ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

খাদ্যে ভেজাল পেলেই অপরাধীকে জেলে পাঠানো হবে ॥ সাঈদ খোকন

প্রকাশিত: ০৫:১২, ১৪ জানুয়ারি ২০১৯

 খাদ্যে ভেজাল পেলেই অপরাধীকে জেলে  পাঠানো হবে ॥  সাঈদ খোকন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ খাদ্যে ভেজাল পেলেই অপরাধীদের সঙ্গে সঙ্গেই জেলে পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। ভেজাল খাদ্য বিক্রি ও পরিবেশন করার বিরুদ্ধে সময়ে সময়ে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে ও জরিমানা ধরেও তেমন কোন কাজ হচ্ছে না বলে এই ঘোষণা দিয়েছেন বলে জানান তিনি। রাজধানীর সাত মসজিদ এলাকায় রবিবার থেকে শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র এসব কথা বলেন। অভিযানে সিটি কর্পোরেশন ছাড়াও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, বিএসটিআই, র‌্যাব ও পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মেয়র বলেন, ভ্রামমাণ আদালত পরিচালনা করেও জরিমানা করে খুব একটা কাজ হচ্ছে না। তাই এখন থেকে খাদ্যে ভেজাল পাওয়া গেলে অপরাধীদের জেলে পাঠানো হবে। ভেজালবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে, আমরা বিভিন্ন সময় জরিমানা করলেও ভেজাল বন্ধ করতে সক্ষম হইনি। তাই আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে খাদ্যে ভেজাল প্রমাণিত বা প্রতীয়মান হলে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করব, সেটা প্রতীকী হলেও করব। ভেজালবিরোধী খাদ্যের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদে একটি বিল পাস হয়, যেখানে খাদ্যে ভেজাল ও ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য মেশানোর দায়ে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদ- এবং ২০ লাখ টাকা অর্থদ-ের বিধান রাখা হয়েছে। পরে নিরাপদ খাদ্য আইনের আওতায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দিতে ২০১৫ সালে মোবাইল কোর্ট আইনের তফসিলের ২৯ নম্বর ধারা সংশোধন করে। সেখানে তাতে ‘নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩’ অন্তর্ভুক্ত করে সরকার। সাঈদ খোকন বলেন, আমরা আরও কঠোর হচ্ছি। খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে বিভিন্ন সংস্থা অভিযানে নেমেছে। আমরাও নিয়মিত কাজ অব্যাহত রেখেছি। এরপরও ভেজাল বন্ধ হয়নি। তাই আজ থেকে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছি। এখন কোন প্রতিষ্ঠানের খাবারে ভেজাল প্রমাণিত হলে তাকে জেলে পাঠানো হবে- যারা খাদ্যে ভেজাল করে তাদের জন্য সতর্কবার্তা। পরে সাত মসজিদ রোডের স্টার কাবাবে যায় ভেজালবিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখানকার রান্নাঘরের পরিবেশ ভাল না থাকায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শেখ মোঃ সালাহ্ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, প্রথম অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করা হয়েছে। তাদের খাবারে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু রান্নাঘরের পরিবেশ ভাল না। ফ্লোর স্যাঁতসেঁতে। টাইলস ফাটা। এসবের কারণে খাদ্যে জীবাণুর সংক্রমণ হতে পারে। প্রাথমিকভাবে সতর্কতা হিসেবে প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করা হয়েছে। পরে কোন অনিয়ম পেলে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হবে।
×