অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পেঁয়াজের চড়া দামের ঝাঁঝ ‘চোখে জল এনেছিল’ বাজপেয়ী সরকারের। আর এখন তার জলের দর নিয়ে চাষীদের ক্ষোভের সামনে নাস্তানাবুদ নরেন্দ্র মোদি। এখন খাস হিন্দি বলয়ে তিন রাজ্যে ভোটের হার থেকে শিক্ষা নিয়ে পেঁয়াজ চাষী ও আদিবাসীদের জন্য দরাজ হল তার সরকার।
মহারাষ্ট্রে পেঁয়াজের দাম তলানিতে ঠেকায় নাশিকের বৃহত্তম পাইকারি পেঁয়াজ বাজার লাসলগাঁওয়ের চাষীরা দাবি তোলেন, কেন্দ্র তা রফতানিতে মদদ দিক। কারণ, দেশে চাহিদার তুলনায় জোগান বেশি বলেই দাম পড়েছে। সেই দাবি মেনে শুক্রবার পেঁয়াজ রফতানিতে উৎসাহ ভাতা ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার।
একই সঙ্গে, জঙ্গলের প্রান্তে বাস করা আদিবাসী ও তফসিলি জনজাতির মন জিততে জঙ্গলের মধু, মহুয়া, শাল, তেঁতুলের মতো ৪০টি পণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নতুন করে ঠিক করল তারা। ২৩টি পণ্যে তা বাড়ানো হয়েছে। এদিকে, চাষীদের জন্য ঋণ মওকুফ নিয়ে নরেন্দ্র মোদির ওপরে চাপ বাড়াচ্ছে কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী আজ কর্নাটকের দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে ফের বলেন, ‘কংগ্রেস ঋণ মওকুফের নামে যা করছে, তা নিষ্ঠুর রসিকতা হিসেবে ইতিহাসে লেখা থাকবে।’ কিন্তু সূত্রের খবর, এখন চাপে পড়ে কৃষক মন জয়ের জন্য ঋণের সুদে ছাড় দেয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্র। চাষিরা নির্দিষ্ট সময়ে কৃষি ঋণ শোধ করলে নাকি সুদ মওকুফ হবে। তাতে অবশ্য ১৫ হাজার কোটির বাড়তি বোঝা বইতে হবে কেন্দ্রকে। কিন্তু পেঁয়াজ প্রসঙ্গে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার কটাক্ষ, ‘চাষীরা পেঁয়াজের দাম ১ টাকার নিচে নামায় চোখের জল ফেলছেন। চাষীরা বিজেপিকে ভোটে হারিয়ে কাঁদিয়ে ছাড়বে।’