ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মুহম্মদ শফিকুর রহমান

পদ্মার ওপারে শিবচর একখন্ড সোনার বাংলা

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ৬ এপ্রিল ২০১৯

পদ্মার ওপারে শিবচর একখন্ড সোনার বাংলা

পদ্মার ওপারে শিবচর একখন্ড সোনার বাংলা। ছবির মতো সেজে উঠছে দিন দিন। মধুকবি মাইকেল বা মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের মতো এখনই পথচারীকে আহ্বান করছে : ‘দাঁড়াও পথিকবর, জন্ম যদি তব বঙ্গে! তিষ্ঠ ক্ষণকাল...’ ক’দিন আগে শিবচর সফর করে ফিরে আমিও মধুকবির ভাষায় বলব- পথিক শিবচরের পাশ দিয়ে আপনি যেখানেই যান না কেন জাতির পিতার সমাধিসৌধে সালাম দিয়ে ফেরার পথে শিবচরে ‘তিষ্ঠ ক্ষণকাল’ ঘুরে আসুন। দেখবেন দিন দিন কিভাবে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে উঠছে। এর নেতৃত্বে রয়েছেন জাতির পিতার কন্যা সময়ের সবচেয়ে সাহসী বিশ্বনন্দিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে শিবচরের কারিগরি নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের শিবচর আসনের ছয়বারের নির্বাচিত এমপি এবং বর্তমান জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী (লিটন চৌধুরী)। জাতির পিতার রক্তের উত্তরাধিকার এবং জমিদার বংশের রক্ত ধমনীতে প্রবাহিত। ঐতিহ্য, সততা ও সোনার বাংলার মাটির প্রতি ভালবাসা এবং জাতির পিতার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলার মাটির টান থাকলে যে কিভাবে গ্রামকে শহর বানানো যায়, কিভাবে শিল্পসম্মতভাবে নিজ এলাকা গড়ে তোলা যায় লিটন চৌধুরী তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। শিবচরের উল্লেখ করার মতো বৈশিষ্ট্য হলো ১৯৯১ সালে (পিতা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর) এই শিবচর নির্বাচনী এলাকায় প্রথম এমপি নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯১ থেকে শুরু করে লিটন চৌধুরী তারপর হুইপ থেকে বর্তমান একাদশ সংসদে চীফ হুইপ। প্রতিটি নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করেন এবং প্রথমদিন থেকেই শিবচরকে নিজের মতো করে গড়তে শুরু করেন তারুণ্যের সঙ্গে দেশপ্রেম ও আধুনিকতা মিশিয়ে। তার দেশপ্রেম এত গভীর যে, একটি বৈশিষ্ট্য হলো শিবচরের দোকানপাট, অফিস-আদালত, এমনকি প্রাইভেট বাড়িও লাল-সবুজে রাঙানো। পিতা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী (বঙ্গবন্ধুর বড় বোনের ছেলে) ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা নেতা। একাত্তরে আমরা যে মুজিব বাহিনীর সদস্য ছিলাম তিনি ছিলেন তার শীর্ষ লিডার। মুক্তিযোদ্ধা নেতার সন্তান নূর-ই-আলম চৌধুরী তাই দেশপ্রেমী। জমিদারের অহমিকা তাই সাধারণ মানুষের প্রতি ভালবাসায় লীন। আজকের যে লাল-সবুজের শিবচর যেন একাত্তরের মহান শহীদের রক্তরঞ্জিত জাতীয় পতাকা। শ্যামলে সবুজ বাংলার আবহমান রূপ। এখানে চৌধুরীদের বিশাল জমিদারী ছাড়াও রয়েছে হাজী শরীয়তুল্লাহর বাসভবন। অষ্টাদশ শতকের প্রথমার্ধে ফরায়েজী আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলার লুটেরা ব্রিটিশের সিংহাসন কাঁপিয়ে তুলেছিলেন হাজী শরীয়তুল্লাহ। বঙ্গবন্ধুও ছাত্র এবং রাজনৈতিক জীবনে যখনই সময় পেতেন বড় বোনের (লিটনের দাদি) কাছে এসে সময় কাটাতেন। এমনি ঐতিহ্যের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকার হৃদয়ে ধারণ করে চৌধুরীদের লিটনের বাড়তি সুবিধা হলো তার ফুফু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্নেহের ছায়া। এর বাইরেও লিটন চৌধুরী যেমন স্মার্ট তেমনি এক শ’ ভাগ রাজনীতিক। তার হাতেই গড়ে উঠছে শিবচর। লিটন আধুনিক শিবচরের কারিগর। নবনির্মিত শিবচর প্রেসক্লাব ও উন্মুক্ত নাট্যমঞ্চ উদ্বোধন উপলক্ষে ক’দিন আগে লিটন চৌধুরীর আমন্ত্রণে এবং নেতৃত্বে সাংবাদিক নেতাদের একটি দলের সঙ্গে আমারও সৌভাগ্য হয়েছিল শিবচর ঘুরে আসার। রথ দেখা কলা বেচার মতো। টিমে আরও যারা ছিলেন যেমন একাত্তর টেলিভিশনের এমডি ও বেসরকারী টেলিভিশন মালিক সমিতির নেতা মোজাম্মেল বাবু, দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে সভাপতি মোল্লা জালাল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে সভাপতি আবু জাফর সূর্য, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের অন্যতম নেতা বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ ও নাট্যকার এবং নির্মাতা মান্নান হীরা। আসা-যাওয়ার পথে অবশ্য আমাদের একটু কষ্ট হয়েছিল। সুখের কষ্ট। স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণ এবং দুইপারের সংযোগ সড়কে দিবানিশি যে বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে তাতে করে ভাঙ্গা রাস্তার ওপর ধুলা মাঝে মধ্যেই ঘন কুয়াশার মতো সড়ক গাড়ি সব কিছু আচ্ছন্ন করে ফেলছিল। কিন্তু মাওয়া ফেরি থেকে যখন পদ্মা সেতুর বিশাল বিশাল স্তম্ভের ওপর সারি বাঁধা স্প্যানগুলো চোখে পড়ছিল তখন আবেগে আনন্দে হেসেছিলাম না কেঁদেছিলাম তা বলতে পারব না। দেখে অনুধাবনের ব্যাপার। কেবলই মনে পড়ছিল আর শিহরণ জাগছিল যেদিন সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হবে এবং আমরা এর ওপর ট্রেনে, গাড়ি করে এপার-ওপার চলাচল করব। আবার আসিব ফিরে টুঙ্গিপাড়ার শিবচরে। সেই মুহূর্তটুকু কেমন লাগবে। এই সেতুর ওপর দিয়েই আমরা শিবচর পাশে রেখে টুঙ্গিপাড়ায় চলে যাব এবং জাতির পিতার সমাধিসৌধের পাশে দাঁড়িয়ে উচ্চারণ করব পিতা আপনাকে হত্যার করে খুনী মুশতাক-জিয়া-কিসিঞ্জাররা সফল হয়নি। আপনারই কন্যার নেতৃত্বে আমরা তাদের বিচার করেছি। ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করেছি চিরতরে। আপনার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথে আমরা এগিয়ে চলেছি। ঢাকা থেকে সড়কপথে ৭০ কি.মি. হবে। এখন ফেরি পার হতে হয়। সব মিলিয়ে ৪ ঘণ্টা সাড়ে ৪ ঘণ্টার লেগে যায়। পদ্মা সেতুর নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পর দুই পারের সংযোগ সড়কের কাজও শেষ হয়ে যাবে, তখন সময় লাগবে মাত্র দেড় ঘণ্টা বা সামান্য কিছু বেশি। শিবচরে নূর-ই-আলম চৌধুরীর শত ব্যঞ্জনের আতিথেয়তার কথা বলে জমিদার নন্দনকে খাটো করতে চাই না। কিন্তু যখন আমাদের নিয়ে শিবচরে দেখাতে বেরোলেন তখন ভাবছিলাম কেন এর আগেও এলাম না, দেখলাম না। অবশ্য এর আগেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ইত্তেফাকের রিপোর্টার হিসেবে এসেছিলাম। অবশ্য তিনি তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন না। ছিলেন বিরোধীদলীয় নেতা। কয়েকদিন আগের মতো অমন করে দেখার সুযোগ ছিল না। এবার যা যা দেখলাম : ক. শিবচরে একটি রাস্তাও কাঁচা নেই। সব পিচঢালা। রাস্তার আলো নেভে না। খ. পথের পাশে কিংবা দূরে বাড়িঘর, দোকানপাট, অফিস-আদালত সব লাল-সবুজে রাঙানো। গ. পথের ধারে বাজারে কোথাও একটিও পোস্টার-ব্যানার-ফ্যাস্টুন নেই। থাকলে অমন পরিপাটি থাকত না। ঘ. তবে রাস্তার মোড়ে মোড়ে বা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ত্রিভুজাকৃতির স্তম্ভ রয়েছে, যার এক পাশে জাতির পিতা সহস্র বরষের শ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, একপাশে বঙ্গবন্ধুকন্যা কমটেম্পরারি বিশ্বের সবচেয়ে সাহসী রাষ্ট্রনেতা শেখ হাসিনা ও অপর পাশে মুক্তিযুদ্ধে মুজিব বাহিনীর অন্যতম অধিনায়ক (লিটন চৌধুরীর পিতা) ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর প্রতিকৃতি রয়েছে। ঙ. উপজেলা কমপ্লেক্সসহ কয়েকটি স্থানে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য, যেগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভাস্কর্যকেও সৌন্দর্যের দিক থেকে হার মানায়। চ. শিল্পকলা একাডেমির সামনে বিশালকায় নৌকার ওপর সোনালি রঙের মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য নজরকাড়ার মতো। এটির নাম দেয়া হয়েছে ‘প্রবহমান’। ছ. একটি পুকুরের মতো করে কেটে মাটি তুলে এবং পাশে কবিগুরু শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবিসহ স্তম্ভ নির্মাণ করে নাম দেয়া হয়েছে ‘রবীন্দ্র সরোবর’। এখানেও রয়েছে উন্মুক্ত মঞ্চসহ সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের একাধিক স্থাপনা। পুকুরের মাঝখানে পিলারের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে কাঁচের ঘর, যেখান থেকে উন্মুক্ত মঞ্চ, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম উপভোগ করা যাবে। জ. অনুরূপ আরেকটি পুকুর খনন করে সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। তবে এর কাজ শেষ হয়নি। নাম দেয়া হয়নি তখনও। লিটন চৌধুরী জানতে চাইলেন কি নাম দেয়া যায়? সঙ্গে সঙ্গে বললাম কবিগুরুর পাশাপাশি বিদ্রোহী কবির নামে ‘নজরুল মঞ্চ’ দেয়া যেতে পারে। সাইফুল আলম, মোজাম্মেল বাবু আমাকে সমর্থন করলেন। মনে হলো নামটা পাস হয়েছে। বললাম এভাবে ‘মধুকবি থিয়েটার’ (মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত), যিনি প্রথম বাংলা প্রহসন নাটক রচনা করেছিলেন, নাম ছিল ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’)। বললাম বিদ্যাসাগর, প্রীতিলতা, কবি শামসুর রাহমান, নির্মলেন্দু গুণের নামেও স্থাপনা হতে পারে, যাতে করে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম এবং তারপরের প্রজন্মগুলো বাঙালীর ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতির আবহে বেড়ে ওঠার সুযোগ পায়। এভাবে একের পর এক দেশপ্রেমী প্রজন্ম গড়ে উঠবে। ঝ. শিবচর সম্ভবত বাংলাদেশের সবচেয়ে উন্নত গ্রামীণ জনপদ, উপজেলা। পথ-পাশে সবুজ বনানীর মাঝে মাঝে বিশাল বিশাল অট্টালিকা। বাসিন্দারা বিত্ত-বৈভবেও সমৃদ্ধ বলে মনে হলো। লিটন চৌধুরী এলোমেলো দোকানপাট নিরুৎসাহ করার লক্ষ্যে পিতা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর নামে একটি বিশাল লাল-সবুজ মার্কেট বানিয়ে দেন। তাতে দলীয় কর্মীদের মধ্যেও সহনীয় মূল্যে বরাদ্দ দেন। মার্কেটটি এরই মধ্যে জমে উঠেছে। ঞ. যত্রতত্র বাস-ট্রাক যাতে না দাঁড়াতে পারে সে জন্য একটি বাসস্ট্যান্ডও নির্মাণ করে দেন। এটিও লাল-সবুজের রঙে রাঙানো। ত. শিবচর উপজেলায় দুই নদী ‘ময়নাকাটা’ ও ‘আড়িয়াল খাঁ’ দ্বারা বিভক্ত। নদী দুটিতে এখনও স্রোত বয়, কচুরিপানা দলবেঁধে ঘুরে বেড়ায়। লিটন চৌধুরী দুই পারের বসতি এক করার লক্ষ্যে ৮টি ব্রিজ নির্মাণ করে দিয়েছেন। নদীর পাড়ে মাঝে মাঝে বসার জন্য পাকা সোফা-টেবিল নির্মাণ করে দিয়েছেন। মনে পড়ে বেড়াতে গিয়েছিলাম আমেরিকার পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের পিট্সবার্গ শহরে। প্রেসিডেন্ট জজ ওয়াশিংটন শহর নামে খ্যাত। শহরটি দু’ভাগ করে রেখেছে প্রধানত এ্যালিঘ্যানি (ALIGHANY) ও মননঘেলা (MONONGAELA) নামের দুই নদী। কর্তৃপক্ষ ওই দুই নদীর ওপর ৪৪৮টি পাকা ব্রিজ নির্মাণ করে অভিন্ন করে রেখেছেন। লিটন চৌধুরীও শিবচরকে একই পদ্ধতিতে এক করে রাখছেন। থ. এখানে দলের (আওয়ামী লীগ) সাংগঠনিক অবস্থাও রীতিমতো ঈর্ষণীয়। প্রত্যেক নেতার জীপ গাড়ি রয়েছে। একেকজনের একের রঙের। তা কেন জানতে চাইলে লিটন চৌধুরী জানালেন, নেতাদের চেনার জন্য। কোন্ নেতা কোথায় যাচ্ছেন সহজেই যেন জানা যায়। রয়েছে ৪ তলা উপজেলা আওয়ামী লীগ ভবন। ফ্লোরে ফ্লোরে জাতির পিতা, কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ও নূর-ই-আলম চৌধুরীর (লিটন চৌধুরী) ছবি। লিটন চৌধুরী দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় একটি অভিনব এবং কার্যকর পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন- একজন জনপ্রতিনিধি অর্থাৎ উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান বা ইউপি চেয়ারম্যান বা ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর দলীয় প্রধান দুই-পদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক থাকতে পারেন না। অর্থাৎ এক ব্যক্তি বা নেতা দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারেন না। এটি তার অলিখিত গঠনতন্ত্র, যা শতকরা ১০০ ভাগ কার্যকর। পদ্মা সেতু, জাতির পিতার সমাধিসৌধ এবং আজকের শিবচর দেখে ফেরার পথে প্রকৃতির কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতার লাইন মনে পড়ে গেল : ‘তোমরা যেখানে সাধ চলে যাও আমি এই বাংলার পারে রয়ে যাব। দেখিব কাঁঠাল পাতা ঝরিতেছে ভোরের বাতাসে...’ উপসংহার : সাইট সি-ইং-এর পর স্থানীয় প্রেসক্লাব ও উন্মুক্ত মঞ্চের উদ্বোধনের সময় স্বাভাবিকভাবেই চোখের সামনে ভেসে এলো আমার নির্বাচনী এলাকা ২৬৩ চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জের বর্তমান ছবি। কোথায় শিবচর আর কোথায় ফরিদগঞ্জ! শিবচরের তুলনায় ১% কাজও হয়নি স্বাধীনতার পর থেকে বিগত ৪৮ বছরে। উদ্বোধনী বক্তৃতায় বলেই ফেললাম- লিটন চৌধুরী যদি আমার ফরিদগঞ্জের এমপি হতেন...। এমনি সুখের অনুভূতি নিয়ে ঢাকায় ফিরলাম। ঢাকা-৩ এপ্রিল ২০১৯ লেখক : সংসদ সদস্য [email protected]
×