নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরানীগঞ্জ, ১৮ জানুয়ারি ॥ বুড়িগঙ্গা নদীর প্রথম (চীন-মৈত্রী) সেতুর উভয়পার দখলবাজদের কবলে পড়েছে। বিশেষ করে কেরানীগঞ্জের দক্ষিণ তীরে ইকুরিয়া ও হাসনাবাদে সেতুর নিচে সড়ক ও জনপথের (সওজ) জায়গা অবৈধভাবে দখল করেছে ভূমিদস্যুরা। এসবের পেছনে সওজের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সহাযোগিতা রয়েছে।
অবৈধভাবে সেখানে গড়ে উঠেছে শতাধিক পাকা, আধাপাকা, টং ও টিনশেডের ছাপড়া ঘর। এসব অবৈধ স্থাপনা থেকে চাঁদাবাজরা প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। চাঁদার এসব টাকার ভাগ-বাটোয়ারা করে নিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের কয়েক পাতি নেতাকর্মী।
যুবলীগ নেতা সামিউল্লাহ সামুর সহযোগিতায় এলাকায় গড়ে উঠেছে একটি বিশাল চাঁদাবাজ বাহিনী। যার সঙ্গে জড়িত শ্রমিক লীগ নেতা দীন ইসলাম, আসলাম হোসেন, মামুন ও মোস্তাক মিয়াসহ কয়েক নেতাকর্মী। এসব স্থাপনা থেকে হোসেন নামে এক যুবলীগ নেতা চাঁদা তুলে থাকে। আর চাঁদার টাকা তুলে দেয় স্থানীয় দলপতি যুবলীগ নেতা সামিউল্লাহ সামুর হাতে। সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অবৈধভাবে ইট, বালু ও পাথরের গদি গড়ে তুলেছে। সেখানে রয়েছে অর্ধশতাধিক টং ঘরের সবজি, ইট, পাথর ও বালুর গদি। তাছাড়া প্রভাবশালীরা ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে সেতুর নিচে নিজেরাই প্রতিদিন শত শত ট্রাক ইট, বালু ও পাথর বিক্রি করছে। হাসনাবাদ নদীর ঘাট ও পানগাঁও পোর্ট কন্টেনার সড়কে এসব অবৈধ দোকান গড়ে ওঠার কারণে সব সময় যানজট লেগেই থাকে। জনগণের স্বার্থে অবৈধ দোকানদারদের উচ্ছেদ করা প্রয়োজন। সড়ক ও জনপথ ঢাকা বিভাগের উপবিভাগীয় (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) প্রকৌশলী সৈয়দ আলম বলেন, সড়ক ও জনপথের জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা অতিসত্বর উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। তিনি এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, সড়ক ও জনপথের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীও জড়িত ছিল এখন তারা সটকে পড়েছে।