ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কাভার্ডভ্যান চালকও গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১১:০১, ২৮ এপ্রিল ২০১৯

কাভার্ডভ্যান চালকও গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সড়ক দুর্ঘটনায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নিহতের ঘটনায় পাঠাও চালকের পর সেই কাভার্ডভ্যানের চালককেও গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। সেইসঙ্গে কাভার্ডভ্যানটি জব্দ হয়েছে। আজ রবিবার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের তরফ থেকে দুর্ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়া হবে। এদিকে লাবণ্যের মৃত্যুতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে। তারা ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। দ্রুততার সঙ্গে যানবাহনসহ পাঠাও মোটরসাইকেলটির চালক ও ঘাতক কাভার্ডভ্যান চালককে গ্রেফতার করায় পুলিশের প্রশংসা করেছেন। ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার জানান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী লাবণ্য নিহতের ঘটনায় সেই কাভার্ডভ্যানটির চালককে আটক করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ঘাতক কার্ভাডভ্যানটি। রবিবার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের মধ্যদিয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। গত ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুর বারোটার দিকে শেরেবাংলানগর থানাধীন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সামনে মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার সময় পেছন থেকে একটি কাভার্ডভ্যান চাপা দিলে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফাহমিদা হক লাবণ্যের (২১) মৃত্যু হয়। ওইদিনই দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদপুর থানাধীন নবীনগর হাউজিংয়ের ২ নম্বর সড়কের ২৫ নম্বর বাড়ি থেকে পাঠাও চালক সুমনকে মোটরসাইকেলসহ আটক করে। এদিকে শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে মহাখালী ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে লাবণ্যের মৃত্যুর প্রতিবাদে এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সহপাঠীরা। সহপাঠীদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডগুলোতে লেখা ছিল, ৩শ’ টাকার হেলমেট জীবন বাঁচাবে তো?, আজ নিরাপদে বাড়ি ফিরব তো?, উবার-পাঠাও চালকদের দক্ষতা পরীক্ষণের মাধ্যমে আলাদা নীতিমালা চাই। বাড়ি ফিরতে না পারলে মা আমাকে ক্ষমা করিস। সুমনের বরাত দিয়ে ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার জানান, অল্পের জন্য বেঁচে যায় সুমন। আটক সুমন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন। ঘটনার দিন সকাল সাড়ে দশটার দিকে লাবণ্যকে নিয়ে খিলগাঁও ছায়াবীথি মসজিদের সামনে যাচ্ছিল পাঠাও চালক সুমন। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কাছাকাছি পৌঁছামাত্র একজন লোক তাদের মোটরসাইকেলের সামনে দিয়ে আচমকা দৌড় দেয়। সুমন দ্রুত মোটরসাইকেল ব্রেক করেন। এ সময় পেছন থেকে একটি কাভার্ডভ্যান সুমনের মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। মাথায় মারাত্মক আহত লাবণ্য পরে হাসপাতালে মারা যান।
×