ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বৈশাখী ইবনাতের ‘কত ফুল ঝরে গেছে’

প্রকাশিত: ১০:৫২, ৬ এপ্রিল ২০১৯

বৈশাখী ইবনাতের  ‘কত ফুল  ঝরে গেছে’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুরের মায়ায় সমর্পিত এক কণ্ঠশিল্পী বৈশাখী ইবনাত পাওশি। সুমধুর কণ্ঠের আশ্রয়ে সঙ্গীতের ভুবনে ক্রমশ নিজেকে মেলে ধরছিলেন প্রতিশ্রুতিশীল এই শিল্পী। হঠাৎ করে থেমে যায় বেতার ও টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত এই তরুণ শিল্পীর পথচলা। ২০১৫ সালে আকস্মিক অসুস্থতায় পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। মৃত্যুর আগে তার গাওয়া বেশ কিছু গানের রেকর্ডিং হয়েছিল। সেই গানগুলোকে এক সুতোয় গেথে শুক্রবার প্রকাশিত হলো প্রয়াত এই শিল্পীর সঙ্গীত সঙ্কলন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় পারিবারিক উদ্যোগে প্রকাশিত এ্যালবামের শিরোনাম ‘কত ফুল ঝরে গেছে’। শুক্রবার বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে এ্যালবামটির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। মোড়ক উন্মোচনের এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য মোঃ জাকির হোসেন আকন্দ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক শেখ সাদী খান, নজরুল সঙ্গীত শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল, বিশিষ্ট সঙ্গীতজ্ঞ অনীল কুমার সাহা ও বিজয় টিভির নির্বাহী পরিচালক নায়লা বারী। সভাপতিত্ব করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বৈশাখী ইবনাত পাওশীর পিতা মোঃ নজরুল ইসলাম সরকার। নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এই সঙ্গীত প্রকাশ করা হচ্ছে না। এ্যালবামটির নেপথ্যে শ্রম দিয়েছেন অনেকগুলো মানুষ। কেউ গান লিখেছেন। আবার কেউ বা সুর করেছেন কিংবা যন্ত্রসঙ্গীত বাজিয়েছেন। এ্যালবামটি প্রকাশিত না হলে এই মানুষগুলোর সৃষ্টিশীল শ্রমের কোন মূল্য থাকে না। আর যার কণ্ঠের ধারণকৃত গানে এ্যালবামটি সজ্জিত হয়েছে আজ তার উপস্থিত না থাকার বিষয়টি অনুভূতি দিয়ে প্রকাশ করা যায় না। বারোটি গানে সাজানো এ্যালবামটিতে সুর ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন শেখ সাদী খান। সঙ্কলনের গানগুলো হলোÑ আমি কি জানতাম, কত ফুল ঝরে গেছে, হৃদয়ের চেয়ে ভাল কোন ফুলদানি নেই, পার যদি দাও ফিরিয়ে, কথা বলে কাজ নেই, পথে যেতে যেতে, নীল কাগজে লিখে দিলাম, ভুলেও তুমি গানেও তুমি, জানালা খুলে দেখি দাঁড়িয়ে আছ, আকাশ যেমন লক্ষ তারার প্রদীপ, দেশপ্রেমিক হয় যদি দেশের মানুষ, ও মনের মানুষ যদি কারও। এ্যালবামের অধিকাংশ গান লিখেছেন মুনশী ওয়াদুদ ও নজরুল ইসলাম বাবু।
×