ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

শেয়ারবাজারে সুশাসনের ঘাটতি রয়েছে

প্রকাশিত: ১১:৪৫, ২৪ এপ্রিল ২০১৯

শেয়ারবাজারে সুশাসনের ঘাটতি রয়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সুশাসনের ক্ষেত্রে ছাড় দিয়ে কোনভাবেই শেয়ারবাজারকে আস্থার জায়গায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব না। যা ২০১০ সালেও বলেছি। এখনও সেই ঘাটতি রয়েছে। এখনও সুশাসনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ছাড় দেয়ার প্রবণতা রয়েছে। মঙ্গলবার নতুন সরকারের ১০০ দিন উপলক্ষে বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার পর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রতিষ্ঠানটির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখনও শেয়ারবাজার সংস্কারের জন্য একটি বড় জায়গা হিসেবে রয়েছে। আগামীদিনে সংস্কারের জায়গা হিসেবে এই শেয়ারবাজারকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, শেয়ারবাজারে বিভিন্ন অনিয়মের ক্ষেত্রে বিএসইসির যতটা জোড়ালো অবস্থান রাখা দরকার, ততটা রাখে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নেয় বটে, তবে যতটা দরকার-ততটা না। এমনও অভিযোগ আছে, একজন যে পরিমাণ অনিয়ম করে থাকেন, তাকে তুলনামূলক কম শাস্তি দেয়া হয়। যাতে অনিয়মকারীরা আরও উৎসাহিত হয়। নির্বাচনের পূর্ব থেকে শেয়ারবাজারের উলম্ফন শুরু হয় বলে জানান গোলাম মোয়াজ্জেম। ঠিক এক মাস পরে আবার পতন শুরু হয়। এখানে কৃত্রিমভাবে শেয়ারবাজারের উলম্ফন করা হয়েছিল কি না - তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। এবং বিষয়টি নিয়ে সাম্প্রতিককালে গণমাধ্যমে এসেছে। যেখানে এক ধরনের নিয়ন্ত্রিত উঠা-নামানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। শেয়ারবাজারে এ ধরনের উঠা-নামা হওয়ার কথা না। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় উঠা-নামা হওয়ার কথা। তিনি বলেন, কেউ যদি বলে থাকেন, সূচক বেশি উঠেনি বা নামেনি-এটি কারও মূল্যায়ন থেকে আসার কথা না। বাজারে চাহিদার সঙ্গে উঠা-নামার বিষয়টি থাকা উচিত। সিপিডির এই গবেষণা পরিচালক বলেন, সাম্প্রতিক সময় শেয়ারবাজারে কিছু সমস্যার কথা শোনা যাচ্ছে এবং জানতে পেরেছি। এরমধ্যে একটি বড় সমস্যা প্লেসমেন্ট শেয়ার। এ নিয়ে গণমাধ্যমে নিউজ এসেছে। যেখানে ইনফরমাল মার্কেট গড়ে উঠার অভিযোগ রয়েছে। এবং সরকার বিষয়টি সংস্কারে কাজ করছে। দ্বিতীয়ত যে কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে আনা হচ্ছে এবং এক্ষেত্রে যে রিপোর্টি জমা দেয়া হচ্ছে, সেগুলো নিয়ে অভিযোগ করা হচ্ছে বলে জানান গোলাম মোয়াজ্জেম। এমনকি বিএসইসির চেয়ারম্যানও রিপোর্টগুলো নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন। যে রিপোর্টগুলো তথ্য উপাত্তের দিক দিয়ে ভুল। যেখানে অনেক ধরনের দুষ্টতা থাকতে পারে। যে কারণে নতুন কোন কোম্পানি শেয়ারবাজারে আসার কিছুদিন পরে অভিহিত মূল্যের নিচে নেমে যায়। এখান থেকে প্রতীয়মান হয় যে, কোম্পানিগুলো যেভাবে এবং যারা মূল্যায়ন করছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। কিন্তু এক্ষেত্রে বড় কোন ধরনের উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
×