ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

থাইল্যান্ডকে ভিসা জটিলতা দূর করার আহ্বান

প্রকাশিত: ০৯:১৫, ২৮ মার্চ ২০১৯

থাইল্যান্ডকে ভিসা জটিলতা দূর করার আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ থাইল্যান্ডকে ভিসা জটিলতা দূর করতে আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে বহু পর্যটক থাইল্যান্ডে ভ্রমণ করে। যদি ভিসার সমস্যা সমাধান করা যায় তাহলে দুদেশের বাণিজ্যক আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ের গ্র্যান্ড বলরুমে চার দিনব্যাপী থাইমেলার উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী বলেন, পর্যটন ও স্বাস্থ্যখাতে থাইল্যান্ড অনেকটা এগিয়ে আছে। তাই তাদের এই দু’খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগের উপযুক্ত সময় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ঘাটতি রয়েছে। তাই আমাদের বাণিজ্যক ঘাটতি দূর করতে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। থাইমেলা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, থাইমেলার মাধ্যমে দুদেশের বন্ধুত্ব আরও মজবুত হবে। এদেশের অনেক মানুষ থাইল্যান্ড সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। মেলার মাধ্যমে থাইল্যান্ড সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবে। এছাড়াও এই মেলার মাধ্যমে দুদেশের মধ্যে বিনিয়োগের সেতু বন্ধরের কাজ করবে। টপ থাই ব্র্যান্ডস-২০১৯ শিরোনামে থাইল্যান্ড সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেলায় প্রদর্শকদের মধ্যে রয়েছে থাই প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশী সেসব প্রতিষ্ঠান যারা থাই পণ্য আমদানি করছে অথবা থাই প্রতিষ্ঠানের এজেন্ট হিসেবে ব্যবসায় জড়িত রয়েছে। মেলায় মোট ৭৬টি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য প্রদর্শন করছে। মেলায় প্রদর্শিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে- স্বাস্থ্যসেবা, প্রসাধনী, সৌন্দর্য ও সুস্থতা পণ্য, বেডিং, স্পা, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, স্টেশনারি, গৃহস্থালি পণ্য, তাজা ফলসহ হরেক রকমের পণ্যে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ডের সম্পর্ক অনেক পুরাতন। বাণিজ্যক ঘাটতি কমিয়ে আনতে আমরা এক সঙ্গে কাজ করতে পারি। আমরা বিদেশী বিনিয়োগের জন্য এখন একদম পুরোপুরি প্রস্তুত। বর্তমান সরকার বিনিয়োগ বান্ধব। তাই থাইল্যান্ডকে এদেশে বিনিয়োগের উদার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, থাইল্যান্ড বিনিয়োগকারীদের সরকার সাহায্য করতে প্রস্তুত আছে। এদেশে বিনিয়োগ করা অনেক নিরাপদ। থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ক্রাইচোক আউনপাইরোজস্কুল বলেন, থাইমেলা বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড উভয়পক্ষের জন্য সফলতা বয়ে আনবে। বাংলাদেশের অনেকেই এই মেলার মাধ্যমে ব্যবসার নতুন সুযোগ খুঁজে নিতে সক্ষম হবে। এছাড়াও দুই দেশের বাণিজ্যর আরও বেগবান করতে এই মেলা সাহায্য করবে। চার দিনব্যাপী থাইমেলা প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে প্রতিদিন সকাল ১০টা হতে ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
×