ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভাঙ্গায় ফের সংঘর্ষ ॥ ১০ বাড়ি ভাংচুর লুটপাট

প্রকাশিত: ০৮:৫৭, ৪ মে ২০১৯

  ভাঙ্গায় ফের সংঘর্ষ ॥ ১০ বাড়ি ভাংচুর লুটপাট

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর, ৩ মে ॥ বৃহস্পতিবার সকালে ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ও নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের সাত গ্রামবাসীর মধ্যে তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের ২০ ঘণ্টা পরে শুক্রবার সকালে পুনরায় ২ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ২ পক্ষের ১০টি বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৬ জন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের ধর্মদী ও মোল্লাকান্দা গংগাধরদী এলাকায় এ সংঘর্ষ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। কয়েক শ’ লোক এ সংঘর্ষ, ভাংচুর ও লুটপাটে অংশগ্রহণ করে। নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার ভোরে নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহিন আলম সাহাবুরের নেতৃত্বে ইউনিয়নের ধর্মদী গ্রামের বেলায়েত মাতুব্বরের বাড়িসহ কয়েকটি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। পরে সকাল ৮টার দিকে প্রতিপক্ষের লোকজন সৈয়দ শাহিন আলম সাহাবুরের বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই দ্বিতীয় দিনের মতো এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষের সময় দুইপক্ষের অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ভাঙ্গা ও সদরপুর উপজেলা কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গার মানিকদহ ও নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নে দুটি গ্রাম্যদল রয়েছে। এর এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন মানিকদহ ইউনিয়নের খা কান্দা নাজিরপুর গ্রামের মোমরেজ তালুকদার ও নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফ আলী মীর। অপরপক্ষের নেতৃত্ব দেন মানিকদহ ইউনিয়নের পুখুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য করিম মাতুব্বর ও নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহিন আলম সাহাবুর। ভাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নিখিল অধিকারী বলেন, এক পক্ষের রোকজন প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করতে শুরু করলে নতুন করে এ সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিখল অধিকারী আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের উপর হামলা ও সরকারী কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল হোসেন বাদী হয়ে ৮২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে। ঘটনাস্থল থেকে এজাহার নামীয় চারজনসহ মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
×