নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর, ৪ মার্চ ॥ কেশবপুর-সরসকাটি সড়কের ভালুকঘর এলাকায় সোমবার সকালে একটি পিকনিকের বাস উল্টে পুকুরের পানিতে পড়ে সাব্বির নামের এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে। এ সময় বাসের প্রায় ৩০ যাত্রী আহত হয়েছে। আহত ১৪ জনকে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত তিনজনকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে। আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাতক্ষীরার বাউকোলা ও আগরদাড়ি গ্রামে লোকজন বাগেরহাটে পিকনিকে যাচ্ছিল। ভোরের কুয়াশা ও হেলপার বাস চালানোর কারণে সাথী পরিবহনের বাসটি কেশবপুরের ভালুকঘর বালিরপুকুর নামক জায়গায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। এলাকাবাসী বাসের গ্লাস ভেঙ্গে সকলকে উদ্ধার করলেও মায়ের কোলে থাকা ৫ বছরের সাব্বিরকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, সাব্বির একটি সিটে আটকে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। উদ্ধারের পর সাব্বিরকে কেশবপুর হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সাব্বির বাউকোলা গ্রামের কামরুল ইসলামের পুত্র। বাসের ৪৩ যাত্রীর সবাই কমবেশি আহত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে আনিকা, রুহী ও মোস্তাকিনকে খুলনা মেডিক্যাল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
জামালপুরে চালক
নিজস্ব সংবাদদাতা জামালপুর থেকে জানান, মাদারগঞ্জ উপজেলায় পিকনিক থেকে ফেরার পথে একটি মাইক্রোবাস সেতুর রেলিং ভেঙ্গে নদীতে পড়ে মাইক্রোবাসের চালক রুহুল আমীন (৪০) নিহত হয়েছেন। রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার গুনারিতলা ইউনিয়নের গুনারিতলা সেতুতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত চালকের বাড়ি উপজেলার আদারভিটা ইউনিয়নের বাজিতেরপাড়া গ্রামে। জানা গেছে, শেরপুরের গজনিতে পিকনিক শেষে ১২ যাত্রী নিয়ে একটি মাইক্রোবাস মাদারগঞ্জের আদারভিটা ইউনিয়নে ফিরছিল। রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গুনারিতলা ইউনিয়নের ঝাড়কাটা নদীর গুনারিতলা সেতুর রেলিংয়ে ধাক্কা লেগে রেলিং ভেঙ্গে নিচে নদীতে পড়ে যায় মাইক্রোবাসটি। দুর্ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় গ্রামবাসী ছুটে গিয়ে পানিতে ডুবে থাকা মাইক্রোবাস থেকে চালক রুহুল আমিনকে মৃত উদ্ধার এবং ১১ যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। মাইক্রোবাসটির আরও দুই যাত্রী নিখোঁজ থাকার কথা ছড়িয়ে পড়লে রাত ১১টার দিকে জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ও উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধার কাজে অংশ নেন। কিন্তু ভোর পর্যন্ত অনুসন্ধান শেষে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের কাছ থেকে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হন যে, মাইক্রোবাসের ভেতরে আর কোন যাত্রী নেই।
চট্টগ্রামে নিরাপত্তা কর্মী
স্টাফ রিপোর্টার চট্টগ্রাম অফিস থেকে জানান, নগরীর বন্দর এলাকায় গাড়ির ধাক্কায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত নিজাম উদ্দিন (৩১) বিএসআরএমের নিরাপত্তা কর্মী। সোমবার ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ভোরে বিএসআরএম ফটকে নিরাপত্তা রক্ষীর দায়িত্ব পালন করছিলেন নিজাম উদ্দিন। এ সময় একটি গাড়ির ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিরাপত্তা রক্ষী নিজাম উদ্দিন কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়ার মিয়াপাড়া বড়পুলের কামাল উদ্দিনের পুত্র।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: