ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সুবীর নন্দীর আবারও হার্ট এ্যাটাক

প্রকাশিত: ১১:০১, ৭ মে ২০১৯

 সুবীর নন্দীর  আবারও  হার্ট এ্যাটাক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী সুবীর নন্দীর চতুর্থবারের মতো হার্ট এ্যাটাক হয় সোমবার সকালে। তার শারীরিক অবস্থা ক্রমান্বয়ে অবনতির দিকে যাচ্ছে। এখন তার শারীরিক অবস্থা খুবই সঙ্কটাপন্ন বলেছেন সুবীর নন্দীর জামাতা রাজেশ শিকদার। বাংলাদেশে সুবীর নন্দীর চিকিৎসার বিষয়টি সমন্বয় করছেন জাতীয় বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, চতুর্থবারের মতো হার্ট এ্যাটাকের পর তার শারীরিক অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। ওনার অরগান ফেইল করছে। ডাক্তাররা সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর আগে শনিবার সকালেও সুবীর নন্দীর হার্ট এ্যাটাক হয়েছিল বলে জানান তিনি। সুবীর নন্দীর মেয়ে ফাল্গুনী নন্দীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, শনিবার সকালে হার্ট এ্যাটাকের পর তার চারটি স্ট্যান্টিং (রিং পরানো) হয়েছে। তাকে এখন এমআইসিউতে রাখা হয়েছে। এর আগে ১৬ দিন রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) লাইফ সাপোর্টে ছিলেন সুবীর নন্দী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৩০ এপ্রিল ঢাকার সিএমএইচ থেকে এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় একুশে পদকপ্রাপ্ত এই সঙ্গীতশিল্পীকে। ১৪ এপ্রিল রাতে সিলেট থেকে ঢাকায় ফেরার পথে ট্রেনে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন সুবীর নন্দী। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ও কন্যা। রাত ১১টার দিকে তাকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) নেয়া হয়। হাসপাতালটির জরুরী বিভাগে হার্ট এ্যাটাক করেন এই নন্দিত শিল্পী। এরপর তাকে দ্রুত লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়। দীর্ঘদিন কিডনি ও হার্টের অসুখে ভুগছিলেন সুবীর নন্দী। ৪০ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে আড়াই হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন সুবীর নন্দী। রেডিও, টেলিভিশন, চলচ্চিত্রে নিয়মিত গাইতে তিনি ১৯৮১ সালে তার প্রথম একক এ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’ প্রকাশিত হয়। চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম গান করেন ১৯৭৬ সালে। ছবির নাম ‘সূর্যগ্রহণ’। সুবীর নন্দী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন চারবার। সঙ্গীতে অবদানের জন্য এ বছর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক পান তিনি। তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে- আমার এ দুটি চোখ, বন্ধু হতে চেয়ে, আমি বৃষ্টির কাছ থেকে কাঁদতে শিখেছি, চাঁদের কলঙ্ক আছে, দিন যায় কথা থাকে, একটা ছিল সোনার কন্যা, হাজার মনের কাছে, কত যে তোমাকে বেসেছি ভালো, পাহাড়ের কান্না, বন্ধু হতে চেয়ে তোমার প্রভৃতি।
×