ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

হরিণ শিকার থামছে না সুন্দরবনে

প্রকাশিত: ০৮:৩১, ২৯ মে ২০১৯

হরিণ শিকার থামছে না সুন্দরবনে

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ সুন্দরবনে হরিণ শিকার নির্মূল করা যাচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি সত্ত্বেও থেমে নেই হরিণ শিকার। মাছ ধরার পাস নিয়ে চোরা শিকারীরা বন্যপ্রাণী শিকার করছে। চোরাই পথেও বনে ঢুকছে। সুন্দরবনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে প্রায়ই আটক হচ্ছে হরিণের মাংসসহ ইঞ্জিনচালিত ট্রলার। গত কয়েক বছরে কোস্টগার্ড বাহিনীর অভিযানে পূর্ব সুন্দরবনের মংলা, শরণখোলা জয়মনি, চাঁদপাই, কটকা, আন্ধারমানিক, নলিয়ান, পাথরঘাটাসহ বন ও বনসংলগ্ন বিভিন্ন এলাকা থেকে হরিণের মাংস, চামড়া, হরিণ ধরার ফাঁদসহ হরিণ শিকারী আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে আট কেজি হরিণের মাংসসহ বাদশা শিকদার নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বন বিভাগ। পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের ভোলা নদী এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় বাদশার সহযোগী দুইজন পালিয়ে যায়। বাদশা শরণখোলা উপজেলার উত্তর তাফালবাড়ি এলাকার আবুল হাশেম শিকদারের ছেলে বলে শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক জয়নাল আবেদিন জানান। এর আগে ১৮ মে শনিবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটার বনফুল আবাসন সংলগ্ন একটি ছোট খাল থেকে দুটি মাথা ও দুটি চামড়াসহ প্রায় পাঁচ মণ হরিণের মাংস জব্দ করে বন বিভাগ। এ সময় হরিণ ধরা ফাঁদসহ একটি ছোট ইঞ্জিনচালিত ট্রলার জব্দ করা গেলেও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি। ১১ মে গভীর রাতে সুন্দরবনের আন্ধারমানিক এলাকায় একটি চক্র হরিণ শিকারের ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করছে এ খবর পেয়ে ওই এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় চোরা শিকারীরা কোস্টগার্ড বাহিনীর উপস্থিতি আঁচ করতে পেরে সটকে পড়ে। ঘটনাস্থল থেকে হরিণের একটি চামড়া, একটি মাথা ও ১৫শ’ দাইন ফাঁদ জব্দ করা হয়। হরিণ শিকারের কাজে ব্যবহৃত ১৫শ’ দাইন ফাঁদ জব্দ করে ভস্মীভূত করা হয়েছে। চলতি বছরের ২৫ মার্চ সুন্দরবনের হারবারিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৭ কেজি হরিণের মাংস, ২টি মাথা ও ২ টি চামড়া জব্দ করেছে কোস্টগার্ড। এছাড়াও পশ্চিম সুন্দরবনের শিবসা নদী, কয়রা নদী, জোড়া শিং, হড্ডাসহ অন্যান্য এলাকা থেকে হরিণের মাংস আটক হওয়া নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। চোরা শিকারীরা মাছ ধরার পাস নিয়ে গোপনে হরিণ শিকার করছে। ফলে চোরা শিকার দমন করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
×