ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁওয়ে আলুর বাজারে ধস

প্রকাশিত: ০৯:৪০, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ঠাকুরগাঁওয়ে আলুর বাজারে ধস

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও ॥ বেশি দামে আলু বিক্রি করে লাভবান হওয়ার আশায় আগাম আলু চাষ করে বিপাকে পড়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের আলু চাষীরা। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি সাদা আলু (গ্র্যানুলা, সাগিতা) সাড়ে ৪ টাকা, লাল আলু (কার্ডিনাল, এস্টারিক্স) সাড়ে ৭ থেকে ৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ তুলতে পারছেন না বলে দাবি আলু উৎপাদনকারী চাষীদের। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর জেলায় আলু চাষ হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর এর মধ্যে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষ হয়েছিল। অন্য ফসলের তুলনায় আলুতে লাভ ভাল পাওয়ায় প্রতি বছরের মতো সার, বীজ, ও বালাইনাশক বাকিতে নিয়ে চাষীরা ঝুঁকেছেন আলু চাষে। তবে গত বছর এ সময়ে বাজারে আলুর দাম ও চাহিদা ভাল থাকলেও এ বছর দাম অনেক কম। তাই চাষীরা ধারদেনা শোধ করতে কম দামে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে কৃষি বিভাগ কষ্ট করে হলেও চাষীদের আলু সংরক্ষণ করার পরামর্শ দিচ্ছেন। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মাদারগঞ্জ এলাকার আলু চাষী শাহজাহান আলী বলেন, ৫০ একর জমিতে আলুর চাষ করেছি। প্রতি একরে খরচ হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। আলু চাষ করতে অনেক পুঁজি লাগে। যার নগদ অর্থ নেই তাকে দোকানে বাকি নিতে হয়। বাজারে তেমন দাম না থাকায় কম দামে ১০ একরের আলু বিক্রি করেছি। বর্তমান বাজারে প্রতি একর আলুর দাম পেয়েছি ৫০ হাজার টাকা। প্রতি একরে লোকসান দিতে হচ্ছে ৩০-৩৫ হাজার টাকা। বাকি আলুগুলো কিছুদিন পরে হিমাগারে রাখব। আর পরে যদি আলুর দাম না বাড়ে তবে নিজের পুঁজিও হারিয়ে যাবে। সরকার যদি অন্য দেশে আলু রফতানির ব্যবস্থা নেয় তাহলে চাষীসহ ব্যবসায়ীরা লাভবান হবে। একই উপজেলার রহিমানপুরের পটুয়া এলাকার আলু চাষী আইয়ুর আলী বলেন, ৫ একর জমিতে আলুর চাষ করেছি। বাজারে আলুর দাম না থাকায় লোকসান হচ্ছে। সার, বিষের দোকানে বাকি আছে তাই কম দামে আলু বিক্রি করে ধারদেনা শোধ করছি। আলু চাষী রফিকুল ইসলাম বলেন, হিমাগারে এখনও আলু সংরক্ষণ শুরু হয়নি। তাছাড়া হিমাগারে ভাড়া অনেক বেশি। পরে যদি আলুর দাম না বাড়ে তাহলে এ টাকাও পাবো না। তাই নিরুপায় হয়ে আলু বিক্রি করছি। যখন আলু লাগাই তখন প্রতি কেজি বীজ আলু ৩২ টাকা কেজি দরে কিনেছি। আর এখন ৪-৭ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে।
×