ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্বরূপে ফিরছে রাজশাহী নগরীর পদ্মার পাড়

প্রকাশিত: ০৯:১৭, ১১ মার্চ ২০১৯

 স্বরূপে ফিরছে রাজশাহী নগরীর পদ্মার পাড়

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ পদ্মাপাড়ের হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্য ফিরতে শুরু করেছে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের উদ্যোগে পুনরায় ফিরে এসেছে আসল রূপে। মেয়র লিটনের দিক-নির্দেশনায় রাজশাহীবাসীর বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্র পদ্মাপাড় আবারও হয়েছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ঝকঝকে-তকতকে। রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পদ্মাপাড়ের ম্লান হয়ে যাওয়া সৌন্দর্য ফিরে এসেছে। পদ্মা গার্ডেনের বিজ্রসহ বিভিন্ন স্থাপনায় নতুন রং করা হয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও নতুন রঙে ঝকঝক করছে পদ্মা গার্ডেন ও আশপাশের এলাকা। নতুন রূপ পেয়েছে রাজশাহীবাসীর বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্র পদ্মাপাড়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত থাকছে দর্শনার্থী ও বিনোদন প্রেমীদের উপচে পড়া ভিড়। ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে দায়িত্বে থাকাকালে পদ্মাপাড়ের ব্যাপক সৌন্দর্যবর্ধন করেছিলেন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। গড়ে তুলেছিলেন বিভিন্ন স্থাপনাসহ সেরা বিনোদনকেন্দ্র। পদ্মাপাড়ের সৌন্দর্য্যরে অন্যতম কেন্দ্র পদ্মাগার্ডেন। তবে ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত অন্য একজন মেয়রের দায়িত্বে থাকার ফলে পদ্মাপাড়ের সেই সৌন্দর্য ম্লান হয়ে যায়। ২০১৮ সালের ৫ অক্টোবর দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়রের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সুযোগ্য সন্তান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অন্যতম কার্যনিবাহী সদস্য ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। মেয়র লিটনের দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই থেমে এবং বন্ধ হয়ে থাকা সব উন্নয়ন কাজ সচল হয়েছে। রাজশাহীর সর্বক্ষেত্রে উন্নয়নে এসেছে গতি। মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের দিক-নির্দেশনায় মহানগরীর সৌন্দর্যবর্ধন কার্যক্রম দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এর ধারাবাহিকতায় পদ্মাপাড়ের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজও চলছে। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু বলেন, মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নির্দেশে পদ্মাপাড়ের হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। ইতোমধ্যে পদ্মাগার্ডেনের ব্রিজসহ অন্যান্য স্থাপনায় নতুন রং করা হয়েছে। বিভিন্ন সংস্কার কাজও চলছে। সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ আরও কিছুদিন চলবে। তিনি আরও বলেন, নদীর ধারের ফুদকিপাড়া থেকে সীমান্ত অবকাশ পর্যন্ত এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়েছে। ২০ দিন ধরে শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন। অভিযানে ঝোঁপঝাড়, ময়লা-আবর্জনা সব সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এদিকে রবিবার পদ্মাগার্ডেনসহ পদ্মাপাড় পরিদর্শন করেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এ সময় প্যানেল মেয়র-১ সরিফুল ইসলাম বাবু ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
×