ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নিকলিতে সড়কের পাশে হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা ॥ জনদুর্ভোগ

প্রকাশিত: ১১:০২, ৫ মে ২০১৯

নিকলিতে সড়কের পাশে হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা ॥ জনদুর্ভোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ২৮ এপ্রিল ॥ জেলা শহর থেকে নিকলী যেতে গাগলাইল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কের দু’পাশে হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা স্তূপ আকারে ফেলে রাখা হয়। রাস্তার দু’পাশের প্রায় শতাধিক ফিসারিতে মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য এক থেকে দুইদিন পরপর সকালে মিনি ট্রাক দিয়ে এখানে বিষ্ঠা আনা হয়। আর জমে থাকা হাঁস-মুরগির এসব বিষ্ঠার দুর্গন্ধে কিশোরগঞ্জ-নিকলী সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী মানুষজনের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। অতি গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা দিয়ে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষজন এবং রোগীদের যাতায়াত করতে হয়। বর্তমানে বিষ্ঠার তীব্র দুর্গন্ধে সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী ও পথচারীগণ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, চাকিডোবা, বড়ইতলা, পুড়ুইল বিল, শেলুনবিল এলাকায় দুর্গন্ধযুক্ত বিষ্ঠার বস্তাগুলো রাস্তার দু’পাশে স্তূপ আকারে ফেলে রাখা হয়েছে। জমে থাকা বিষ্ঠার দুর্গন্ধে নাকাল পথচারীরা। সড়কের পাশে একটার পর একটা বড় বড় বিষ্ঠার স্তূপ উন্মুক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। ছড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ। নাক-মুখ চেপে ধরে সাধারণ পথচারী এ রাস্তা দিয়েই চলাচল করছে। এলাকাবাসী জানায়, প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। প্রায় চার বছর যাবত হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা সড়কের দু’ধারে স্তূপ আকারে ফেলে রাখছেন ফিসারি মালিকরা। দুর্গন্ধ এতো বেশি যে সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় বমি চলে আসে। সুস্থ মানুষজন অসুস্থ হয়ে যায় দুর্গন্ধে আর রোগীদের কথা নাই বললাম। স্থানীয়রা জরুরী ভিত্তিতে পরিবেশ দূষণকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন দুলাল জানান, প্রভাবশালী মহল এই ফিসারি ব্যবসায় জড়িত। আর তাই অনেক চেষ্টা করেও বিষ্ঠার স্তূপ রাখা থেকে কাউকে বিরত রাখা সম্ভব হয়নি। সদরের ইউএনও মাহদী হাসান জানান, সরেজমিনে নিজেও ওই এলাকায় গিয়ে সড়কের দু’পাশে বিষ্ঠার স্তূপ দেখেছি। পরিবেশ দূষণ এবং ফিসারির মাছ রোগাক্রান্ত হচ্ছে, তাদের ফিসারিতে বিষ্ঠা ব্যবহার করতে নিষেধ দিয়েছি। আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় এ বিষয়ে আলোচনাও হয়েছে।
×