ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নতুনরা নব উদ্যোগে কাজ করবেন ॥ শাজাহান খান

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ৮ জানুয়ারি ২০১৯

নতুনরা নব উদ্যোগে কাজ করবেন ॥ শাজাহান খান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অগ্রযাত্রায় সাহসী ভূমিকা পালনে নতুনরা নব উদ্যোগে কাজ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিদায়ী নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। সোমবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টানা দুই মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকারের নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সামলেছেন শাজাহান খান। এ সময় নৌপরিবহন খাতের বিস্তর উন্নয়ন হলেও মোটরগাড়ি শ্রমিক সংগঠনের কার্যকর সভাপতি হিসেবে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি বার বার সমালোচিত হয়েছেন। সরকারের নতুন মন্ত্রিসভায় শাজাহান খানের নাম আসেনি। নতুন সরকারের মন্ত্রিসভায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী শপথ নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী দিনাজপুর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নতুন প্রতিমন্ত্রীকে আজ স্বাগত জানাবে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। এর আগে সোমবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে শাজাহান খানের বিদায়ী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মন্ত্রী শাজাহান খান বিদায় অনুষ্ঠানে বলেন, এটি তার বিদায় নয় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে শেষ কর্ম দিবস। তিনি বলেন, মন্ত্রিসভা গঠনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা খুব বাস্তবমুখী। তার এই অগ্রযাত্রায় সবাই সাহসী ভূমিকা পালন করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি তার সময়ে হওয়া নানামুখী কর্মকা-ের কথা তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, এ সময় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে তৃতীয় বন্দর পায়রার নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া সারাদেশের নদী রক্ষায় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ সময় দেশের সব নদী বন্দরের উন্নয়ন করা হয়েছে। একই সঙ্গে নতুন স্থলবন্দর নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে পুরনো স্থলবন্দর সংস্কার করে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমদানি-রফতানির পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তিনি বলেন, দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম মেয়াদে ১৪টি বড় ফেরি সংগ্রহ করা হয়েছে। আরও ২০টি ফেরি সংগ্রহ করা হচ্ছে। এর বাইরে ৩৫টি ফেরি সংগ্রেহের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে একনেক। তার সময়ে এক হাজার ৬০০ কিলোমিটার নৌপথ খনন করা হয়েছে। ঢাকার চার নদীর পাশে সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। এসব নদীরপারে ২০ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। আরও ৫০ কিলোমিটারের নির্মাণ কাজ চলছে। শাজাহান খান বলেন, অসমাপ্ত প্রকল্পের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের চেষ্টা করতে হবে। সদ্য বিদায়ী এই মন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনায় দক্ষ একজন রাষ্ট্র পরিচালক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বিচক্ষণতার সঙ্গে নতুন এই মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন। নতুনদের কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। কর্ম উদ্দীপনা নিয়ে সকলকে কাজ করে যেতে হবে। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুস সামাদ বলেন, নৌপরিবহন খাতের উন্নয়ন প্রসঙ্গ এলেই শাজাহান খানের নাম আসবে। তার সময়ই নৌপরিবহন খাতে বড় বড় কাজ হয়েছে। নিশ্চয়ই আগামীতে তিনি আরও বড় দায়িত্ব পালন করবেন। তবে নতুনদের কাজের জায়গা করে দিতে পুরাতনকে সরে যেতে হয়। এই বিদায় এ ছাড়া কিছু নয়। অনুষ্ঠানে সংস্থাপ্রধান ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। শাজাহান খান দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মন্ত্রণালয়ে আসেন। তিনি পৌনে তিনটার দিকে মন্ত্রণালয় থেকে বেরিয়ে নতুন সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যান।
×