ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বেশি দামে টিকেট কেটেও সেবা বঞ্চিত ঢাকা-ব্যাঙ্কক রুটের যাত্রীরা

প্রকাশিত: ১০:৫৫, ৪ এপ্রিল ২০১৯

বেশি দামে টিকেট কেটেও সেবা বঞ্চিত ঢাকা-ব্যাঙ্কক রুটের যাত্রীরা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বেশি দাম দিয়ে টিকেট কেটেও যথাযথ যাত্রীসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ঢাকা-ব্যাঙ্কক রুটে পরিচালিত থাই এয়ারওয়েজের যাত্রীরা। ব্যাঙ্ককে সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে বোর্ডিং ব্রিজ না দেয়ায় রোগী এবং বৃদ্ধ যাত্রীদের চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। কখনও কখনও দুর্ব্যবহারেরও অভিযোগ উঠেছে। এমনকি বিজনেস ক্লাসের যাত্রীরাও যথাযথ সেবা পাচ্ছেন না বলে একাধিক যাত্রী অভিযোগ করেছেন। ঢাকায় কর্মরত থাই এয়ারওয়েজের কর্মকর্তা সেলিম মোস্তাক অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, কোন কোন সময় বোডিং ব্রিজের অভাব হয়। তখন বাসে যাত্রীদের টার্মিনালে আনা নেয়া করা হয়। তবে দুর্ব্যহারের অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন। যথাযথ সময়ে চলাচল, উন্নত যাত্রীসেবায় আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য ঢাকা-ব্যাঙ্কক রুটে যাত্রীদের প্রথম পছন্দ ছিল থাই এয়ারওয়েজ। শুধু থাইল্যান্ড নয়, ব্যাঙ্কক হয়ে অন্যান্য দেশে ভ্রমণের জন্যও টিজি কলসাইনে চলা এয়ারলাইনসটি যাত্রীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে ছিল। অন্যান্য এয়ারলাইনসের চেয়ে কয়েক হাজার টাকা বেশি দিয়ে তাই যাত্রীরা থাই এয়ারলাইনসের টিকেট কাটছে। চাহিদার কারণে এয়ারলাইনসটি প্রতিদিন ঢাকা-ব্যাঙ্কক রুটে একটির পরিবর্তে বর্তমানে দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। সাম্প্রতিক কালে এই এয়ালাইনসের যাত্রীসেবার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দিনের দুটি ফ্লাইটই ঢাকা থেকে ছেড়ে সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে অবতরণ করে বোর্ডিং ব্রিজ পাচ্ছে না। যাত্রীদেরকে খোলা আকাশের নিচে সিঁড়ি দিয়ে নামিয়ে বাসে করে টার্মিনালে নেয়া হচ্ছে। একইভাবে উঠানো হচ্ছে বিমানে। ফলে যাত্রীদের বিশেষ করে বৃদ্ধ, নারী, শিশু এবং চিকিৎসার জন্য যাওয়া রুগীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বাংলাদেশের যাত্রীদের প্রতি কেন এই বৈষম্য জানতে চাইলে বিমান কর্মীদের কাছ থেকে দুর্ব্যবহার জুটছে বলে অভিযোগ করেন এই রুটে নিয়মিত যাত্রী মাসুদ হোসেন। তিনি বলেন, বেশি দামে টিকেট কেটেও এখন আর থাই এয়ারে যাত্রীসেবা পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু বডিং ব্রিজের পরিবর্তে বাসে আনা নেয়া নয়, ইন ফ্লাইট যাত্রীসেবারও অবনতি হয়েছে। এমনকি বিজনেস ক্লাসের টিকেট কেটেও যথাযথ যাত্রীসেবা পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযোগ সম্পর্কে থাই এয়ার কর্মকর্তা সেলিম মোস্তাক বলেন, আমরা ঢাকায় কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই বিষয়গুলো উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। এছাড়া ব্যাঙ্ককে বিমানবন্দরেও অভিযোগ করা যেতে পারে। তিনি বলেন, সুবর্ণভূমি বিমানবন্দরে মোট বোর্র্ডিং ব্রিজ ১১৩টি। ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ উন্নত দেশগুলোতে থেকে আসা বড় পরিসরের বিমানগুলোকে এক্ষেত্রে প্রধান্য দেয়া হয়। এশিয়ার দেশগুলো থেকে আসা বিমানগুলোকে অনেক ক্ষেত্রে টার্মিনালের বাইরে বে তে পার্কিং করানো হয় এবং বাসে করে যাত্রীদের আনা নেয়া করা হয়। তবে চাহিদাপত্র পেলে রুগী ও বৃদ্ধ যাত্রীদের জন্য এম্বু লিফটের ব্যবস্থাও করা হয়। জানতে চাইলে সিভিল এভিয়েশনের মেম্বার (অপস) এয়ার কমোডর মোস্তাফিজুর রহমান বলেন- সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এয়ারলাইন্স ইচ্ছে করলেই যাচ্ছে-তাই করতে পারে না। যাত্রীর প্রাপ্য সুবিধা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে সব এয়ারলাইন্সকে।
×