ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মহাস্থান বাজারে আগুন ॥ ১৪ দোকান ছাই

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ২৭ জানুয়ারি ২০১৯

মহাস্থান বাজারে আগুন ॥ ১৪ দোকান ছাই

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ শনিবার সকালে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান বাজারে অগ্নিকা-ে ১৪ দোকান পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ভস্মীভূত হয়। তবে ফায়ার সার্ভিস বলছে ক্ষয়ক্ষতি এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। পুলিশ সূত্র জানায়, সকাল পৌনে ছয়টার দিকে মহাস্থান বাজারে আগুন লাগে। মিষ্টির দোকানে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে তা বাজারের অন্য দোকানে ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর বেশির ভাগই মিষ্টি ও কাপড়ের দোকান। আগুনের খবর পেয়ে বগুড়া সদর ও শিবগঞ্জের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বরিশালে ৮ দোকান স্টাফ রিপোর্টার বরিশাল থেকে জানান, আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সারহাট বন্দরের পশ্চিমপাড় খান মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকা-ে কমপক্ষে আট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে প্রথম গৌরনদী ও কোটালীপাড়া ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে বরিশাল থেকে আরও দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে মার্কেটের আট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত ও সাত দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে জসিম দাড়িয়ার কাপড়ের দোকান, জাহাঙ্গীর সিকদারের টিনের দোকান, আশিক দাড়িয়ার হার্ডওয়ারের দোকান, আলিম শেখের দোকান, সুজন শেখের প্রসাধনী দোকান, রফিকের টেইলার্স, মেরাজের কাপড়ের দোকান, সেলিমের গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাতে বাজারের একটি লাইটপোস্টের দুই তারে ঘর্ষণের কারণে আগুনের ফুলকির সৃষ্টি হয়। যা নিচে থাকা একটি দোকানে পরে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান পার্শ্ববর্তী গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানে ছড়িয়ে পরে। একপর্যায় বিকট শব্দে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে পুরো বাজারে আগুন ছড়িয়ে পরে। বাউফলে ৭ দোকান নিজস্ব সংবাদদাতা বাউফল থেকে জানান, কালিশুরী ইউনিয়নের কুমারখালি বাজারে শুক্রবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকা-ে সাত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভস্মীভূত হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪০ লাখ টাকা। এ সময় উত্তেজিত জনতা ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি ভাংচুর ও চার ফায়ারকর্মীকে মারপিট করেছে। জানা গেছে, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোস্তফা সিকদারের মুদি দোকান থেকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে অগ্নিকা-ের সূত্রপাত হন। মুহূর্তের মধ্যে পাশের শহীদ হাওলাদারের চালের দোকান, জাহিদ শরীফের মুদির দোকান, সোহেল হাওলাদারের ফার্মেসি, রুবেল মৃধার মুদির দোকানও রেজাওয়ানুল ইসলাম বাবুর স্টোর রুমে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই স্থানীয় লোকজন ১ ঘণ্টাব্যপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিবিয়ে ফেলে। এদিকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি বিলম্বে পৌঁছনোর অভিযোগে উত্তেজিত জনতা ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি ভাংচুর করে এবং ফায়ারম্যান জিয়াউল হক, খান মামুন, মামুনুর রশিদ ও ড্রাইভার জসিম উদ্দিনকে মারধর করে। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বাউফল থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। অপরদিকে রাতে মদনপুরা চাঁন মিয়া গাজীর একটি বসতঘর আগুন লেগে আংশিক ভস্মীভূত হয়েছে।
×