ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আমরাও পারি

প্রকাশিত: ১০:৪০, ৯ মে ২০১৯

 আমরাও পারি

বর্তমান বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ও অভিজাত খেলা নামে এ ক্রিকেটকে বাঙালী জাতি এতটাই ভালবেসে ফেলেছে যে, জাতির অনেক আশা-আকাক্সক্ষার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে এ ক্রিকেট। ক্রিকেট বিশ্বে আমাদের অবস্থান দিন দিন উন্নতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। ইংরেজ শাসনামলে এ অঞ্চলে ক্রিকেট খেলার সূচনা হলেও স্বাধীনতার পর মাত্র এক দশকের মধ্যে বাংলাদেশ আইসিসির সহযোগী সদস্যের মর্যাদা লাভ করলেও দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নের বাস্তব রূপ নেয় ৯৭-এর আইসিসি ট্রফিতে। মালয়েশিয়ার কিলাত ক্লাব স্টেডিয়ামে ইতিহাস সৃষ্টি করে বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোচ গর্ডন গ্রিনিজ এর তত্ত্বাবধানে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। ১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে ২৪ মে তৃতীয় খেলায় যথেষ্ট ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়লাভ করে এবং ৩১ মে পঞ্চম খেলায় সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানকে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করে বিশ্ববাসীর কাছে একটি নতুন ক্রিকেট শক্তি হিসেবে জানান দিয়ে নতুন দল হিসেবে মূল্যবান চার পয়েন্ট অর্জন করে। তারপর ইংল্যান্ডের লর্ডসে আইসিসির দ্বিবার্ষিক সভায় সহযোগী ৩৬টি দেশের সর্বসম্মত ভোটে বাংলাদেশ টেস্ট মর্যাদা লাভ করে এবং বিশ্ব ক্রিকেটের টেস্ট পরিবারের অন্যতম সদস্য হয়ে ২৬ জুন, ২০০০ সালকে ক্রিকেটের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে স্থাপিত করে। এরপর থেকে বাংলাদেশ শক্তিশালী একটি ক্রিকেট দলে পরিণত হওয়ার জন্য ক্রিকেট দলের সদস্য্যরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে এবং সর্বাত্মক চেষ্টা করছে ক্রিকেট দিয়ে বিশ্বজয়ের। দেশে-বিদেশে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে এবং দেশের অভ্যন্তরে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করে তাদের খেলোয়াড়ি মানসিকতার অবস্থানকে বিশ্ববাসীর কাছে জানান দিয়ে যাচ্ছে। নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজকের যোগ্যতা অর্জন করে। ২০১৫ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে এবং ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমিফাইনাল ও তিনবার এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয়। সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ানের রেকর্ডটিও এ দেশের দখলে। বাংলাদেশ এখন সবকটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে জয় পেয়েছে। ওয়ানডেতেও বিশ্বের সবকটি দেশের বিরুদ্ধে জয় পেয়েছে। এরমধ্যে বাংলাদেশের ঝুলিতে কয়েকটি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দেশকে হোয়াইট ওয়াশ করারও রেকর্ড আছে। সম্প্রতি রেডিসন ব্লু হোটেলে বিশ্বকাপ স্বপ্ন-সম্ভাবনা-প্রস্তুতি সম্পর্কে এক সাক্ষাৎকারে অধিনায়ক মাশরাফি বলেন, ‘আমাদের দলে বিশ্বকাপ জেতার মতো সব সামর্থ্যই রয়েছে। আমাদের দলে বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার সাকিব আছে। ওয়ানডের বিশ্বসেরা একাদশে মুস্তাফিজ সুযোগ পেয়েছে। ইনজুরিতে না পড়লে তামিম ২০১৮ তে ইতিহাস সৃষ্টি করতে পারত। মুশফিক টেকনিক্যালি বিশ্বের অন্যতম ব্যাটসম্যান। ফিনিশিংয়ে রিয়াদ আছে। বোলিং এ আমার অনেক বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। রুবেল ১০ বছর ধরে খেলছে। বিশ্বকাপ জেতার এমন কিছু নেই, যা আমাদের দলে নেই। তবে যেটির অনুপস্থিতি, তা হলো আমাদের মানসিক শক্তি। সুতরাং আগেই আমাদের মানসিক শক্তির বিকাশ ঘটাতে হবে’। দোহাজারী, চট্টগ্রাম থেকে
×