ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

শীঘ্রই পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৯:৪৮, ৮ এপ্রিল ২০১৯

 শীঘ্রই পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারী স্বাস্থ্যসেবার পরিধি ও মান বৃদ্ধি করে মাথাপিছু স্বাস্থ্য ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, দেশের সরকারী হাসপাতালে নতুন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। শীঘ্রই পাঁচ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে। যথাযথ মানের যন্ত্রপাতি স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ, হাসপাতালের সম্প্রসারণ, পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি নতুন নতুন বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় আধুনিক স্বাস্থ্যসেবাকে আরও সহজলভ্য ও সুলভ করার কাজ শুরু করেছে সরকার। দেশের একজন মানুষও যেন মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার আওতার বাইরে না থাকে সেদিকে দৃষ্টি রেখে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। রবিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে বিশ^ স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মোঃ আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএমএ সভাপতি ডাঃ মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদসহ বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি, মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ বক্তৃতা করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রত্যেক মানুষের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে দেশের সকল পর্যায়ের হাসপাতালে সেবার মান বাড়ানো হবে। সরকারের উদ্যোগের সফল বাস্তবায়নের জন্য সকল স্তরের চিকিৎসক, নার্সসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থল থেকে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান মন্ত্রী। এ সময় রাজধানীতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে নবরূপে সংস্কার করে পাঁচ হাজার শয্যার হাসপাতালে রূপান্তর, দেশের প্রতিটি বিভাগে একটি করে ১০০ শয্যার ক্যান্সার ও কিডনি হাসপাতাল এবং মা ও শিশু হাসপাতাল স্থাপনসহ জেলা সদর হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলোতে ডায়ালাইসিস সেন্টার স্থাপন, বিভিন্ন হাসপাতালে আইসিইউ’র শয্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, এ বছরই সরকারী হাসপাতালগুলোতে নতুন ১০০টি আইসিইউ শয্যা বাড়ানোর কাজ সম্পন্ন হবে। শহরের হাসপাতালগুলোতে দরিদ্রদের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার বিশেষ কর্নার খোলারও চিন্তা করা হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ বড় বড় বিশেষায়িত হাসপাতালে দেশের সাধারণ দরিদ্র মানুষেরা প্রায় বিনামূল্যে চিকিৎসা পাচ্ছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও সংক্রামক রোগ চিকিৎসায় বাংলাদেশের সাফল্য আজ সারা বিশে^ প্রশংসিত। কিন্তু ক্যান্সার ও কিডনি রোগসহ কিছু কিছু অসংক্রামক রোগের উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগীদের বড় বড় বেসরকারী হাসপাতাল অথবা বিদেশে যেতে হচ্ছে। অনুষ্ঠানে ২০১৮ সালে দেশের সেরা সেবা প্রদানকারী ২৭ প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালকে ‘জাতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী পুরস্কার’ প্রদান করা হয়। এ বছর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ক্যাটাগরি থেকে ৫, জেলা সদর হাসপাতাল ক্যাটাগরি থেকে ৫, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে ৩, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে দুটি, কমিউনিটি ক্লিনিক ক্যাটাগরি থেকে ৫, সিভিল সার্জন ক্যাটাগরি থেকে ৫, বিভাগীয় পর্যায় থেকে দুটি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। আলোচনা সভার শুরুতে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সারা দেশব্যাপী বিশ^ স্বাস্থ্য দিবসের কর্মসূচী উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
×