ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

সেই শান্তিলতা ঘোষকে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সংবর্ধনা প্রদান

প্রকাশিত: ১০:৩৮, ৫ এপ্রিল ২০১৯

সেই শান্তিলতা ঘোষকে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সংবর্ধনা প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ শিক্ষাবিস্তারে বিশেষ অবদান রাখায় জেলার অভয়নগর উপজেলার মাগুরা গ্রামের শান্তিলতা ঘোষকে সংবর্ধনা জানাতে বৃহস্পতিবার যশোরে যান শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি, যশোরের উদ্যোগে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেন, সর্বস্বত্যাগী শান্তিলতা ঘোষ শিক্ষা বিস্তারের স্বার্থে নিজের সমুদয় সম্পত্তি দান করেছেন উপজেলার মাগুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে। দীনহীন অবস্থায় বসবাস করলেও এ শিক্ষানুরাগী নিয়মিত খোঁজখবর নেন বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের, লেখাপড়া ঠিকমতো হচ্ছে কি-না। এ রকম এক মানুষকে সম্মান জানাতে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। তিনি নিজে কিছু পাওয়ার জন্য দান করেননি। সমাজের উপকারের কথা ভেবে দান করেছেন। মন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি, এখানে যারা উপস্থিত আছেন, তারা শান্তি লতার জন্য কিছু করবেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একাত্তরের ঘাতক-দালাল-নির্মূল কমিটির সহসভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন। বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, একাত্তরের ঘাতক-দালাল-নির্র্মূল কমিটির চিকিৎসা সহায়ক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ উত্তম কুমার বড়ুয়া, ঘাতক-দালাল-নির্মূল কমিটির যশোরের সভাপতি হারুন-অর-রশিদ, সাধারণ সম্পাদক সাজেদ রহমান, অভয়নগরের প্রেমবাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রভাষক মফিজ উদ্দিন, যশোর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোলাম আযম প্রমুখ। একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি শান্তিলতার হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে শান্তিলতাকে ক্রেস্ট, মানপত্র, শাড়ি দেয়া হয় এবং উত্তরীয় প্রদান করা হয়। শান্তিলতার স্নেহময়ী ব্যবহারে তিনি এলাকার সকলের শ্রদ্ধেয়। কিছু না চাইলেও স্থানীয়রা তাকে কাপড়, খাদ্য ও চিকিৎসায় সহযোগিতা করেন। তিনি বয়স্কভাতা মাসিক মাত্র পাঁচ শ’ টাকা সরকারী অনুদান পান। এই মহৎ হৃদয়ের মানুষটাকে দারিদ্র্যের জন্য যেমন অভিযোগ নেই তেমনই তিনি সবসময়ই অন্যের কল্যাণ কামনায় ব্যস্ত থাকেন। জীবন সায়াহ্নে এসে শান্তিলতা ঘোষের একমাত্র চাওয়া পিতা ইন্দুভূষণ বিশ্বাসের নামে অন্তত বিদ্যালয়ের একটা ভবন করা হোক।
×