ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আজ পবিত্র শব-ই-কদর ॥ জুমাতুল বিদায় মুসল্লির ঢল

প্রকাশিত: ১০:১৪, ১ জুন ২০১৯

 আজ পবিত্র  শব-ই-কদর ॥ জুমাতুল বিদায় মুসল্লির ঢল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শব-ই-কদর আজ। দিন শেষে যে রজনীর আগমন হবে তা মহিমান্বিত রজনী হিসেবে পরিচিত। পবিত্র গ্রন্থ আল কোরানে একে এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ রজনী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এই রাতেই নাজিল করা হয়েছে পবিত্র গ্রন্থ আল কোরান। শব-ই-ক্বদরের রাতে বান্দাদের রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগীর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এই রাতে ইবাদত হাজার বছরের ইবাদতের সমান। এদিকে আল্লাহ্র নৈকট্য ও অধিক পুণ্য লাভের আশায় আজ রাতে সারাদেশে মুসল্লিরা রাত জেগে ইবাদত- বন্দেগীতে শরিক হবেন। পবিত্র কোরানে শব-ই-ক্বদর নামে আলাদা একটি সূরা নাজিল করা হয়েছে। ৯৭ নম্বর সূরায় আল্লাহ্ তাঁর রাসুল হযরত মুহম্মদ সাঃ-এর উদ্দেশে কোরান নাজিল সম্পর্কে বলেন, আমি একে নাজিল করেছি শব-ই-ক্বদরে। শব-ই-ক্বদর সম্পর্কে আপনি কী জানেন? শব-ই-ক্বদর হলো এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। আজ শনিবার দিন শেষে যে রজনী আসছে সেটাই শব-ই-ক্বদরের রজনী বলে পরিচিত। সন্ধ্যায় সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাতের তাৎপর্য শুরু হবে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে আজকের রজনী অতিবাহিত করবেন। এ উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ সারাদেশে মসজিদে ইবাদতের বিশেষ প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। লাইলাতুল কদর উপলক্ষ রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা এই রাতে মুসলিম উম্মার সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে এই রজনী অতিবাহিত করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আজ বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। তারাবিহ নামাজের পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে শব-ই-ক্বদরের ফজিলত ও করণীয় শীর্ষক ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। ওয়াজ মাহফিলের পর লাইলাতুল কদর উপলক্ষে বিশেষ মুনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় মসজিদসহ দেশের সব মসজিদেই তারাবির নামাজের পর থেকে ওয়াজ মাহফিল, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে। জুমাতুল বিদা পালিত ॥ যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হলো রমজান মাসের শেষ শুক্রবার জুমাতুল বিদা। এদিনটি আবার আল কুদ্স দিবস হিসেবে পরিচিত। জুমাতুল বিদা উপলক্ষে মসজিদে মসজিদে ছিল মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড়। সব বয়সী মুসল্লিরা জুমার নামাজে অংশগ্রহণ করে। দুপুর ১২টা থেকে সবাই মসজিদে উপস্থিত হতে থাকেন। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই আল্লাহ্র সান্নিধ্য লাভ ও অধিক পুণ্যের আশায় মসজিদে হাজির হন। নামাজ শেষে মুসলিম উম্মার সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। রমজান মাসের সর্বোত্তম বা উৎকৃষ্ট দিবস হলো জুমাতুল বিদা। রমজান মাসের শেষ শুক্রবার অথবা শেষ জুমার দিন জুমাতুল বিদা হিসেবে মুসলিম বিশ্বে পরিচিত। এ মাসের শেষ জুমার দিন আবার পালিত হয় আল কুদ্স দিবস হিসেবে। এদিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম।
×