ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

সাত বছর পর মানি লন্ডারিং আইনের বিধিমালা প্রণয়ন

প্রকাশিত: ০৯:০৯, ১ মার্চ ২০১৯

সাত বছর পর মানি লন্ডারিং আইনের বিধিমালা প্রণয়ন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আইন পাশ হওয়ার সাত বছর পর ও সংশোধিত আকারে কার্যকর হওয়ার প্রায় চার বছর পর মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর বিধিমালা প্রণয়ন হলো। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা ২০১৯ নামে অভিহিত হবে। বিধিমালায় ১২টি অধ?্যায় ও ৫৭ ধারা রয়েছে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলামের সই করা প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ?্য জানা যায়। এটি ৩১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর ধরা হয়েছে। এর মাধ?্যমে আইনটি পূর্ণতা লাভ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো মনে করছে। একই সঙ্গে মানিলন্ডারিং অপরাধের অনুসন্ধান ও তদন্ত কাজে ২০১৫ সালে ক্ষমতাপ্রাপ্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক চার্জশীট (অভিযোগপত্র) দাখিলে সৃষ্ট জটিলতার অবসান হলো। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পাস হয়। যা ওই বছরের ১৬ জানুয়ারি কার্যকর হয়। তখন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইনে একমাত্র ক্ষমতাপ্রাপ্ত সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। এরপর ২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনটি সংশোধন হয়। কিন্তু বিধিমালা প্রণয়ন হয়নি। এখন প্রণীত বিধিমালা ১২টি অধ?্যায় ও ৫৭ ধারা দ্বারা সাজানো হয়েছে। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা ২০১৯ এর ৫২ ধারায় আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের (চার্জশীট) অনুমতি প্রদানের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের বিষয়ে বলা হয়েছে। ৫২ (১) অনুসারে আইনে উল্লেখিত অপরাধের তদন্ত সমাপ্ত হইবার পর আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের অনুমতি প্রদানের নির্ধারিত কর্তৃপক্ষ বলিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের ক্ষেত্রে, দুদক আইন, ২০০৪ (২০০৪ সনের ৫নং আইন) এর ধারা ২ এর দফা (ঙ) এ সংজ্ঞায়িত কমিশন এবং এই বিধিমালার তফসিলের ‘তালিকা-১’ এ উল্লেখিত অন্যান্য তদন্তকারী সংস্থার ক্ষেত্রে, সংস্থার প্রধানকে বোঝাবে। ধারা (২) অনুসারে মানিলন্ডারিং অপরাধের অভিযোগ তদন্তের পর কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে, বিচার সুপারিশ করিয়া উপযুক্ত আদালতে মামলা দায়ের করিবার ক্ষেত্রে, আইনের ধারা ১২ অনুযায়ী উপ-বিধি (১) এ উল্লেখিত তদন্তকারী সংস্থার নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন গ্রহণ আবশ্যক হবে এবং এইরূপ অনুমোদনপত্রের একটি কপি আদালতে দাখিল করা না হলে আদালত অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ করবে না। অন?্যদিকে এই বিধিমালায় অপরাধের ২৭টি ধরন অনুসারে ক্ষমতাপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর বিবরণ তফসিলের ‘তালিকা-১’ এ উল্লেখ করা হয়েছে।
×