নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মাহসীন চৌধুরী। অনুষ্ঠানের শুরুতে পরিবেশ ও বনের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধু এওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন-২০১৯, বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০১৮ ও সামাজিক বনায়নের লভ্যাংশের চেক এবং একইসঙ্গে পরিবেশ সংরক্ষণে ভূমিকা রাখার জন্য জাতীয় পরিবেশ পদক-২০১৯ প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানস্থল থেকে গাজীপুরে ‘শেখ কামাল ওয়াইল্ড লাইফ সেন্টার’ এবং পরিবেশ অধিদফতরের জন্য নতুন ভবনও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সরকারের বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তা, দফতর এবং বিভাগের প্রধানগণ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক-রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রতি বছর ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হলেও এ বছর ঈদ-উল ফিতরের কারণে দিবসটি পিছিয়ে বৃহস্পতিবার উদযাপন করা হচ্ছে। জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচী এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘বায়ুদূষণ’। বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী পরিবেশ ও বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করেন এবং বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সভ্যতা এবং তার ক্রমবিকাশ অবশ্যই অব্যাহত থাকবে। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের সর্বক্ষেত্রেই এই বিষয়টা লক্ষ্য রাখতে হবে যে, আমাদের পরিবেশটাকেও রক্ষা করতে হবে। তিনি সবাইকে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রত্যেকেই নিজের কর্মস্থল ও বাসস্থানে গাছ লাগাবেন। অন্তত একটি করে বনজ, ফলদ এবং ভেষজ গাছ লাগাবেন। ছেলে-মেয়েদেরও বৃক্ষরোপণ শেখাতে হবে। শুধু গাছ লাগালেই হবে না, পরিচর্যাও করতে হবে। প্রত্যেকে নিজের এলাকায় যত ইচ্ছে গাছ লাগাবেন। এতে কয়েক বছর পর টাকাও পাওয়া যায়, বছর বছর ফল পেলেও খুশি লাগে। এ সময় সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা আজিমপুর গার্লস স্কুলে পড়ার সময় বান্ধবীদের সঙ্গে নিয়ে গাছ লাগানোর স্মৃতিচারণও করেন। সুন্দরবন রক্ষণাবেক্ষণে সরকারের কর্মসূচীর কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন। সুন্দরবনের পরিবেশ রক্ষায় রয়েল বেঙ্গল টাইগারের বড় ভূমিকা রয়েছে। কারণ বনে বেশি বাঘ থাকলে অনেকে ভেতরে গিয়ে বনের ক্ষতি করার সাহস পায় না। তিনি বলেন, সুন্দরবনকে রক্ষায় নদীর লবণাক্ততা দূর করতে হবে। লবণাক্ততা দূর হলে হোগলা বন বেড়ে যায়। আর হোগলা বন বাড়লে বাঘের ব্রিডিং পয়েন্ট বাড়ে। সেইসঙ্গে নদীর নাব্য বাড়ানোরও কাজ করা হচ্ছে। সরকারপ্রধান আরও বলেন, মানবিক কারণে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হলেও ধ্বংস হয়ে গেছে পাহাড়ী বনাঞ্চল। এ সময় উখিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ অতীতকে স্মরণ করে বর্তমানের সঙ্গে এর বিস্তর ব্যবধানের কথা উল্লেখ করে তিনি। পরিবেশ দূষণে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা নিজেরা আর ক’দিন থাকব। কিন্তু আমাদের বংশধররা যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে, টিকে থাকতে পারে, সেজন্য শতবর্ষব্যাপী ডেল্টা প্লান নিয়ে কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে, আমরা আরও আধুনিক হচ্ছি। এর সঙ্গে বাড়ছে পরিবেশ দূষণ। আমরা যত বেশি যন্ত্রের ব্যবহার করছি তত বেশি পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। রান্নার ধোঁয়া, ডিটারজেন্ট, সাবান, শ্যাম্পু, মনুষ্য বর্জ্য, ইটভাটা, বিভিন্ন কেমিক্যাল পরিবেশ দূষণ করছে। এসবের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে আমাদের সবাইকে গাছ লাগানোর পাশাপাশি তিনি গবেষকদের এসব মনুষ্য সৃষ্ট দূষণের হাত থেকে পরিবেশকে রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। সরকারপ্রধান বলেন, আমরা একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে যাচ্ছি। এর প্রতিটি জায়গাতেই জলাধার থাকবে এবং বৃক্ষরোপণ করা হবে। এমনকি আমরা যখন হাউজিং প্লান করছি সেখানেও জলাধারের ব্যবস্থা রাখছি। প্রতিটি ক্ষেত্রে এজন্য আমরা বিশেষভাবে দৃষ্টি দিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করছি যাতে করে আমাদের পরিবেশটা সুরক্ষিত থাকে। তিনি বলেন, আমাদের মোট ভূমির ২০ ভাগ বনায়ন করতে হবে। এছাড়া যে বনগুলো আছে তা রক্ষা করতে হবে। নদী ড্রেজিং, নদী প্রবাহমান রাখতে হবে। বিভিন্ন দ্বীপে প্রচুর বৃক্ষরোপণ করতে হবে। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অবিবেচনাপ্রসূত কর্মকা-ের ফলে প্রতিনিয়ত বায়ু দূষিত হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য অনুযায়ী উন্মুক্ত স্থানের বায়ুদূষণের ফলে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৪২ লাখ মানুষ মারা যায়। বিশেষ করে রান্নার এবং জ্বালানির ধোঁয়া থেকে সৃষ্ট বায়ুদূষণের ফলে আরও প্রায় ৩৮ লাখ মানুষ মারা যায়। এ সময় তার সরকারের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপসমূহের উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সরকার ইট নির্মাণ শিল্পকে পরিবেশসম্মতভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে ইট প্রস্তুত ও ভাঁটি স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৩ প্রণয়ন করে। এটি ২০১৮ সালে আবারও সংশোধিত আকারে পাস করা হয়। দেশে বিদ্যমান প্রায় তিন-চতুর্থাংশ (৭১ দশমিক ৬৪ শতাংশ) ইটভাঁটিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিবেশসম্মত এবং জ্বালানি-সাশ্রয়ী ইটভাঁটিতে রূপান্তর করা হয়েছে। যানবাহনের কালো ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকাসহ সকল বড় শহরগুলোতে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকারী সংস্থাসমূহ সমন্বিত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ঝড়-জলোচ্ছ্বাসসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধে সারাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলতে সরকারের উদ্যোগও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, উপকূলীয় এলাকায় সবুজ বেষ্টনী সৃজন এবং বনভূমির ডিজিটাল ম্যাপ প্রস্তুত করা হচ্ছে। সুন্দরবনসহ মোট ১৫টি সংরক্ষিত এলাকার ২০০৯ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত কার্বন জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁঁকি মোকাবেলায় তার সরকার নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁঁকি মোকাবিলায় লাগসই প্রকল্প গ্রহণের জন্য কান্ট্রি ইনভেস্টমেন্ট প্লান-সিআইপি ২০১৬-২০২১ প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকারের দারিদ্র্য বিমোচনের অন্যতম কৌশল সামাজিক বনায়ন কর্মসূচীর সাফল্যও তুলে ধরেন তিনি বলেন, বনের পাশে এবং প্রান্তিক ভূমিতে বসবাসরত দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে সামাজিক বন সৃষ্টি করা হচ্ছে। যেখানে সরকারী জমিতে বৃক্ষ রোপণ ও পরিচর্যাকারী ব্যক্তি বা সংগঠনকে বনজ সম্পদ থেকে আহরিত লভ্যাংশের ৭৫ ভাগ দেয়া হয়। বাকি ২৫ ভাগ সরকারের রাজস্ব খাতে জমা হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় পরিবেশ সংরক্ষণ ও ওজন স্তর সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সার্টিফিকেট অব এপ্রিসিয়েশন অর্জন এবং বাংলাদেশ সাউথ এশিয়া কো-অপারেটিভ এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের (সাসেপ) নির্বাহী বোর্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক অভিঘাত মোকাবেলায় বর্তমান সরকারের গৃহীত উদ্যোগের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৫ সালে জাতিসংঘ তাকে লিডারশিপ ক্যাটাগরিতে ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দি আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত করার কথাও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
×