ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফ্রান্স থেকেও হতাশা নিয়ে ফিরল বার্সিলোনা

প্রকাশিত: ১১:২৯, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

  ফ্রান্স থেকেও হতাশা নিয়ে ফিরল বার্সিলোনা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফুটবলের নকআউট রাউন্ডের লড়াই শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে শেষ ষোলোর দু’টি ম্যাচই গোলশূন্য ড্র হয়েছে। বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দেশ ফ্রান্সে খেলতে গিয়েছিল স্প্যানিশ পরাশক্তি বার্সিলোনা। স্বাগতিক দেশের ক্লাব অলিম্পিক লিওর সঙ্গে ০-০ ব্যবধানে ড্র করেছে কাতালানরা। ম্যাচটিতে লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজরা হেরে গেলেও খুব বেশি অবাক হওয়ার কিছু থাকত না। একই রাতে ইংল্যান্ডে হয়েছে হাইভোল্টেজ ম্যাচ। এ্যানফিল্ডের ম্যাচটিতে মুখোমুখি হয়েছিল ইংলিশ পরাশক্তি লিভারপুল ও জার্মান জায়ান্ট বেয়ার্ন মিউনিখ। এই ম্যাচটিও গোলশূন্য ড্র হয়েছে। পরশু রাতে খেলা চারটি দলই আগামী ১৩ মার্চ প্রিকোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ খেলবে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রক্ষণ জমাট রেখে ঘরের মাঠে বার্সাকে রুখে দিয়েছে অলিম্পিক লিও। এই নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে নকআউট পর্বের শেষ ছয়টি এ্যাওয়ে ম্যাচে জয়হীন থাকল কাতালানরা। এর মধ্যে চারটিতেই হেরেছে তারা। শুধু তাই নয়, পাঁচ ম্যাচে আবার গোলের দেখাই পাননি মেসি-সুয়ারেজরা। আর চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ পাঁচ ম্যাচের চারটিতে ড্র করেছে বার্সিলোনা। টানা তিন ড্রয়ের পর গত শনিবার লা লিগায় রিয়াল ভ্যালাডোলিডের বিরুদ্ধে ন্যুক্যাম্পে ১-০ গোলে জিতেছিল বার্সা। প্রতিপক্ষের মাঠে শুরু থেকেই বলের দখল নিয়ে খেলতে থাকে বার্সা। তৃতীয় মিনিটে ডি বক্সের বাইরে মেসি ফাউলের শিকার হলে ফ্রিকিক পায় সফরকারীরা। কিন্তু মেসির শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরের মিনিটে পাল্টা আক্রমণে হোসেমের শট ঝাঁপিয়ে বার্সাকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। নবম মিনিটে বড় বাঁচা বেঁচে যায় বার্সিলোনা। ডি বক্সের বাইরে থেকে ফরাসী মিডফিল্ডার টেয়ায়ির জোরালো শট ঝাঁপিয়ে পড়া টের স্টেগেনের গ্লাভসে ছুঁয়ে ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। ফলে হতাশায় ডুবতে হয় লিওকে। দ্বিতীয়ার্ধেও নিজেদের রক্ষণ জমাট রেখে মাঝে মধ্যে পাল্টা আক্রমণে যায় স্বাগতিকরা। তবে বার্সিলোনার পোস্টের নিচে আস্থার দেয়াল হয়ে ছিলেন টের স্টেগেন। শেষ দিকে গোলের জন্য মরিয়া আক্রমণ শানিয়েও বঞ্চিত থাকতে হয় বার্সাকে। ফলে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে আরেকবার হতাশা নিয়ে ফিরতে হয় স্প্যানিশ জায়ান্টদের। দশ বছর আগে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লীগে দেখা হয়েছিল এ দুই দলের। দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৩ গোলে লিওকে হারিয়ে ২০০৮-০৯ মৌসুমে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল বার্সিলোনা। এবার কি হয় সেটা জানতে দ্বিতীয় লেগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। ম্যাচ শেষে মেসি নয়, অলিম্পিক লিও’র বিরুদ্ধে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোই ভাল খেলে বলে জানিয়েছেন স্বাগতিক দলের সভাপতি জ্যা-মিশেল অলাস। লিও’র বিপক্ষে মেসি কখনই তেমন কিছু করতে পারেননি যা রোনাল্ডো করেছেন, এমনটাই মনে করছেন ৭০ বছর বয়সী লিও সভাপতি। তিনি বলেন, মেসিকে কখনই আমাদের বিপক্ষে অপ্রতিরোধ্য বলে মনে হয়নি আমার কাছে। সে তুলনায় আমার যতদূর মনে পড়ে রোনাল্ডো বেশ ভাল খেলেছে আমাদের বিপক্ষে। আমি চাইব সামনের দুই ম্যাচেও মেসি যেন আমাদের বিপক্ষে আগের মতো নিষ্প্রভ থাকে। লিভারপুল ও বেয়ার্ন দু’টি দলই চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জিতেছে পাঁচবার করে। দু’দলের মুখোমুখি লড়াই তাই জমজমাট হবে বলে ধরে নিয়েছিল ফুটবলবিশ্ব। কিন্তু তেমন উত্তাপ ছাড়াই শেষ হয়েছে প্রথম লেগের খেলা। ম্যাড়মেড়েভাবে শুরু হওয়া ম্যাচের ৩৩ মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগটি পেয়েছিল স্বাগতিক লিভারপুল। কিন্তু সেনেগালের ফরোয়ার্ড সাদিও মানে ফাঁকায় পেয়েও ব্যর্থ হন। ৩৮ মিনিটে আবারও গোল করার মতো পজিশনে বল পান মানে। কিন্তু বাইসাইকেল কিক নিতে গিয়ে বাইরে মেরে আবারও হতাশ করেন তিনি। ম্যাচে বেয়ার্ন বলার মতো তেমন ভাল সুযোগ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়। পুরো ম্যাচে মোট ১৫টি শট নেয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে দারুণ ছন্দে থাকা লিভারপুল। যার মধ্যে মাত্র দুটি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে নিজেদের ঘর সামলে আক্রমণে ওঠা বায়ার্ন মোট শট নিয়েছে ৯টি। কিন্তু তার একটিও ছিল না লক্ষ্যে।
×