ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ধন্যবাদ দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান

ভূমি মন্ত্রণালয়ের সব চাকুরে সম্পদের হিসাব জমা দিলেন

প্রকাশিত: ০৯:৫২, ১০ মার্চ ২০১৯

 ভূমি মন্ত্রণালয়ের সব চাকুরে সম্পদের হিসাব জমা দিলেন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের সম্পদের হিসাব সরকারের কাছে জমা দিয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ পাঁচটি দফতর এবং ৬৪টি জেলায় কর্মরত ১৭ হাজার ৫৭৬ কর্মচারীর মধ্যে ১৭ হাজার ২০৮ কর্মচারী তাদের সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করেছেন। অবশিষ্ট ৩৬৮ কর্মচারী বিভাগীয় মামলায় সাময়িক বরখাস্ত এবং দীর্ঘমেয়াদী ছুটিতে থাকার কারণে সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে পারেননি। এ বিষয়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ -এত দ্রুত সময়ে কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব গ্রহণ তার একটি প্রমাণ। এ বিষয়ে সহযোগিতা করার জন্য আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সম্পদ বিবরণী দাখিলের ফলে অনিয়ম-দুর্নীতি করতে সবাই নিরুৎসাহিত হবেন। মন্ত্রী আরও জানান, এখন হতে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিলের কর্মসূচী চলমান থাকবে। নিয়মিত মনিটরিং করার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ভূমি অফিস দুর্নীতিমুক্ত করা সম্ভব হবে। উল্লেখ্য, গত ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ এবং জনবান্ধব ভূমি সেবা প্রদানের অন্যতম কৌশল হিসেবে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব নেয়ার বিষয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন। মন্ত্রী বলেছিলেন, আমি অনিয়ম দুর্নীতি পছন্দ করি না। কোন বদনামের অংশীদার হতে চাই না। সরকার অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে জিরো টলারেন্স। মন্ত্রী আরও বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সততার পুরস্কার হিসেবে আমাকে মন্ত্রী করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর আস্থার প্রতিদান দিতে ভূমি মন্ত্রণালয়কে আমি যে কোন মূল্যে দুর্নীতিমুক্ত করব। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্য দিয়ে আমি এই মন্ত্রণালয়কে শীর্ষ ৫ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়ে আসব। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নসহ দুর্নীতিমুক্ত ও জনবান্ধব ভূমিসেবা নিশ্চিত করতে মাননীয় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী কাজ করে যাচ্ছেন। পরবর্তীতে সম্পদের হিসাব গ্রহণের কার্যক্রম ভূমিমন্ত্রীর প্রথম ৯০ দিনের ৯ কার্যক্রমের অন্যতম অংশ করা হয়। বাকিগুলো হলো- জরুরী সেবা প্রদানের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়ে হট লাইন স্থাপন, দেশব্যাপী ভূমি সেবা সপ্তাহ পালন এবং ভূমি কর মেলা উদযাপন, ‘অনলাইনে খতিয়ান’ সেবা চালুকরণ, ই-নামজারি কার্যক্রম পুরোদমে চালু করা, সেবা-দাতাদের দক্ষ করতে ওয়ার্কশপ আয়োজন, দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে অবহিতকরণ কার্যক্রম, ভূমি অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কর্মসূচী, অন্যান্য ভূমিসেবা ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু করা। এরই ফল স্বরূপ গত ২৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে দেশব্যাপী অনলাইন খতিয়ান অবমুক্তকরণ এবং ১২ ফেব্রুয়ারি সমগ্র ঢাকা জেলায় শতভাগ ই-নামজারি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ভূমিমন্ত্রী, কয়েক মাসের মধ্যেই সমগ্র দেশে ই-নামজারি কার্যক্রম পুরো দমে চালু করা হবে। মন্ত্রীর স্বল্পমেয়াদী কর্মপরিকল্পনার অংশ প্রথম ৯০ দিনের অন্যান্য কার্যক্রমও বাস্তবায়নাধীন। এছাড়াও ভূমি এবং আইন মন্ত্রণালয়ের অধীন নিবন্ধন পরিদফতরের (সাব-রেজিস্ট্রার অফিস নিয়ন্ত্রক) উন্নয়ন কাজের সমন্বয় করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ মন্ত্রী গ্রহণ করেছেন।
×