ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রবীন্দ্রজয়ন্তীতে উৎস নাট্যদলের ‘স্বর্ণজননী’

প্রকাশিত: ১২:২৭, ৭ মে ২০১৯

 রবীন্দ্রজয়ন্তীতে উৎস নাট্যদলের ‘স্বর্ণজননী’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রবীন্দ্রজয়ন্তীর দিন আগামীকাল ২৫ বৈশাখ তারুণ্য নির্ভর নাট্য সংগঠন উৎস নাট্যদল বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। ৮ মে উৎস নাট্যদল চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এদিন রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করতে যাচ্ছে দলটি। এ উপলক্ষে এদিন সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে আয়োজিত বিশেষ অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে নাট্যজনদের আলোচনা, নাট্যকর্মীদের স্মৃতিচারণ, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা এবং সব শেষে রয়েছে উৎস নাট্যদলের তৃতীয় প্রযোজনা ‘স্বর্ণজননী’ নাটকের ৯ম মঞ্চায়ন। দেশবরেণ্য নাট্যকার মান্নান হীরার রচনায় নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন তরুণ নির্দেশক ইমরান হোসেন ইমু। নাটকটি দেখতে দেশবরেণ্য নাট্যজন উপস্থিত থাকবেন। ‘স্বর্ণজননী’ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন রাকিবুল ইসলাম রাসেল, ইমরান হোসেন ইমু, শাহীদুল ইসলাম আপন, করুনা বিশ্বাস, হাসান নাহিদ, মেঘলা আক্তার, অর্ক আহম্মেদ রিপন, তাসলিমা আক্তার লিজা, বিল্লাল হোসেন রিমনসহ আরও অনেকে। ‘স্বর্ণজননী’ নাটকের কাহিনীতে তুলে ধরা হয়েছে ব্যতিক্রমী একটি গল্প। আমাদের এই ভূণ্ডখণ্ড দীর্ঘদিন বিদেশী শাসনের অধীনে ছিল। তার থেকে মুক্তি ঘটে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। এর বিনিময়ে আমাদেন হারাতে হয় ৩০ লাখ তাজা প্রাণ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম। কিন্তু সেই সম্ভ্রমহারা মা-বোনের সবাই কি ফিরে পেয়েছিল তাদের পরিবার, স্বজন বা প্রিয় মানুষটিকে। সমাজের সচেতন মহলও কি তখন নারীর পূর্ণ মর্যাদা দিয়ে ফিরিয়ে নিয়েছিল তাদের? এমনই প্রশ্ন নিয়ে নাটক ‘স্বর্ণজননী’। নাটকের নাম ‘স্বর্ণজননী’ জগতের সকল জননী কেন স্বর্ণজননী নন? এ নাটকে উঠে এসেছে স্বাধীনতা যুদ্ধের আগুনলাগা সময়ে যে নারীরা দগ্ধ হয়েছিলেন তাদের কয়েকজন। তাদের জবানবন্দী, তাদের স্বপ্ন এ নাটকের মূল উপজীব্য। কি স্বপ্ন বুকে নিয়ে বন্ধ নিশ্বাসে কেটেছে তাদের যুদ্ধকালীন নয় মাস- এ নাটক তারই একটি ক্ষুদ্র আখ্যান। যুদ্ধজয়ের কোলঘেঁষা সময়গুলোতে আমরা কি পেরেছিলাম দেশটাকে স্বাধীন করেও তাদের বুকে তুলে নিতে। কতযুগ সময় লেগেছে সেই স্বর্ণজননীদের আপন ভিটায় পা রাখতে, স্বজনের বুকে ঠাঁই পেতে? আর সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে কি সকলের? এমন সব প্রশ্ন ও তার সম্ভাব্য জবাবের প্রয়াসই ‘স্বর্ণজননী’। তাই আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলা হয়েছে নমি আমি জগতের সকল জননীরে।
×