ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যস্ততা ॥ তবুও নিজেকে সময় দিন

প্রকাশিত: ০৯:২৮, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

 ব্যস্ততা ॥ তবুও নিজেকে সময় দিন

পানি পানিই যে জীবন, সেটা কাজের চাপে আপনি ভুলে গেছেন। ব্যাগে পানিভর্তি বোতল বেশিরভাগ দিন ভর্তি অবস্থাতেই বাড়ি ফিরে আসে। ব্যাগের চেন খুলে প্রতিদিনই খেয়াল করেন একবিন্দু পানিও আপনি পান করেননি। এটা অনেকের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। কিন্তু আপনি হয়ত জানেন না এই জলই আপনাকে সারাদিন তরতাজা রাখতে পারে। শরীরের অনেক সমস্যাকে দূরে ঠেলে দিতে পারে। কী করে অন্তত পানির কথাটা মনে রাখবেন শুনুন তা হলে। ওই ম্যাড়মেড়ে বোতলটা ত্যাগ করুন। সুন্দর দেখে একটা বোতল কিনুন। তাতে বাড়ি থেকে ঠা া পানি ভরে আনুন। অফিসে এসে সবার আগে ব্যাগ থেকে বোতলটা বের করে রেখে দিন কাজের জায়গায়, একদম চোখের সামনে। পানীয়র স্বাদ বদল করতে পারেন। তাতে ফেলে দিতে পারেন একটা-দু’টো তুলসী বা মিন্টপাতা। লেবু-চিনির পানিও বানিয়ে আনতে পারেন। শরীরের জন্য দারুণ ভাল। দেখবেন, এতে করে আপনি কিছুতেই পানির কথাটা ভুলবেন না। লিফটকে বলুন বাইবাই ভুঁড়ি বাড়ছে, তার কারণ আপনার কোন শারীরিক মেহনত নেই। সবটাই মাথা খাটিয়ে কাজ আর বসে থাকা। অফিস যদি ৪ তলায় হয়, ক্ষতি কী? রোজ সকালে যে মর্নিংওয়াকটা মিস করেন, পুষিয়ে নিন অন্যভাবে। লিফট ছেড়ে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতে চেষ্টা করুন। এতে আপনার পায়ের এক্সারসাইজ হবে। শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। শ্বাস নিন প্রাণ ভরে অনেক সময় কাজের চাপ দম আটকে দেয়। প্রাণ হাঁসফাঁস করে। এর থেকে মুক্তি পেতে সোজা হয়ে বসে নিশ্বাস নিন ২০ বার। জোরে শ্বাস নিন ও ছাড়ুন। দেখবেন অনেক সুস্থ লাগবে শরীর। দিনে অন্তত ২ বার এভাবে নিঃশ্বাস নিন। এক কাপ কফি চলতেই পারে মেশিনের কফি এড়িয়ে চলাই ভাল। হেল্থ কিটে রাখুন ওয়ান টাইম কফির একটা পাউচ, চিনির ছোট কৌটা আর গুঁড়া দুধের ছোট প্যাকেট। কাচের কাপ রেখে দিন অফিসে। দিনে একবার গরম পানিতে নিজে নিজেই বানিয়ে নিন কফি। দেখবেন খেয়ে ভাল লাগবে। ক্লান্তি চলে যাবে। কফি না খেতে চাইলে টি-ব্যাগও রাখতে পারেন সঙ্গে। দুপুরের খাবার সঙ্গে আনুন অনেকেই আছেন দু’বেলাই অফিসের ক্যান্টিনে খান। দিনের পর দিন এটা চলতে থাকলে শরীর খারাপ হতে বাধ্য। নারীদের ক্ষেত্রে খুব বড় সমস্যা নয় এটা। কেননা অধিকাংশ নারীরা বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসেন। খুব অল্প সংখ্যক ক্যান্টিন বা বাইরের রেস্তরাঁর খাবার খান। কিন্তু পুরুষরা বেশিরভাগই ক্যান্টিনের খাবার খান। বিশেষ করে অবিবাহিত পুরুষ। এতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। এবার বাড়ি থেকে খাবার আনতে চেষ্টা করুন। ভাল দেখে একটা লাঞ্চবক্স কিনুন সবার আগে। আলস্য কাটিয়ে রোজ কিছু না কিছু একটু বানিয়ে নিয়ে আসুন। ভাত, আলু সিদ্ধ, ডিম সিদ্ধ খেলেও শরীর ভাল থাকবে। সকালে উঠে বানাতে কতই বা সময় লাগবে। বেশি না! পারলে সকালের নাস্তাটাও বাড়ি থেকে নিয়ে আসুন। আর খেয়ে উঠে একদম এক জায়গায় বসে থাকবেন না। একটু হাঁটা চলা করে নিন। গান শুনুন একটানা কাজ করলে মাথা অনেক সময় কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এই সমস্যা থেকে বাঁচাতে পারে গান। গান এমন এক থেরাপি, যা বিশ্ববিখ্যাত। দু’ঘণ্টা কাজের ফাঁকে ৫ মিনিট ব্রেক নিন। পায়চারী করুন। কানে হেডফোন গুঁজে পছন্দসই গান শুনুন। গান হতাশা মেটাতে সাহায্য করবে। নতুন করে কাজে মন বসবে আবার। ব্যক্তিত্ব ও আত্মবিশ্বাস বৃক্ষ নয়, ফলেই পরিচয়। আর এই বৃক্ষেরই মতন মানুষের জীবন। চামড়ার সৌন্দর্য নয়, মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ব্যক্তিত্ব বা তার গুণ। শুধু তাই নয়, ব্যক্তিত্ববান মানুষ সকলের কাছে শ্রদ্ধার পাত্রও বটে। তবে, ব্যক্তিত্ব গঠন সহজ বিষয় নয়। আবেগ এবং চিন্তা সামঞ্জস্যতার মাধ্যমে এই পরশ পাথর অর্জন করতে হয়। এর জন্য দরকার পড়ে কিছু কৌশলের, যার বদৌলতে আপনার ব্যক্তিত্ব প্রস্ফুটিত হবে অনেক বেশি। সঠিক পোশাক নির্বাচন কারুন ব্যক্তিত্ব অনেকাংশেই পোশাকের ওপরই নির্ভর করে। আজেবাজে পোশাক পরিধানে একদিকে যেমন আপনাকে দৃষ্টিকটু দেখায় অন্যদিকে আপনার ব্যক্তিত্বও ক্ষুণ্ণ হতে পারে। তাই যতটা সম্ভব দেহের গড়ন ও বয়সের সঙ্গে মানানসই পোশাক পরিধান করবেন। এক্ষেত্রে অফিস থেকে শুরু করে বিয়েবাড়ি পর্যন্ত কোন জায়গায় গেলে কি ধরনের পোশাক পরিধান করা উচিত তা অবশ্যই আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। আর মানানসই শালীন পোশাকে আপনার রুচিবোধের পাশাপাশি ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠবে সবচেয়ে বেশি। আত্মবিশ্বাস বাড়ান মানুষের জীবনে সফলতার চাবিকাঠিই হলো আত্মবিশ্বাস। আর আত্মবিশ্বাসই একজন মানুষকে খুব সহজেই ব্যক্তিত্ববান বানিয়ে তোলে। যে কোন কাজে নিজের আত্মবিশ্বাস বজায় রাখতে পারলে তাতে যেমন সফল হওয়া যায় তেমনি কথাবার্তা ও ব্যক্তিত্বেও সেটা ফুটে ওঠে। আত্মবিশ্বাস কম থাকলে একজন মানুষ কখনই ব্যক্তিত্ববান হয়ে উঠতে পারে না। তাই ব্যক্তিত্ববান হয়ে উঠতে চাইলে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। সামাজিকতা পালন করুন সামাজিক জীব হিসেবে মানুষকে সমাজের অনেক রীতিনীতি ও দায়িত্ব পালন করতে হয়। আর মানুষজনের সঙ্গে পরিচিত হওয়া ও কুশলাদি জিজ্ঞেস করার মাধ্যমেও এই সামাজিকতার বহির্প্রকাশ ঘটে। সামাজিকতা পালন না করে নিজেকে গুটিয়ে রাখলে কখনই কারও ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পায় না। এতে করে অপরিচিত মানুষকে জানার সুযোগও হারিয়ে যায়। কাজেই ব্যক্তিত্ববান হতে চাইলে সর্বপ্রথম সামাজিকতা বাড়িয়ে তুলুন, সবার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলুন। ইতিবাচক চিন্তা ভাবনা করুন যে কোন কঠিন কিংবা দুঃসাধ্য কাজেও সফলতা আনে এই ইতিবাচক চিন্তাভাবনা। মানুষের জীবনে তাই সফল হতে এটি বেশি দরকারি। কেননা তা ব্যক্তিত্বকে ভালভাবে ফুটিয়ে তোলে। অন্যদিকে নেতিবাচক চিন্তার মানুষ সারাক্ষণই হতাশা, দুঃখ ও বিষণ্ণ তায় ভোগে যা ব্যক্তিত্বকে বেশি মাত্রায় ক্ষুণ্ণ করে। তাই ব্যক্তিত্ববান হতে চাইলে সকল পরিস্থিতিতেই ইতিবাচক চিন্তা করুন। সুন্দর বাচনভঙ্গিতে কথা বলুন সুন্দর বাচনভঙ্গির মাধ্যমেই আপনার ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠবে সবচেয়ে বেশি। তাই ব্যক্তিত্ববান হতে চাইলে সবার আগে সুন্দর বাচনভঙ্গির দিকে সকলের মনোযোগ দেয়া উচিত। সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলা, স্পষ্ট উচ্চারণ, কথা বলার সময় চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলা এবং ভাবপ্রকাশের দিকে লক্ষ্য রাখলেই আপনার ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠবে সবচেয়ে বেশি। কথা ও কাজে মিল রাখুন কথা ও কাজের মিল রাখাই হচ্ছে ব্যক্তিত্ববান মানুষের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য। তাই ব্যক্তিত্ববান হিসেবে নিজেকে সবার উপস্থাপন করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই কথা ও কাজের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখতে হবে। যে কাজটি করা আপনার পক্ষে করা সম্ভব না সেটা না বলাই ভাল। সবসময় চেষ্টা করুন কথা ও কাজে মিল রাখতে। তাহলেই আপনাকে মনে হবে অনেক বেশি ব্যক্তিত্ববান। যাপিত ডেস্ক কর্মজীবী নারীর বাড়তি যত্ন ঘরে বাইরে সব স্থানেই এখন পুরুষের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করছেন নারীরা। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে কিংবা ধুলাবালিতে ত্বক নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ কর্মব্যস্ত নারীরাই নিজের ত্বকের প্রতি খেয়াল রাখার সময়টুকু পান না। ফলে তাড়াতাড়ি বুড়িয়ে যান কিংবা ব্রন সমস্যায় ভোগেন। সারা দিনের ব্যস্ততা শেষে অল্প কিছু সময় হাতে পাওয়া যায়। এই সময়টাতেই চটজলদি ত্বকের যত্ন নিয়ে নেয়া উচিত। জেনে নিন চটজলদি কর্মজীবী নারীদের ত্বকের যত্ন নেয়ার কিছু সহজ পদ্ধতি। পানি পান করুন অধিকাংশ অফিসেই দেখা যায় নারীরা খুব কম পানি পান করেন। অফিসের সময়টাতে প্রচুর পানি পান করা উচিত। আমাদের শরীরের ৭০% পানি। তাই পানির অভাব হলে সেটা ত্বকের উপরে প্রভাব ফেলে। পানি শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে সহায়তা করে। কম পানি পানের কারণে ব্রণের সমস্যা কিংবা ত্বক শুষ্কতার সমস্যা দেখা দেয়। অতিরিক্ত মেকআপ নয় কর্মক্ষেত্রে অনেকেই ভারি মেকআপ করেন কর্মক্ষেত্রের মেকআপ হওয়া উচিত হালকা। মুখে কোন ফাউন্ডেশন ব্যবহার না করে ত্বককে পরিচ্ছন্ন রাখুন। নিজেকে পরিপাটি করে রাখলে কম মেকআপেও আকর্ষণীয় দেখাবে আপনাকে। ভারি মেকআপ করলে রোমকূপগুলো বন্ধ হয়ে থাকে। এতে ব্রণের সমস্যা বেড়ে যায়। পরিচ্ছন্নতা নানা ঝক্কি ঝামেলা পার করে রিক্সা কিংবা বাসে চড়ে অফিসে যাওয়ার পর অনেকেই হাত ধুতে ভুলে যান। হাত না ধুয়েই কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলে বেখেয়ালে হাতের জীবাণুগুলো ত্বকে লেগে যাবে। এতে ত্বকে নানা সমস্যা হতে পারে। তাই অফিসে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই এবং অফিস থেকে ফিরে সাবান দিয়ে হাত-মুখ ধুয়ে ফেলুন। ফেস প্যাক সপ্তাহে অন্তত তিনদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ফেস প্যাক লাগিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এক্ষেত্রে খুব সহজে ব্যবহার করা যায় মুলতানি মাটি, চন্দন কিংবা এ্যালোভেরা। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে এ্যালোভেরা জেল মুখে লাগিয়ে ঘুমাতে পারেন। এতে ত্বক ময়েশ্চারাইজ হবে। স্ক্র্যাবিং কর্মজীবী নারীদের যেহেতু বাইরে ছোটাছুটি করতে হয়। তাই ত্বক স্ক্র্যাবিং করা জরুরী। ত্বকের মৃত কোষ দূর করার জন্য এবং ত্বকের উপরের ধুলাবালির আস্তরণ দূর করতে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার স্ক্র্যাবিং করা জরুরী। চট জলদি স্ক্র্যাবিংয়ের জন্য চমৎকার দুটি ঘরোয়া উপাদান হলো চালের গুঁড়া কিংবা বেকিং সোডা। স্ক্র্যাবার দিয়ে কিছুক্ষণ ত্বক ম্যাসাজ করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর ভাল কোন ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ হাঁটুন কর্মজীবী নারীদের দিনের অধিকাংশ সময় কাটে চেয়ারে বসে থেকে। ফলে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়। তাই প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার সময় কিংবা ফেরার সময়ে জ্যামে বসে না থেকে কিছুক্ষণ হাঁটার অভ্যাস করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে, অতিরিক্ত মেদ কমবে এবং ত্বক ভাল থাকবে। তবে রোদ থাকলে হাঁটার সময় ছাতা এবং সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে। দিন শেষে নিজের জন্য অল্প একটু সময় বরাদ্দ রাখলেই ত্বককে সুন্দর এবং বলিরেখা মুক্ত রাখা সম্ভব। না হলে কাজের চাপে খুব সহজেই বুড়িয়ে যাবেন আপনি। তাই এখন থেকে নিয়মিত ত্বকের যতœ নিন। তা হলে শত ব্যস্ততার মাঝেই নিজেকে সতেজ এবং উজ্জ্বল রাখতে পারবেন। সুস্থ জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজন সঠিক পুষ্টি উপাদান। নারীদের বিভিন্ন বয়সে পুষ্টি চাহিদা বিভিন্ন হয়। তাই প্রতিটি কর্মজীবী নারীকে প্রয়োজনীয় চাহিদা অনুযায়ী খাবার গ্রহণ করতে হবে। সঠিক পুষ্টি উপাদান যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম, এ্যালার্জি, আর মাথাব্যথার মতো রোগকে দূরে ঠেলে দেয় তেমনি সুন্দর চুল, ত্বক ও স্বাস্থ্য উপহার দেয়। যা খাবেন সারাদিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। পানির মাধ্যমেই অক্সিজেন ও বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সম্পূর্ণ শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং দূষিত বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে বের হয়ে যায়। সারাদিনে অতিরিক্ত ক্যাফেইন যুক্ত খাবার যেমন চা, কফি, চকোলেট খাওয়া ঠিক নয়। সকালের নাশতা কখনও বাদ দেয়া যাবে না। সকালের নাশতা খুব বেশি ভারিও নয়, এতে হজমের জন্য শরীরে প্রচুর শক্তির অপচয় হয়। ফলে ঝিমুনি ও দুর্বল বোধ হয়। সকালের নাশতায় যে কোন একটি ফল খাওয়া যেতে পারে। ফল হজমশক্তি বাড়িয়ে মস্তিষ্কে গ্লুকোজ সরবরাহ করে যা সারাদিন মানুষকে কর্মক্ষম রাখে। খাবারের তালিকায় শর্করা জাতীয় খাবার যেমন ভাত, রুটির পরিমাণ কম রেখে শাকসবজি ও সালাদের পরিমাণ বেশি রাখতে হবে। প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় আমিষ জাতীয় খাবার থাকতে হবে। আমিষের সবচেয়ে ভাল উৎস হচ্ছে ডাল, ডিম, মাছ, মাংস, বাদাম। যারা নিরামিষভোজী তারা আমিষের ঘাটতি পূরণের জন্য কয়েক প্রকারের ডাল একসঙ্গে মিশিয়ে রান্না করে খেতে পারেন। প্রতিদিন আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে। আঁশযুক্ত খাবার রক্তের চর্বি নিয়ন্ত্রণ করে, হৃদরোগ ও ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। আঁশযুক্ত খাবার হচ্ছে তাজা ফলমূল, শাকসবজি, লাল চাল ও লাল আটা। খুব বেশি প্রক্রিয়াজাত ও ভাজা পোড়া খাবার একেবারেই নয়। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবারের খুব ভাল উৎস হলো দুধ ও শাকসবজি। রাতের খাবার হবে খুব হালকা। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে দু’ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করতে হবে। সারাদিনে অন্তত ৩০ মিনিট যে কোন হালকা ব্যায়াম বা হাঁটাচলা করার অভ্যাস করতে হবে। এতেই নারী থাকবে ফিট, আর সুস্থ থেকে সবার দেখভালও করতে পারবেন খুশি মনে। যাপিত ডেস্ক
×