ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা

টিআইএন নিয়ে গুজবে শেয়ারবাজারে দরপতন

প্রকাশিত: ০৯:২৪, ৭ এপ্রিল ২০১৯

টিআইএন নিয়ে গুজবে শেয়ারবাজারে দরপতন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত সপ্তাহে সূচকের পতনে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারে লেনদেন। গত মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে আগাম বাজেট প্রস্তাব নিয়ে ঢাকা স্টক একচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জের (সিএসই) অনুষ্ঠিত বৈঠকের শেয়ারবাজারে টিআইএন নিয়ে গুজবকে কেন্দ্র করে বাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়। তবে শেষ কার্যদিবসে সূচকের কিছুটা উর্ধগতি দেখা দেয়। তারপরও শেয়ারবাজারের সবদিন মিলে সব সূচকই কমেছে। একইসঙ্গে কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯ শতাংশ এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ১৩০ শতাংশ বেড়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত কয়েকদিন ধরেই শেয়ারবাজারে তারল্য সঙ্কট চলছে। বিনিয়োগকারীদের আস্থার চিড় ধরছে। এই পরিস্থিেিত নতুন করে টিআইএন নিয়ে গুজব বাজারে আরও নেতিবাচক ধারায় নিয়ে গেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে বৈঠকে রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বাজার সংশ্লিষ্টদের কাছে করের আওতা বাড়াতে সহায়তা চান। এনবিআর চেয়ারম্যান জানতে চান শেয়ারবাজারে টিআইএন আছে কিনা? জবাবে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাজেদুর রহমান জানান, শেয়ারবাজারে সবারই টিআইএন রয়েছে তাই নতুন করে এটির প্রয়োজন নেই। এরপর আর এনবিআর চেয়ারম্যান কিছু বলেননি। জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২ হাজার ১২ কোটি ৬৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ৫৬৬ কোটি ৬২ লাখ ৫৬ হাজার ৬৯৪ টাকা বা ৩৯ শতাংশ বেশি। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৪৪৬ কোটি ৪ লাখ ১৮ হাজার ৩০৮ টাকার। ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৪০২ কোটি ৫৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৩৬১ কোটি ৫১ লাখ ৪ হাজার ৫৭৭ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৪১ কোটি ২ লাখ ৩০ হাজার ৪২৩ টাকা বেশি হয়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৬ পয়েন্ট বা ০.৮৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৫৯ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরীয়াহ সূচক ১২ পয়েন্ট বা ০.৯৩ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২০ পয়েন্ট বা ১.০১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২৬৯ ও ১৯৪৮ পয়েন্টে। ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে ৩৫০টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১২৪টির, কমেছে ১৮৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির শেয়ার ও ইউনিট দর। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ১৩৫ কোটি ৪১ লাখ ২০ হাজার ৬০১ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫৮ কোটি ৯৮ লাখ ৪২ হাজার ৫৯ টাকার। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ৭৬ কোটি ৪২ লাখ ৭৮ হাজার ৫৪২ টাকা বা ১৩০ শতাংশ বেড়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৪১ পয়েন্ট বা ০.৮৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৭৪০ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসসিএক্স ৯১ পয়েন্ট বা ০.৮৯ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ৬৭ পয়েন্ট বা ০.৪৫ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১৬ পয়েন্ট বা ১.৩৩ শতাংশ এবং সিএসআই ১২ পয়েন্ট বা ১.০৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১০ হাজার ১৩৫, ১৪ হাজার ৭১০, ১ হাজার ২১৩ এবং ১ হাজার ১১৩ পয়েন্টে। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ২৯৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের হাত বদল হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৬টির, দর কমেছে ১৬৫টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির।
×