স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বকেয়া পরিশোধ না করায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বিপক্ষে আইনী লড়াইয়ে নামছে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)। এক সপ্তাহ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে উকিল নোটিস পাঠিয়েছে তারা। তবে পাওনা সময়মতোই পরিশোধ করার আশ্বাস দিয়েছে বাফুফে। এদিকে মঙ্গলবার জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল উন্নয়নে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর কাছে উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরবে বাফুফে।
নিজস্ব কোন জিমনেশিয়াম বা একাডেমি না থাকায় অনুশীলনের জন্য অনেক সময় বিকেএসপির দ্বারস্থ হয় বাফুফে। জাতীয় ও বয়সভিত্তিক দলগুলো ভিন্ন সময়ে আবাসিক ক্যাম্প করে বিকেএসপিতে। ওখানকার মাঠ, জিমনেশিয়াম ও আবাসন সুবিধা নেয় ফেডারেশন। ওই হিসেবে মোটা অঙ্কের টাকা পাওনা বিকেএসপির। ২০১৬-১৭ মৌসুমে জাতীয় দলের ক্যাম্পে প্রায় ১৮ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে, দাবি বিকেএসপি কর্তৃপক্ষের। সময়সীমা বেঁধে দিয়ে পাওনা আদায়ে আদালতের মাধ্যমে উকিল নোটিস পাঠিয়েছে। সমঝোতার ভিত্তিতে বকেয়া পরিশোধের আশ্বাস দিচ্ছে বাফুফে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পাওনা ১৭ লাখ ৯১ হাজার ২০ টাকা ফেরত না পেলে বাফুফের বিপক্ষে মামলা করারও কথাও জানিয়েছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী। তবে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বলছেন এখনও কোন লিগ্যাল নোটিস পাননি তারা। চিঠি পাওয়ার পরই নেয়া হবে হবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশের যেকোন ক্রীড়ার আঁতুরঘর বলা হয় বিকেএসপিকে। শুধু খেলোয়াড় তৈরিই নয়, অনুশীলনেরও প্রায় সব আন্তর্জাতিক সুবিধাও পাওয়া যায় সেখানে। ফলে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে বিভিন্ন ফেডারেশন তাদের খেলোয়াড়দের ক্যাম্প করান বিকেএসপিতে।
এ দৌড়ে সবার আগে রয়েছে ফুটবল ফেডারেশন। ১৯৯৫ সাল থেকে শুরু করে যেকোন প্রতিযোগিতার আগেই বাফুফে শরণাপন্ন হয় বিকেএসপির। তবে এবার ঘটনা গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। বিকেএসপির দাবি, ২০১৬-১৭ ও ১৭-১৮ মৌসুমে তাদের পাওনা ১৭ লাখ ৯১ হাজার ২০ টাকা পরিশোধ করছে না বাফুফে। ফেডারেশনের কাছে একাধিকবার ধর্ণা দিয়েও মেলেনি কোন আশ্বাস। তাইতো বাধ্য হয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তারা।
টাকা প্রাপ্তির বিষয়টি অস্বীকার করছে না ফেডারেশনও। তবে তারা বলছে, কোন ধরনের আইনী নোটিস এখনও পায়নি তারা। পেলে জানানো হবে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে। তারা আরও জানিয়েছে, এটা অনেক আগে থেকেই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। বাফুফে তাদের সুবিধাগুলো গ্রহণ করে কাজে লাগায়। কিন্তু তাদের যে ন্যূনতম হাউস রেন্ট বা ফ্যাসিলিটিসগুলো ব্যবহার করার জন্য একটা রেট রয়েছে, সেটা আসলে দেয়া হয়নি। বিকেএসপির অফিসিয়ালি চিঠি পেলে বাফুফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: